ইউক্রেনের বন্দরে আটকে থাকা বাংলাদেশ শিপিং করপোরেশনের (বিএসসি) জাহাজ এমভি বাংলার সমৃদ্ধিতে রকেট হামলা ও অগ্নিকাণ্ডের ঘটনার পর ২৮ জীবিত নাবিককে উপকূলে বাংকারে সরিয়ে নেওয়া হয়েছে।
পোল্যান্ডে নিযুক্ত বাংলাদেশি রাষ্ট্রদূত সুলতানা লায়লা হোসেন বৃহস্পতিবার রাতে এ তথ্য নিশ্চিত করেছেন।
এর আগে, ধবার ইউক্রেনের ওলভিয়া বন্দরে নোঙ্গর করা অবস্থায় ক্ষেপণাস্ত্র হামলার শিকার হয় বাংলার সমৃদ্ধি’। এতে জাহাজটির নাবিক হাদিসুর রহমানের মৃত্যু হয়। ওই জাহাজে থাকা বাকি ২৮ জন ক্রু সদস্য অক্ষত আছেন।
সুলতানা লায়লা হোসেন জানান, ২৮ জন ক্রু সদস্যকে জাহাজটি থেকে উদ্ধার করা হয়েছে। নিহতের লাশও উদ্ধার করে দেশে পাঠানো হবে বলে জানিয়েছেন তিনি।
বৃহস্পতিবার (৩ মার্চ) রাত সাড়ে ৮টায় বিএসসির নির্বাহী পরিচালক ড. পীযূষ দত্ত এই বিষয়ে বলেন, বাংলাদেশ সময় বিকেল সোয়া ৫টার দিকে বাংলার সমৃদ্ধি থেকে ২৮ নাবিক ও নিহত থার্ড ইঞ্জিনিয়ার হাদিসুর রহমানের মরদেহসহ বাংকারে সরিয়ে নেওয়া হয়েছে। পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের উদ্যোগে নাবিকদের জাহাজ থেকে নিরাপদে নামানো সম্ভব হয়েছে।
সিরামিকের কাঁচামাল ‘ক্লে’ পরিবহনের জন্য জাহাজটি তুরস্ক থেকে ২২ ফেব্রুয়ারি ইউক্রেনের অলভিয়া বন্দরের জলসীমায় পৌঁছায়। তবে যুদ্ধাবস্থা এড়াতে জাহাজটিকে সেখানে পৌঁছানোর পরই পণ্য বোঝাই না করে দ্রুত ফেরত আসার জন্য নির্দেশনা দেন শিপিং করপোরেশনের কর্মকর্তারা। শেষ মুহূর্তে বন্দরের পাইলট না পাওয়ায় ইউক্রেনের জলসীমা থেকে বেরিয়ে আসতে পারেনি বাংলাদেশের এই জাহাজ।