ফের কোপা ডেল রে থেকে ছিটকে পড়ার শঙ্কা ভর করেছিল রিয়াল মাদ্রিদ শিবিরে। তবে নির্ধারিত সময়ের পরে সমতা টেনে টিকে থাকার আশা জাগান ইসকো। আর শেষ দিকে দারুণ নৈপুণ্যে দলকে কোয়ার্টার-ফাইনালে তুলেন ইডেন হ্যাজার্ড।
এলচের বিপক্ষে বৃহস্পতিবার রাতে শেষ ষোলোর ম্যাচে ২-১ গোলে জিতেছে রিয়াল। গনসালো ভের্দুর গোলে শুরুতে এগিয়ে গিয়েছিল এলচে। পরে দুই বদলি খেলোয়াড়ের নৈপুণ্যে জয় নিয়ে মাঠ ছাড়ে করিম বেনজেমা-কোর্তোয়াদের ছাড়া খেলতে নামা রিয়াল। গত অক্টোবরে এবারের লা লিগায় প্রথম দেখায় এলচের মাঠে একই ব্যবধানে জিতেছিল রিয়াল।
প্রতিপক্ষের মাঠে বৃহস্পতিবার শুরুটা ভাল হয়নি রিয়ালের। এ সুযোগে দশম মিনিটে এগিয়ে যাওয়ার দারুণ সুযোগ পেয়েছিল এলচে। তবে ফাঁকা পোস্ট পেয়েও বল জালে জড়াতে পারেননি গিদো কারিয়ো। এদিকে ম্যাচের ২৬তম মিনিটে তার হেড ঝাঁপিয়ে ঠেকান রিয়ালের গোলরক্ষক আন্দ্রি লুনিন।
প্রথমার্ধের শেষ ১৫ মিনিটে চাপ ধরে রেখে ভালো কয়েকটি আক্রমণ করে রিয়াল। কিন্তু প্রতিবারই শেষে গিয়ে খেই হারিয়ে ফেলছিল তারা।
বিরতির পর কেউই পারছিল না উল্লেখযোগ্য কিছু করতে। তবে গোল পেতে মরিয়া রিয়াল ৭২তম মিনিটে জোড়া পরিবর্তন আনে। ফেদে ভালভেরদেকে তুলে লুকা মদ্রিচ ও কামাভিঙ্গার বদলে কাসেমিরোকে নামায় তারা।
মাঠে নামার পাঁচ মিনিট পরই দারুণ একটি সুযোগ তৈরি করেন কাসেমিরো। তবে দূর থেকে নেওয়া তার শট ঝাঁপিয়ে কর্নারের বিনিময়ে ঠেকান এলচে গোলরক্ষক। খানিক পর ডি-বক্সে ফাঁকায় বল পেয়ে গোলরক্ষক বরাবর দুর্বল শট নিয়ে হতাশ করেন ভিনিসিউস।
অতিরিক্ত সময়ের ১০২তম মিনিটে বড় ধাক্কা খায় রিয়াল। নিজেদের ডি-বক্সের বাইরে বিপজ্জনক সীমানায় প্রতিপক্ষের তেতে মরেন্তেকে ফাউল করে লাল কার্ড দেখেন মার্সেলো। ওই ফ্রি কিকেই এগিয়ে যায় এলচে। গনসালো ভের্দুর প্রথম শট রক্ষণ দেয়ালে প্রতিহত হয়। ফিরতি বল পেয়ে আবার শট নেন তিনি। সামনে কাসেমিরোর পায়ে লেগে দিক পাল্টে বল জালে জড়ায়, কিছুই করার ছিল না লুনিনের। পাঁচ মিনিট পরই অবশ্য সমতায় ফেরে রিয়াল। বাঁ দিক থেকে ডি-বক্সের মাঝ বরাবর পাস দেন কাসেমিরো, শট নেন দানি সেবাইয়োস। বলের দিকে চোখ রেখে ঝাঁপিয়ে পড়েছিলেন গোলরক্ষক, সামনে দাঁড়ানো ইসকো ফ্লিকে বলের দিক পাল্টে দেন।
আর ১১৫তম মিনিটে জয়সূচক গোলটি করেন হ্যাজার্ড। আলাবার দারুণ পাস পেয়ে বিনা বাধায় বাঁ দিক দিয়ে আজার ডি-বক্সে ঢুকে পড়তে যাচ্ছিলেন। বিপদ বুঝে দ্রুত এগিয়ে আসেন গোলরক্ষক; কিন্তু ওখানেই ভুলটা করে বসেন তিনি। তাকে কাটিয়ে দূর থেকে কোনাকুনি শটে ঠিকানা খুঁজে নেন বেলজিয়াম ফরোয়ার্ড।