বেলারুশ নেতা আলেকজান্ডার লুকাশেঙ্কো বৃহস্পতিবার বলেছেন, রাশিয়া ইউরোপীয় ইউনিয়নের সীমান্তবর্তী তাদের ভূখন্ডে পরমাণু অস্ত্র পাঠানো শুরু করেছে। এদিকে ইউক্রেন সংঘাত নিয়ে পশ্চিমাদের সঙ্গে উত্তেজনা বেড়েই চলেছে।
কূটনৈতিক ফ্রন্টে রাশিয়ার পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয় ইউক্রেনের জন্য চীনের বিশেষ দূত লি হুইর মস্কো সফরের ঘোষণা দিয়েছে। এ যুদ্ধের অবসান ঘটাতে এটি বেইজিংয়ের সর্বশেষ প্রচেষ্টা।
লি কিয়েভে ইউক্রেনের প্রেসিডেন্ট ভলোদিমির জেলেস্কির সঙ্গে সাক্ষাৎ করার পর তিনি মস্কো সফরে আসেন। সেখানে শুক্রবার তিনি রুশ পররাষ্ট্রমন্ত্রী সের্গেই ল্যাভরভের সাথে দেখা করবেন বলে আশা করা হচ্ছে।
এদিকে প্রেসিডেন্ট ভ্লাদিমির পুতিনের সঙ্গে সাক্ষাত করতে মস্কো সফরকালে লুকাশেঙ্কো সাংবাদিকদের বলেন, ‘পরমাণু হস্তান্তর শুরু করা হয়েছে।’
এর পরিপ্রেক্ষিতে ওয়াশিংটনে হোয়াইট হাউসের প্রেস সেক্রেটারি কারিন জিন-পিয়েরে রাশিয়ার এমন পদক্ষেপকে ‘দায়িত্বহীন এবং উস্কানিমূলক কর্মকান্ডের আরেকটি উদাহরণ’ বলে অভিহিত করেছেন।
তিনি আরও বলেন, ‘আমরা আমাদের নিজস্ব পরমাণু অবস্থানের সামঞ্জস্য করার কোনো কারণ দেখি না বা বেলারুশ থেকে রাশিয়া পরমাণু অস্ত্র ব্যবহার করতে প্রস্তুত এমন কোনো ইঙ্গিতও আমরা দেখিনি।’
এদিকে পরমাণু অস্ত্র হস্তান্তরের বিষয়ে রাশিয়ার পক্ষ থেকে তাৎক্ষণিকভাবে কোনো তথ্য জানানো হয়নি।
রাশিয়ার ইউক্রেন অভিযানে সহায়তার অংশ হিসেবে লুকাশেঙ্কো মস্কোকে তাদের ভূখ- ব্যবহারের অনুমতি দিয়েছে।
গত মার্চ মাসে পুতিন বলেছিলেন যে, তিনি বেলারুশে ‘কৌশলগত’ পরমাণু অস্ত্র স্থাপন করবেন। পুতিনের এমন ঘোষণার পশ্চিমা বিশ্ব কঠোর নিন্দা জানিয়েছে।
খবর এএফপি