সময়টা ভালো কাটছে না ইতালির। আর্জেন্টিনার কাছে ফাইনালিসিমা হারের পর একের পর এক হতাশাই সঙ্গী হয়েছে তাদের। নেশনস লিগে এসেও তিন ম্যাচে মাত্র একটি জয় দেখে রবার্তো মানচিনির দল।
এবার তারা খেলো আরও বড় ধাক্কা। নিজেদের হারিয়ে ফেলা জার্মানিই এবার ইতালিকে পেয়ে জ্বলে উঠলো তেলেবেগুনে। গুনে গুনে দিলো ৫ গোল।
মনশেনগ্লাডবাখের বরুশিয়া-পার্কে মঙ্গলবার রাতে নেশনস লিগের ম্যাচটি ৫-২ গোলে জিতেছে জার্মানি। জসুয়া কিমিখ দলকে এগিয়ে নেওয়ার পর ব্যবধান বাড়ান ইলকাই গুন্দোগান। দ্বিতীয়ার্ধের শুরুতেই তৃতীয় গোলটি করেন টমাস মুলার। আর বিজয়ীদের শেষ দুটি গোল টিমো ভেরনারের।
প্রথমার্ধে রীতিমত একপেশে ফুটবল খেলেছে জার্মানি। দ্বিতীয়ার্ধে ইতালিও চেষ্টা করেছে। তবে তাদের ঘুরে দাঁড়াতে বড্ড দেরি হয়ে গেছে। পাঁচ গোল খাওয়ার পর শেষদিকে এসে দুটি গোল শোধ করে ইউরোপিয়ান চ্যাম্পিয়নরা। তাদের দুই গোলদাতা উইলফ্রেদ নতো ও আলেসান্দ্রো বাস্তোনি।
এবারের আসরের প্রথম তিন ম্যাচে জয়ের দেখা পায়নি জার্মানি। সবমিলিয়ে তারা ছিল চার ম্যাচ জয়শূন্য। ইতালির বিপক্ষে এই দলটিই এভাবে বিধ্বংসী চেহারায় হাজির হবে, কে জানতো!
ম্যাচের দশম মিনিটে এগিয়ে যায় জার্মানি। জিয়ানলুইজি দোনারুমা দুটি সেভ করলেও এরপরই হজম করেন গোল। বাঁ দিক থেকে ডাভিড গাউমের পেনাল্টি স্পটের কাছে বাড়ানো ক্রস থেকে বাঁ পায়ের প্লেসিং শটে গোলরক্ষককে পরাস্ত করেন কিমিখ।
বিরতির ঠিক আগে ইতালির ডি-বক্সে ইয়োনাস হফমান ফাউলের শিকার হলে পেনাল্টি পায় জার্মানি। ইলকাই গুন্দোগানের সফল স্পট কিকে ব্যবধান দ্বিগুণ করেন।
দ্বিতীয়ার্ধে ৫১ মিনিটে ৩-০ করেন থমাস মুলার। এরপর এক মিনিটের মধ্যে (৬৮ আর ৬৯) ভেরনার আরও দুই গোল করলে ৫-০ হয়ে যায় জার্মানির।
৭৮তম মিনিটে ব্যবধান কমায় ইতালি। ১৮ বছর বয়সী উইলফ্রেদ নতো আলতো টোকায় বল জালে পাঠান। যোগ করা সময়ের শেষ দিকে দ্বিতীয় গোলটি করেন ডিফেন্ডার বাস্তোনি।