ইরাকের উত্তরাঞ্চলীয় শহর আরবিলে অন্তত এক ডজন ব্যালিস্টিক ক্ষেপণাস্ত্র হামলা হয়েছে। ইরানের বিপ্লবী গার্ড বাহিনী (আইআরজিসি) এ হামলার দায় স্বীকার করেছে বলে দেশটির রাষ্ট্রীয় গণমাধ্যম জানিয়েছে।
রবিবার প্রকাশিত এক বিবৃতিতে ইরানের এই অভিজাত বাহিনী জানিয়েছে, তারা ইরাকে ইসরায়েলি ‘কৌশলগত কেন্দ্র’ লক্ষ্য করে হামলা চালিয়েছে।
বিবৃতিতে আরও বলা হয়েছে, ইসরায়েল এ ধরনের আক্রমণের পুনরাবৃত্তি করলে তার কঠোর ও ধ্বংসাত্মক জবাব দেওয়া হবে।
গত সপ্তাহে সিরিয়ায় ইসরায়েলের হামলায় ইরানের বিপ্লবী গার্ড বাহিনীর দুই কর্মকর্তা নিহত হয়েছিলেন। এক সপ্তাহ পর আরবিলে রোববারের ওই হামলার মাধ্যমে তার প্রতিশোধ নেওয়া নিয়েছে আইজেআরসি।
এর আগে, কুর্দি নিরাপত্তা বাহিনী বলেছে, ইরাকি কুর্দিস্তানের রাজধানী আরবিল লক্ষ্য করে রোববার ১২টি ক্ষেপণাস্ত্র হামলা করা হয়েছে। হামলাস্থলে যুক্তরাষ্ট্রের একটি কনস্যুলেটও রয়েছে।
কুর্দিস্তান অঞ্চলসহ ইরাক থেকে ধীরে ধীরে সৈন্য সংখ্যা কমিয়ে ফেলছে মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র। সেখানে জঙ্গিগোষ্ঠী ইসলামিক স্টেটের (আইএস) বিরুদ্ধে লড়াইয়ে সামরিক জোটের নেতৃত্ব দিয়েছে মার্কিন সৈন্যরা।
ওয়াশিংটন প্রায়ই ইরাকে মার্কিন স্বার্থে ইরানপন্থি গোষ্ঠীগুলোর রকেট এবং ড্রোন হামলার অভিযোগ করে। এসব গোষ্ঠীর সদস্যরা ইরাকে আইএসের বিরুদ্ধে লড়াইরত মার্কিন সৈন্যদের পুরোপুরি প্রত্যাহার চায়। কিন্তু আন্তঃসীমান্ত ক্ষেপণাস্ত্র হামলার ঘটনা অত্যন্ত বিরল।
স্থানীয় টেলিভিশন চ্যানেল কুর্দিস্তান২৪ এর কার্যালয় আরবিলে মার্কিন কনস্যুলেটের কাছে অবস্থিত। সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে কুর্দিস্তান২৪ এর পোস্ট করা ছবিতে দেখা যায়, তাদের কার্যালয় ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে। ভবনের ফলস সিলিং এবং ভাঙা কাচের অংশ ছড়িয়ে ছিটিয়ে থাকতেও দেখা গেছে।
ইরাকি কুর্দিস্থানের প্রধানমন্ত্রী মাসরুর বারজানি এক বিবৃতিতে বলেছেন, আমরা আরবিলের বিভিন্ন এলাকায় চালানো এই সন্ত্রাসী হামলার নিন্দা জানাই। আমরা সেখানকার বাসিন্দাদের শান্ত থাকার আহ্বান জানাচ্ছি।
কুর্দি স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয় বলেছে, ক্ষেপণাস্ত্র হামলা একজন বেসামরিক ব্যক্তি আহত হয়েছেন।
ইরবিলের বাসিন্দারা অনলাইনে ভিডিও পোস্ট করেছেন। যাতে বেশ কয়েকটি বড় বিস্ফোরণ দেখা গেছে। কেউ কেউ বলেছেন যে বিস্ফোরণের ফলে তাদের বাড়ি-ঘর কাঁপিয়ে দিয়েছে। তবে বার্তা সংস্থা রয়টার্স জানিয়েছে, তারা স্বাধীনভাবে এই ভিডিওগুলো যাচাই করতে পারেনি।
খবর আল-জাজিরা