গত শুক্র ও রোববার ইউক্রেনে অভিযানরত রুশ বাহিনী ব্যাপকমাত্রায় গোলা ও ক্ষেপণাস্ত্র নিক্ষেপের পর থেকে বিদ্যুৎবিহীন অবস্থায় রয়েছে রাজধানী কিয়েভের পশ্চিমাংশ, দানিপ্রো শহর ও দেশটির মধ্যাঞ্চল। এসব এলাকার বেশিরভাগ স্থানে গত তিন দিনেও স্বাভাবিক হয়নি বিদ্যুতের সরবরাহ।
ইউক্রেনের প্রেসিডেন্ট ভলোদিমির জেলেনস্কি মঙ্গলবার এক টুইটবার্তায় বর্তমান এই সংকটের জন্য রুশ বাহিনীকে সরাসরি দায়ী করেছেন। পাশাপাশি, পাশাপাশি, ভ্লাদিমির পুতিন যতদিন রাশিয়ার প্রেসিডেন্ট থাকবেন— ততদিন দেশটির সরকারের কোনো কর্মকর্তা ও প্রতিনিধির সঙ্গে শান্তি সংলাপ সম্ভব নয় ইউক্রেনের পক্ষে।
মঙ্গলবার এক টুইটবার্তায় জেলেনস্কি বলেন, ‘গত ১০ অক্টোবর থেকে এ পর্যন্ত ইউক্রেনের ৩০ শতাংশ বিদ্যুৎ উৎপাদন কেন্দ্র ধ্বংস করে দিয়েছে রুশ বাহিনী, যার ফলে দেশের বিশাল এলাকা বর্তমানে বিদ্যুৎবিহীন অবস্থায় আছে। ক্ষতিগ্রস্ত এসব কেন্দ্রের মেরামত শুরু হয়েছে, কিন্তু বিদ্যুৎ সরবরাহ স্বাভাবিক হতে আরও সময় লাগবে।’
‘পুতিনের নেতৃত্বাধীন সরকারের সঙ্গে শান্তি-সংলাপ বা আলোচনার কোনো সুযোগ আর অবশিষ্ট নেই। আলোচনার সব পথ তারা বন্ধ করে দিয়েছে।’
গত সপ্তাহে রাশিয়ার অধিকৃত খেরসন প্রদেশে অভিযান চালিয়ে কয়েকটি গ্রাম পুনর্দখল করে নেয় ইউক্রেনের সেনাবাহিনী। তার আগে গত ৮ অক্টেবর রাশিয়ার মূল ভূখণ্ডের সঙ্গে ক্রিমিয়ার সংযোগকারী সেতুতে গাড়িবোমার বিস্ফোরণে ক্ষয়ক্ষতি হয়েছিল সেই সেতুর।
এসব হামলার জবাবে গত শুক্র ও শনিবার ইউক্রেনজুড়ে ব্যাপকমাত্রায় গোলা ও ক্ষেপণাস্ত্র নিক্ষেপ করে রুশ বাহিনী। তারপর সোমবার ভোরের দিকে রাজধানী কিয়েভ, দিনিপ্রপোৎরোভস্ক ও সুমি শহরের বিদ্যুৎকেন্দ্রগুলো লক্ষ্য করে ড্রোন হামলা ও গোলাবর্ষণ করে রাশিয়া।