ইরানের কেরমান শহরে ভয়াবহ বোমা হামলার নিন্দা জানিয়েছেন রুশ প্রেসিডেন্ট ভ্লাদিমির পুতিন। বুধবার (৩ জানুয়ারি) ইরানের বিপ্লবী গার্ডের কুদস ফোর্সের সাবেক প্রধান কাসেম সোলাইমানির চতুর্থ মৃত্যুবার্ষিকী উপলক্ষে সমবেত হওয়া ব্যক্তিদের ওপর এই বোমা হামলা চালানো হয়, যাতে অন্তত ১০৩ জনের মৃত্যু হয়েছে।
বোমা হামলার নিন্দা জানিয়ে ইরানের প্রেসিডেন্ট ইব্রাহিম রাইসি ও সর্বোচ্চ ধর্মীয় নেতা আয়াতুল্লাহ খামেনিকে চিঠি লিখেছেন পুতিন। তাতে তিনি লিখেছেন, সমাধিস্থলে যাওয়া শান্তিপ্রিয় মানুষদের হত্যা করার মতো নিষ্ঠুর কাজ আর নেই।
এদিকে, এ ঘটনার তীব্র নিন্দা জানিয়েছেন পাকিস্তানের তত্ত্বাবধায়ক প্রধানমন্ত্রী আনোয়ার উল হক কাকার। সামাজিক যোগাযোগমাধ্যম এক্সে তিনি লিখেছেন, কেরমানে সন্ত্রাসী হামলায় অসংখ্য প্রাণহানি ও হতাহতের ঘটনায় আমরা গভীরভাবে শোকাহত। পাকিস্তান এ ধরনের জঘন্য কাজের তীব্র নিন্দা জানাচ্ছে ও ইরানের পাশে রয়েছে।
ইরানে হামলার নিন্দা জানিয়েছে ইয়েমেনের সশস্ত্র হুথি বিদ্রোহীরাও। এটিকে ‘সন্ত্রাসী বোমা হামলা’ আখ্যা দিয়ে তারা বলেছে, এই জঘন্য ঘটনা প্রমাণ করছে যারা বৈশ্বিক আগ্রাসন মোকাবিলায় ইরান, ফিলিস্তিন ও লেবাননের প্রতিরোধ বাহিনীর বিরুদ্ধে কাজ করা শক্তিগুলো তাদের তৎপরতা বাড়িয়েছে।
ইরানে জোড়া বিস্ফোরণের ঘটনায় নিহতের সংখ্যা বেড়ে ১০৩ জনে দাঁড়িয়েছে। এ ঘটনায় এখনো আহত রয়েছেন ১৪১ জন। ইরাকে মার্কিন ড্রোন হামলায় নিহত কাসেম সোলাইমানির চতুর্থ মৃত্যুবার্ষিকী পালনকালে কেরমান প্রদেশে এই বিস্ফোরণের ঘটনা ঘটে।
বুধবার (৩ জানুয়ারি) ইরানের রাষ্ট্রীয় টেলিভিশনে জানানো হয়, জেনারেল কাসেম সোলাইমানির মৃত্যুবার্ষিকী উপলক্ষে হাজার হাজার মানুষ কেরমান প্রদেশের ‘শহীদ গুলজার’ কবরস্থানের দিকে যাওয়ার পথে ওই বিস্ফোরণ ঘটে।
প্রথম বিস্ফোরণটি হয় সোলাইমানির সমাধি থেকে ৭০০ মিটার দূরে। দ্বিতীয় বিস্ফোরণটি সমাধি থেকে এক কিলোমিটার দূরে। বেশ কয়েকটি গ্যাস সিলিন্ডারের মাধ্যমে এই বিস্ফোরণ ঘটানো হয়েছে বলে মনে করেন স্থানীয় কর্মকর্তারা।
সোলাইমানির কবর জিয়ারতকারীদের পথে বিস্ফোরণের বিষয়টি নিশ্চিত করে কেরমানের গভর্নরের রাজনৈতিক ও নিরাপত্তা উপদেষ্টা বলেন, এগুলো গ্যাস সিলিন্ডার বিস্ফোরণ ছিল নাকি সন্ত্রাসী হামলা তা এখনো স্পষ্ট নয়। প্রথম বিস্ফোরণের কিছুক্ষণ পরই দ্বিতীয় বিস্ফোরণের শব্দ শোনা গেছে।