কয়রা উপজেলা প্রতিনিধি: খুলনার কয়রা উপজেলার নারায়ানপুরের দোয়ানিয়া জলমহলটি বিগত সরকারের আমলে প্রভাব খাটিয়ে অবৈধভাবে দখল করে রাখে বাগালি ইউনিয়ন আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক ও নৌকা প্রতীকের চেয়ারম্যান আব্দুস সামাদ গাজীর ভাইপো জাহাঙ্গীর আলম।
এলাকা বাসির সাথে কথা বলে জানা যায়, জাহাঙ্গীর জলমহলটি দখল নেওয়ার পর থেকে কৃষকদের নিকট বিঘা প্রতি তিন হাজার করে টাকা নিয়ে পানি দিত ।এই অবস্থা থেকে পরিত্রাণ পাওয়ার জন্য দুই পাড়ের বাসিন্দারা চেয়ারম্যান আব্দুস সামাদ গাজীর কাছে কয়েকবার গিয়ে ও কোন সমাধান পাইনি।কয়েকজন কৃষকের কথা বলে জানা যায় বিগত ৫ আগষ্ট এর পর থেকে তারা সপ্ন দেখছে পানির ইজারা দেয়া থেকে তারা মুক্তি পাবে কিন্তু বিগত দুই মাস হয়ে গেলেও দখলবাজ জাহাঙ্গীর এখনো প্রভাব খাটিয়ে দখল নিয়ে বসে আছে।
তথ্য সূত্রে জানা যায় বাগালি ইউনিয়নের বিশিষ্ট সমাজ সেবক ইউনিয়ন বিএনপির সাবেক সফল সভাপতি এস এম আব্দুর রহিম সানা নারানপুর দোয়ানিয়া নদীর দুই পাড়ের কৃষকদের পানির ইজারা থেকে মুক্তি দেয়ার জন্য প্রাণপণ চেষ্টা করে যাচ্ছে। তিনি এ প্রতিবেদককে বলেন আমি কোন দখলবাজ নই। আমি ল এন্ড অর্ডার মেনে কাজ করে যাচ্ছি। দেশের সর্বোচ্চ আদালতের রায় অনুযায়ী দুই পাড়ের বসবাসরত কৃষকরা কোন টাকা ছাড়া কোন বাধা ছাড়া যেন ঠিকঠাক মত কৃষি কাজ করে পারে সেজন্য আপ্রান চেষ্টা করে যাচ্ছি।
স্থানীয় বাবু গাজী বলেন আমার তিন বিঘা জমি আছে জলমহল সংলগ্ন বিলে, প্রতি বছর বিঘা প্রতি ৩ হাজার টাকা করে জাহাঙ্গীরকে দিয়ে পানি নিয়ে চাষাবাদ করতে হয়েছে।
স্থানীয় এবাদুল মোল্লা ও জাফর ফকির ও একই কথা বলেন, তারা এলাকাবাসীর পক্ষে ও কৃষকদের পক্ষে ফ্রীতে পানি সরবরাহ দাবি করেন। এ ব্যাপারে জাহাঙ্গীর আলম বলেন, আমার বিরুদ্ধে যে অভিযোগ তাহা সম্পূর্ন মিথ্যা।