আসন্ন ইউনিয়ন পরিষদ নির্বাচনে ইউনিয়ন আ’লীগের বর্ধিত সভায় নামের তালিকায় নাম বাদ দেওয়ায় সংবাদ সম্মেলন করেছেন ভক্তি রানী নামে এক সাবেক ইউপি সদস্যা। গত মঙ্গলবার বিকেলে সদর উপজেলার দেওগাঁও চেরাডাঙ্গী বাজার এলাকায় চেয়ারম্যান প্রার্থী ওই নারী এ সংবাদ সম্মেলন করেন।
লিখিত বক্তব্যে ভক্তি রানী অভিযোগ করে বলেন, আমি জন্মলগ্ন থেকে আ’লীগের রাজনীতির সাথে জড়িত। ইউনিয়ন মহিলা লীগের ক্রীড়া সম্পাদক ছিলাম। পরবর্তিতে ২০১১ সালে ইউপি সদস্য নির্বাচিত হই। ২০১৩ সালে উপজেলা নারী ফোরামের সাধারণ সম্পাদক নির্বাচিত হই। ২০১৬ সালে স্বতন্ত্র হিসেবে চেয়ারম্যান পদে প্রতিদ্বন্দিতা করি। জেলা পরিষদের সদস্য পদ ও পরে ২০১৮ সালে জেলা পরিষদের সংরক্ষিত আসনের নির্বাচন করি। এ বারও চেয়ারম্যান পদে প্রতিদ্বন্দিতা করার উদ্দেশ্যে নৌকা প্রতীক নিয়ে নির্বাচন করতে আগ্রহী হয়ে প্রচারনা চালিয়ে আসি। কিন্তু ৭ নভেম্বরের ইউনিয়ন আ’লীগের বর্ধিত সভায় কেন্দ্রীয় কমিটিতে পাঠানো নামের তালিকায় আমার নামটি বাদ দেওয়া হয়েছে। ওই সভায় চুপিসারে গুটিকয়েকজনের তালিকা করে নাম কেন্দ্রে প্রেরন করা হয়। অথচ আ’লীগের সহযোগি ও অঙ্গ সংগঠনের কোন সদস্যদের বর্ধিত সভায় আমন্ত্রন জানানো হয়নি। আমি একজন নারী, তাহলে আমি নির্বাচনে চেয়ারম্যান পদে প্রতিদ্বন্দিতা করতে পারবো না কেন। আমি বর্ধিত সভার নামের তালিকায় আমার নাম বাদ দেওয়ার তীব্র নিন্দা ও প্রতিবাদ জানিয়ে প্রধানমন্ত্রীর দৃষ্টি আকর্ষন করছি। বাংলাদেশে অর্ধেক ভোটার
নারী, স্পিকার নারী, প্রধানমন্ত্রী নারী, দেশের সব ক্ষেত্রেই নারীরা এগিয়ে উলেখ করে ৩০ শতাংশ কোটা বিবেচনায় আমার নামটি চেয়ারম্যানের নামের তালিকায় অন্তভ’ক্তির জোর দাবি জানাই। এ সময় ইউনিয়নের আ’লীগের বিভিন্নস্তরের নেতা কর্মীরা উপস্থিত ছিলেন।