ফিলিস্তিনের স্বাধীনতাকামী সংগঠন হামাস বলেছে, ইসরাইলে ৭ অক্টোবরের হামলা ছিল ফিলিস্তিনি জনগণের বিরুদ্ধে ইসরাইলের সকল ষড়যন্ত্রের মোকাবেলা এবং দখলদারিত্বের বিরুদ্ধে একটি ‘প্রয়োজনীয় পদক্ষেপ।’
তবে সংগঠনটি কিছু ভুলত্রুটির কথা স্বীকার করে বলেছে, ‘কিছু ত্রুটি ঘটেছে … ইসরায়েলি নিরাপত্তা ও সামরিক ব্যবস্থার দ্রুত পতন এবং গাজার সীমান্ত এলাকায় বিশৃঙ্খলার কারণে।’
হামাস ৭ অক্টোবরের হামলা নিয়ে এ প্রথম মুখ খুলেছে। সংগঠনটি হামলার বিষয়ে রোববার ইংরেজি ও আরবী ভাষার ১৬ পৃষ্ঠার এক প্রতিবেদনে এসব কথা বলেছে।
তারা বলেছে, ফিলিস্তিনি জনগণের বিরুদ্ধে ইসরাইলের সকল ষড়যন্ত্রের মোকাবেলার জন্য এটি ছিল একটি প্রয়োজনীয় পদক্ষেপ এবং স্বাভাবিক প্রতিক্রিয়া।
প্রতিবেদনে হামাস বলেছে, ‘আমরা জোর দিচ্ছি যে ফিলিস্তিনি জনগণের তাদের ভবিষ্যত সিদ্ধান্ত নেয়ার এবং তাদের অভ্যন্তরীণ বিষয়গুলো নির্ধারণের ক্ষমতা রয়েছে। বিশ্বের কোনো পক্ষের ‘তাদের ব্যাপারে সিদ্ধান্ত নেওয়ার অধিকার নেই।’
এ ছাড়া হামাস গাজায় ইসরাইলি আগ্রাসন অবিলম্বে বন্ধ, গাজার পুরো জনগোষ্ঠীর বিরুদ্ধে সংঘটিত অপরাধ এবং জাতিগত নিধন বন্ধ করার আহ্বান জানিয়েছে।
রিপোর্টে বলা হয়েছে, ‘যদি বেসামরিক লোকদের টার্গেট করার কোনও ঘটনা ঘটে থাকে; এটা দুর্ঘটনাক্রমে ঘটেছে এবং দখলদার বাহিনীর সঙ্গে সংঘর্ষের সময় ঘটেছে।’
এতে আরও বলা হয়েছে, ইসরায়েলি নিরাপত্তা ও সামরিক ব্যবস্থার দ্রুত পতনের কারণে এবং গাজার নিকটবর্তী অঞ্চলে বিশৃঙ্খলার কারণে আক্রমণের সময় ‘সম্ভবত কিছু ত্রুটি ঘটেছে’। অনেক ইসরায়েলি তাদের বিভ্রান্তির কারণে ইসরায়েলি সেনাবাহিনী এবং পুলিশের হাতে নিহত হয়েছে।
এদিকে ইসরায়েল হামলার সময়ে হামাসের বিরুদ্ধে গণধর্ষণের অভিযোগ এনেছে। হামাস দৃঢ়তার সাথে এ অভিযোগ প্রত্যাখ্যান করে একে চক্রান্ত হিসেবে উল্লেখ করেছে।
উল্লেখ্য, ফিলিস্তিনি সংগঠন হামাস গত ৭ অক্টোবর ইসরায়েলে হামলা চালায়। এ সময়ে এক হাজার ১৪০ ইসরায়েলি নিহত এবং প্রায় ২৫০ জনকে জিম্মি করা হয়।
ইসরায়েল একই দিন থেকে গাজায় পাল্টা হামলা শুরু করে। অব্যাহত এ হামলায় এ পর্যন্ত ২৫ হাজার ১০৫ ফিলিস্তিনি নিহত এবং ৬২ হাজার ৬৮১ জন আহত হয়েছে।