দেশে এই প্রথম জীবন রক্ষাকারী আন্তর্জাতিক মান সম্পন্ন ইনসেপ্টা ভ্যাকসিন প্লান্ট অবকাঠামো এবং জিএমপির মান অনুযায়ী সক্ষমতা অর্জন করেছে । বৃহস্পতিবার দুপুরে সাভারে ইনসেপ্টা ভ্যাকসিন-এর বাল্ক ফ্যাসিলিটি, আর এন্ড ডি ফ্যাসিলিটি, প্রোডাকশন ফ্যাসিলিটি এবং এনিম্যাল হাউস পরিদর্শনকালে এ কথা বলেছেন স্বাস্থ্য ও পরিবার কল্যাণ মন্ত্রী জাহিদ মালিক এমপি।
তিনি আরও বলেন, প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার একান্ত ইচ্ছা দেশেই তৈরি হোক করোনা ভ্যাকসিন । জীবন রক্ষাকারী ভ্যাকসিন উৎপাদন কারী প্রতিষ্ঠান গুলোর পাশে থাকবে এবং তাদেরকে সকল ধরনে সহযোগিতা করার আশ্বাস দেন। ইনসেপ্টা হলো আন্তার্জাতিক মান সম্পন্ন বাংলাদেশের প্রথম জীবন রক্ষাকারী ভ্যাকসিন উৎপাদন কারী প্রতিষ্ঠান। ইনসেপ্টা প্রতি বছর ১৮০ মিলিয়ন ডোজের ভ্যাকসিন উৎপাদনের জন্য সক্ষমতা রয়েছে। সারা বিশ্বে যখন করোনার ভ্যাকসিনের বিপুল চাহিদা তৈরি হবে তখন ওয়ার্ড কমিউনিটি ফ্যাসিলিটিস ইনসেপ্টার এ পান্টটি ব্যবহার করবে বলে আশা ব্যক্ত করেছে। কোভিড-১৯ এর এ সময় বিশ্বের যে কোন দেশ এ প্লান্টটি ব্যবহার করতে পারবে।
মন্ত্রী আরও বলেন, ২০১১ সালের জুন মাসে ইনসেপ্টা ভ্যাকসিন লিঃ আনুষ্ঠানিক ভাবে যাত্রা শুরু করেছে। এ পর্যন্ত ১৩টি ভ্যাকসিন উৎপাদন ও বাজারজাত করেছে। ইনসেপ্টার ভ্যাকসিন গুলো হলো-র্যাবিস,র্যাবিস-আইজি,হে
উল্লেখ থাকে, ঢাকার সাভার-এ ২০১১ সালের জুন মাসে ইনসেপ্টা ভ্যাকসিন লিঃ আনুষ্ঠানিকভাবে যাত্রা শুরু করে। যেখানে ভ্যাকসিন উৎপাদনের জন্য সম্পূর্ণ আলাদা পরিসরে বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থার জিএমপি নীতিমালা অনুযায়ী স্থাপিত প্লান্ট রয়েছে। এতে রয়েছে ভ্যাকসিন উৎপাদনের জন্য উন্নত মানসম্পন্ন সকল যন্ত্রপাতি। এছাড়া বৃহৎ এনিম্যল হাউস রয়েছে, যেখানে এনিম্যাল এর উপর বিভিন্ন ধরণের টেস্ট করা হয়। ভ্যাকসিন উৎপাদনের সকল কাজ পরিচালনার জন্য রয়েছে বিদেশী বিশেষজ্ঞ ও দক্ষ ফার্মাসিস্টবৃন্দ। ইনসেপ্টা ভ্যাকসিন লিঃ, জুন ২০১১ থেকে তার উৎপাদন কার্যক্রম শুরু করে এবং এখন পর্যন্ত ১৩টি ভ্যাকসিন (ইমিউনোগ্লোবিউলিনসহ) যেমন- র্যাবিস, র্যাবিস-আইজি, হেপাটাইটিস- বি, হেপাটাইটিস-এ, টাইফয়েড, টিটেনাস, টিটেনাস-আইজি, মিজেলস-রুবেলা, এন্টিভেনাম, ফ্লু ও মেনিনজাইটিসসহ বেশ কয়েক ধরনের ভ্যাকসিন অত্যন্ত সফলভাবে উৎপাদন ও বাজারজাত করেছে। এই কো¤পানিটি সারাদেশে নিজস্ব সুগঠিত এবং নিয়ন্ত্রিত কোল্ড চেইন সিস্টেমের মাধ্যমে ফ্যাক্টরী থেকে ডেলিভারি পর্যন্ত ভ্যাকসিন গুণগত মান নিশ্চিত করে । ইনসেপ্টা ভ্যাকসিন লি. বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থার জিএমপি নীতিমালা অনুযায়ী ভ্যাকসিন বাল্ক ম্যানুফেকচারিং ফ্যাসিলিটি স্থাপন করেছে, যা ব্যাকটেরিয়াল এবং ভাইরাল উভয় বাল্ক অ্যান্টিজেন উৎপাদন করতে পারে। এর ফলে বাংলাদেশ এখন ভ্যাকসিন উৎপাদন ও বাজারজাত করনে স্বয়ংসম্পূর্ণতা অর্জনে অনেকটা এগিয়ে আছে। এর অত্যাধুনিক এবং স্বয়ংসম্পূর্ণ ফ্যাসিলিটিতে টেকনোলোজি ট্রান্সফারের মাধ্যমে যেকোন ভ্যাকসিন এর বাল্ক ম্যানুফেকচারিং করা সম্ভব অথবা বাল্ক আমদানি করে দেশে ফিল-ফিনিশিং করা সম্ভব।
ইনসেপ্টা ভ্যাকসিন লি. যা ইতিমধ্যেই দেশ ও দেশের বাইরে বিপুল আস্থা ও প্রশংসা অর্জন করতে সক্ষম হয়েছে। এই কোম্পানির প্রধান উদ্দেশ্য হল সাশ্রয়ী মূল্যে বাংলাদেশের সুবিশাল জনগোষ্ঠীর পাশাপাশি উন্নয়নশীল বিশ্বকে বিভিন্ন সংক্রামক রোগ থেকে রক্ষা করা।