প্রথম ইনিংসের মতো দ্বিতীয় ইনিংসেও ব্যাটিং বিপর্যয়ে পড়েছে বাংলাদেশ। তবে এবারের দৃশ্যপটটা একটু ভালো, কারণ এখনো ক্রিজে নামা বাকি সাকিব আল হাসানের। কিন্তু পঞ্চম দিনের পিচ কেমন আচরণ করে তার ওপর নির্ভর করছে অনেক কিছু।
ঢাকা টেস্টের প্রথম ইনিংসে ২৪ রানে ৫ উইকেট হারিয়ে মহাবিপদে পড়েছিল বাংলাদেশ।
সেখান থেকে দলকে একটা সম্মানজনক স্কোরে নিয়ে যায় মুশফিক-লিটন রেকর্ড জুটি। ৪ উইকেটে ৩৪ রান নিয়ে চতুর্থ দিনের খেলা শেষ করেছে বাংলাদেশ। ৫ম দিনে এ রিপোর্ট লেখা পর্যন্ত বাংলাদেশের সংগ্রহ ৫ উইকেটে ৫৩ রান। এখনও পিছিয়ে আছে ৮৮ রানে।
এদিকে চতুর্থ দিনে বৃহস্পতিবার (২৬ মে) ঢাকা টেস্টের প্রথম দুই সেশন কার্যত ম্যাড়ম্যাড়ে রূপ নেয়। ব্যাট হাতে বোলারদের শাসন করছিলেন দুই লঙ্কান ব্যাটার অ্যাঞ্জেলো ম্যাথিউস ও দিনেশ চান্দিমাল। এই দুই ব্যাটারের ওপর ভর করে শেষ পর্যন্ত ৫০৬ রানে গিয়ে থামে সফরকারীরা। আর তাদের লিড দাঁড়ায় ১৪১ রানে। তখন পর্যন্ত ম্যাচটি ড্রয়ের দিকেই ছিল। কারণ বাংলাদেশ দ্বিতীয় ইনিংসে ব্যাট করতে নামার আগে চতুর্থ দিনে এক ঘণ্টারও কম ব্যাট করার সময় পেয়েছিল।
কিন্তু দ্বিতীয় ইনিংসে ব্যাট করতে নেমে প্রথম ইনিংসেরই পুনরাবৃত্তি ঘটালেন বাংলাদেশি ব্যাটসম্যানরা। স্কোরবোর্ডে মাত্র ২৩ রান তুলতেই চার চারটি উইকেট হারিয়ে বসে স্বাগতিকরা। প্রথমে তামিম, এরপর নাজমুল হাসান শান্ত এবং মুমিনুলের পর সবশেষ ড্রেসিংরুমের পথ ধরেন মাহমুদুল হাসান জয়।
প্রথম ইনিংসে শূন্য রানে আউট হয়েছিলেন তামিম, এবার দ্বিতীয় ইনিংসেও সেই ধারাবাহিকতা বজায় রাখলেন। আসিথা ফার্নান্দোর বলে স্লিপে দাঁড়ানো মেন্ডিসকে যেন ক্যাচ প্রাকটিচ করালেন তামিম। নিজের ক্যারিয়ারে প্রথমবারের মতো দুই ইনিংসেই শূন্য রানে আউট হলেন এই ওপেনার। এর আগে বাংলাদেশি ওপেনারদের মধ্যে জাভেদ ওমর এবং মাহমুদুল হাসান জয়ও এমন লজ্জার রেকর্ড গড়েছিলেন।
তামিমের পর ব্যাট করতে নামা নাজমুল হাসান শান্তও বেশিক্ষণ টিকতে পারলেন না। রান আউটের ফাঁদে পড়ে মাত্র দুই রান করে ফিরে গেছেন। এরপর হতাশ করলেন দলের কাণ্ডারি মুমিনুল হক। প্রথম ইনিংসে ৯ রান করতে পারলেও দ্বিতীয় ইনিংসে ফিরছেন শূন্য রানে। যদিও রাজিথার বলে জোরাল আবেদনের পরও আম্পায়ার আউট দেননি। তবে শেষ পর্যন্ত রিভিউ নিয়ে সফল হন সফরকারীরা।
১৯ রানের মাথায় দুই উইকেট হারানোর পর দলীয় ২৩ রানে চতুর্থ উইকেট পরে বাংলাদেশের। আসিথা ফার্নান্দোর দ্বিতীয় শিকার হয়ে ২৭ বলে ১৫ রান করে ফিরে গেছেন ওপেনার মাহমুদুল হাসান জয়ও।