ফিলিস্তিনে ইসরায়েলি সৈন্যদের হাতে ৪ জনের মৃত্যু হয়েছে। এই সময় আহত হয়েছেন ৪০ জনেরও বেশি। অধিকৃত পশ্চিম তীরের জেনিনের একটি শরণার্থীশিবিরে ইসরায়েলি সেনারা অভিযান চালানোর সময় এই হতাহতের ঘটনা ঘটে। কাতারভিত্তিক সংবাদমাধ্যম আল–জাজিরার এক প্রতিবেদন থেকে এই তথ্য জানা গেছে।
আল–জাজিরার প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, স্থানীয় সময় আজ বুধবার সকাল ৮টার কয়েক ডজন ইসরায়েলি সেনা বহনকারী গাড়ি পশ্চিম তীরের ওই শরণার্থীশিবিরে প্রবেশ করে তল্লাশি শুরু করে। ফিলিস্তিনের স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয় জানিয়েছে, বুধবার সকালে নিহতদের নাম হলো—আহমেদ আলাওয়ানেহ, আবেদ হাজেম, মোহাম্মাদ আল–ওয়ানেহ এবং মোহাম্মাদ আবু না’সাহ। ফিলিস্তিনের স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয় নিশ্চিত করেছে এই ঘটনায় অন্তত ৪৪ জন গুরুতর আহত হয়েছেন।
পশ্চিম তীর থেকে আল–জাজিরার প্রতিবেদক ওয়ালিদ আল–ওমারি জানিয়েছেন, ফিলিস্তিনি সশস্ত্র গোষ্ঠী আল–আকসা শহীদ ব্রিগেড নিহত চারজনের মধ্যে ৩ জনকেই তাদের সদস্য বলে দাবি করেছে।
স্থানীয় সংবাদমাধ্যমগুলো জানিয়েছে, নিহতদের মধ্যে, ২৪ বছর বয়সী আহমেদ আলাওয়ানেহ ফিলিস্তিনে কর্তৃপক্ষের গোয়েন্দা কর্মকর্তা হিসেবে কাজ করতেন। আবেদ হাজেম চলতি বছরের এপ্রিল মাসে ইসরায়েলের তেল আবিবে যে হামলা চালানো হয়েছিল সেই গ্রুপের সদস্য রাদ হাজেমের ভাই। আবেদ হাজেমের বাবার বাড়িতে যখন ইসরায়েলি ক্ষেপণাস্ত্র আঘাত হানে তখন আবেদ এবং আলওয়ানেহ উভয়ই সেখানে ছিলেন এবং সেখানেই তাদের মৃত্যু হয়।
অপর দুই ফিলিস্তিনির মৃত্যুর বিষয়ে ইসরায়েলি সেনারা জানিয়েছে, তাঁরা একাধিক গোলাগুলির ঘটনায় জড়িত থাকা দুই সন্দেহভাজনকে গুলি করে হত্যা করেছে। চারজনের মৃত্যুর পরপরই ইসরায়েলি সেনাদের সঙ্গে বিবাদে জড়িয়ে পড়ে স্থানীয়রা। চলে দুপুর পর্যন্ত। হত্যার প্রতিবাদে স্থানীয় রাজনৈতিক দলগুলো সাধারণ ধর্মঘটের ডাক দিয়েছে। পশ্চিম তীরের জেনিন, নাবলুস, রামাল্লাহ এবং হেবরনে এই ধর্মঘটের ডাক দেওয়া হয়েছে।