ইরানের কর্মসূচি সীমিত করার এবং সে দেশে আটক মার্কিন নাগরিকদের মুক্তি দেয়ার বিষয়ে ওয়াশিংটন ও তেহরান চুক্তির কাছাকাছি রয়েছে বলে যে খবর প্রকাশিত হয়েছে তা প্রত্যাখ্যান করেছেন মার্কিন পররাষ্ট্রমন্ত্রী এন্টনি ব্লিংকেন
শুক্রবার ওমানের মাধ্যমে পরোক্ষ আলোচনার বিষয়ে প্রশ্ন করা হলে ব্লিংকেন বলেন, ইরানের সাথে পরমাণু কিংবা আটক ব্যক্তিদের বিষয়ে চুক্তি হতে যাচ্ছে বলে যে খবর বেরিয়েছে তা সঠিক নয়।
এদিকে, সোমবার ইরান বলেছে, ওমানের মাধ্যমে তারা মার্কিন অবরোধ ও আটক ব্যক্তিদের নিয়ে যুক্তরাষ্ট্রের সাথে আলোচনা চালিয়ে যাচ্ছে। এ কারণে খবর ছড়িয়ে পড়ে যে বছরের পর বছর ধরে মুখোমুখি আলোচনায় অংশ না নেয়া এ দু’দেশ চুক্তিতে পৌঁছাতে পারে।
সাবেক মার্কিন প্রেসিডেন্ট বারাক ওবামার সময়ে ২০১৫ সালে ইরানের সাথে পরমাণু কর্মসূচি কমিয়ে আনার বিনিময়ে দেশটির ওপর অবরোধ শিথিল করা নিয়ে চুক্তি হয়। ওবামার উত্তরসূরি ডোনাল্ড ট্রাম্প ক্ষমতায় এসে চুক্তিটি বাতিল করেন।
বর্তমান প্রেসিডেন্ট জো বাইডেন ২০১৫ সালের চুক্তি পুনরায় ফিরিয়ে আনার আকাঙ্ক্ষা ব্যক্ত করলেও গত দু’বছরেও তা সম্ভব হয়নি।
ইরান পরমাণু অস্ত্র তৈরির চেষ্টা করছে এ অভিযোগ দেশটির ওপর অবরোধ আরোপ অব্যাহত রয়েছে। যদিও তেহরান বরাবরই বলে আসছে তাদের পরমাণু কর্মসূচির উদ্দেশ্য শান্তিপূর্ণ।
ইরানের সর্বোচ্চ নেতা আয়াতুল্লাহ আলী খামেনি গত সপ্তাহেও বলেছেন, তার দেশ পরমাণু অস্ত্র তৈরি করতে চায় না।
আমেরিকার সাথে চুক্তি হতে পারে উল্লেখ করে সোমবার তিনি বলেন, নিকট ভবিষ্যতে বন্দী বিনিময়ে সমঝোতা হতে পারে যদি ওয়াশিংটন তেহরানের মতো একই রকম আন্তরিকতা প্রদর্শন করে।
সূত্র : ভয়েস অব আমেরিকা।