ইন্সটাগ্রামে হাইড লাইক ফিচার চালু হয়েছে। এ ফিচারের মাধ্যমে ব্যবহারকারীরা চাইলে তাদের পোস্টে কত জন লাইক দিল সেটি নিয়ন্ত্রণ করতে পারবেন।
শুধু তাই নয়, নতুন ফিচারের মাধ্যমে আপত্তিকর মন্তব্য সরিয়ে ফেলার অধিকার পাবেন তারা। সম্প্রতি বিবিসির এক প্রতিবেদন থেকে এ তথ্য জানা গেছে।
সোশ্যাল মিডিয়ায় ব্যবহারকারীর জনপ্রিয়তার মাপকাঠি লাইক নিয়ন্ত্রণের ফিচার সম্পর্কে এক বিবৃতিতে ইন্সটাগ্রাম বলেছে, ‘কয়েকদিন ধরে ফিচারটি নিয়ে পরীক্ষা-নিরীক্ষা করছিলাম আমরা। ব্যবহারকারীদের ফিডব্যাক থেকে আমরা জানতে পেরেছি অনেকেই সোশ্যাল মিডিয়ার পোস্টের লাইক নিয়ন্ত্রণ করতে চান। তাই ব্যবহারকারীদের মানসিক চাপ কমানোর জন্যই আমরা এ ফিচার চালুর সিদ্ধান্ত নিই।’
ইন্সটাগ্রাম কী মানসিক স্বাস্থ্যের জন্য ক্ষতিকর?
চলতি বছরের শুরুতে লন্ডনভিত্তিক থিঙ্কট্যাঙ্ক দ্য এডুকেশন পলিসি ইনস্টিটিউট ও দ্য প্রিন্সেস ট্রাস্টের এক গবেষণায় উঠে আসে সোশ্যাল মিডিয়া কমবয়সীদের জন্য বিপদজনক। এ গবেষণার পরিপ্রেক্ষিতে ইন্সটাগ্রাম বলেছে, মানসিক স্বাস্থ্যের জন্য বিপদজনক- এ কথা জানার পর অনেকে প্ল্যাটফর্মটি ব্যবহার নাও করতে পারেন।
তবে চলতি মাসেই ক্লিনিক্যাল সাইকোলজিক্যাল সায়েন্স জার্নালে প্রকাশিত যুক্তরাজ্যের অক্সফোর্ড ইন্টারনেট ইনস্টিটিউটের এক গবেষণা প্রতিবেদনে উল্লেখ করা হয়, সোশ্যাল মিডিয়ায় আসক্ত হওয়ার সঙ্গে মানসিক রোগে আক্রান্ত হওয়ার কোনো সম্পর্ক নেই।
ইন্সটাগ্রামের নতুন হাইড লাইক ফিচার অ্যাক্টিভেট করলে ব্যবহারকারীরা পোস্টে লাইকের তথ্য নিয়ন্ত্রণ করতে পারবেন-ছবি : বিবিসি
ইন্সটাগ্রামের প্রধান অ্যাডাম মসেরি জানান, নতুন ফিচার চালুর উদ্দেশ্য হলো ব্যবহারকারীরা যাতে বুঝতে পারেন তারা কতক্ষণ ধরে প্ল্যাটফর্মটি ব্যবহার করছেন। তিনি বলেন, ‘আমি মনে করছি এখানে আমাদের আরও কাজ করতে হবে।’
কীভাবে ফিচারটি অ্যাক্টিভেট করবেন?
ফিচারটি অ্যাক্টিভেট করার জন্য প্রথমে সেটিংস অপশনে যেতে হবে। তারপর নিউ পোস্ট অংশে ক্লিক করবেন। এরপর হাইড লাইক অ্যান্ড ভিউ কাউন্টস সিলেক্ট করবেন।
শিশুদের ভার্সন তৈরি করছে ইন্সটাগ্রাম
চলতি বছরের শুরুতে বিবিসি ও সিএনএনসহ একাধিক সংবাদমাধ্যমের প্রতিবেদন থেকে জানা যায়, ইন্সটাগ্রামে শিশুবান্ধব ভার্সন চালু করা হচ্ছে। ফলে যুক্তরাষ্ট্রের ৪৪টি অঙ্গরাজ্যের অ্যাটর্নি জেনারেলের এক চিঠিতে শিশুদের জন্য ইন্সটাগ্রাম আপডেট না করার অনুরোধ করা হয়।
মসেরি বলেন, ‘সন্তানদের সোশ্যাল মিডিয়া ব্যবহার করতে দেওয়ার বিষয়টি অভিভাবকরা নির্ধারণ করবেন।’