ইরানের ছোড়া ৩০০ টিরও বেশি ড্রোন ও ক্ষেপণাস্ত্রের বেশিরভাগই ঠেকিয়ে দেওয়ার দাবি করেছে ইসরায়েল। আজ রোববার (১৪ এপ্রিল) এক বিবৃতিতে ইসরায়েলি প্রতিরক্ষা বাহিনী (আইডিএফ) জানিয়েছে, ইরানি ড্রোন ও ক্ষেপণাস্ত্রের ৯৯ শতাংশই প্রতিরোধ করেছে তারা ও মিত্র বাহিনী।
বিবৃতিতে বলা হয়েছে, ইসরায়েলের দক্ষিণাঞ্চলে আইডিএফের ঘাঁটিসহ বেশ কয়েকটি এলাকায় অল্প সংখ্যক ইরানি ড্রোন আঘাত হেনেছে। এতে এক শিশু আহত হয়েছে। হালকা অবকাঠামোগত ক্ষয়ক্ষতি হয়েছে।
গত ১ এপ্রিল সিরিয়ার দামেস্কে ইরানি কনস্যুলেটে হামলার বদলা হিসেবে শনিবার স্থানীয় সময় রাত ৮টার দিকে ক্ষেপণাস্ত্র ও ড্রোন ছোড়া শুরু করে। ইসরায়েলি ভূখণ্ড লক্ষ্য করে ইরানের প্রথম কোনো সরাসরি হামলা এটি।
ইসরায়েলি সেনাবাহিনী জানায়, ইরান ইসরায়েলকে লক্ষ্য করে তিন শতাধিক কিলার ড্রোন, ব্যালিস্টিক ক্ষেপণাস্ত্র এবং ক্রুজ ক্ষেপণাস্ত্র ছুড়েছিল। এর মধ্যে বেশির ভাগ ক্ষেপণাস্ত্রই যুক্তরাষ্ট্র ও ব্রিটিশ বাহিনীর সহযোগিতায় সীমান্তের বাইরে থাকতেই প্রতিহত করা হয়েছে।
তেল আবিব ছাড়া জেরুজালেমেও হামলা চালায় ইরান। রাতভর ইরানের ক্ষেপণাস্ত্র ও ড্রোন হামলার জেরে পুরো ইসরায়েলজুড়ে সাইরেনের শব্দ শোনা যায়।
এ হামলার পর, ইসরায়েলি প্রধানমন্ত্রী বেনিয়ামিন নেতানিয়াহু বলেছেন, তাঁর দেশ বিজয় অর্জন করবে। ইসরায়েলে ইরানের হামলার পর সামাজিক যোগাযোগমাধ্যম এক্সে দেওয়া এক সংক্ষিপ্ত পোস্টে এ কথা বলেন নেতানিয়াহু।
তিনি বলেন, ইসরায়েলের সেনাবাহিনী যেকোনো পরিস্থিতি মোকাবিলার জন্য প্রস্তুত।
এদিকে ইসরায়েলের প্রতিরক্ষা মন্ত্রী ইয়োভ গ্যালান্ট বলেছেন, ইরানের সঙ্গে সংঘর্ষ এখনও শেষ হয়নি। এর জবাবে রাতভর গাজার বিভিন্ন জায়গায় হামলা চালিয়েছে ইসরায়েলি বাহিনী।
খবর বিবিসি