ইসরায়েল ও হামাসের মধ্যে যুদ্ধ মধ্যপ্রাচ্য জুড়ে ছড়িয়ে পড়লে জ্বালানি তেল এবং কৃষিপণ্যের মতো কাঁচামালের দাম বাড়তে পারে। বিশ্বব্যাংক সোমবার এক প্রতিবেদনে এ কথা বলেছে।
দক্ষিণ ইসরায়েলে হামাস যোদ্ধাদের হামলার প্রতিশোধ নিতে গাজায় ইসরায়েলি হামলার শুরুর পর থেকে তেলের দাম ইতিমধ্যে ৬ শতাংশ বেড়েছে।
হামাস পরিচালিত স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয় বলেছে, গাজায় ইসরায়েলের অবিরাম বোমাবর্ষণের ৮ হাজারেরও বেশি লোক নিহত হয়েছে, যার প্রায় অর্ধেক নারী ও শিশু।
ইউক্রেনে রাশিয়ার যুদ্ধ ইতিমধ্যেই তেলের বাজারের ওপর চাপ সৃষ্টি করেছে। এই যুদ্ধ ‘১৯৭০-এর দশকের পর থেকে পণ্যের বাজারের জন্য সবচেয়ে বড় ধাক্কা।’ এর মধ্যে ইসরায়েল ও হামাসের মধ্যে যুদ্ধের বিরূপ ফলাফল সম্পর্কে বিশ্বব্যাংকের প্রধান অর্থনীতিবিদ ইন্দারমিত গিল সতর্ক করেছেন।
গিল একটি বিবৃতিতে বলেন, ‘এটি বিশ্ব অর্থনীতি বিঘিœত করার যে প্রভাব ফেলেছিল যা আজও অব্যাহত রয়েছে।’
তিনি বলেন, ‘নীতিনির্ধারকদের সজাগ থাকতে হবে। যদি সংঘর্ষ বাড়তে থাকে, তাহলে কয়েক দশকের মধ্যে প্রথমবারের মতো বিশ্ব অর্থনীতি ইউক্রেনের যুদ্ধ এবং মধ্যপ্রাচ্যের সংঘাত উভয় থেকেই দ্বিগুণ ধাক্কার সম্মুখীন হবে।’
বিশ্বব্যাংক বলেছে, বিশ্বের তেলের দাম এবং রপ্তানি কি হবে তার ওপর অনেক সম্ভাব্য মূল্য বৃদ্ধি নির্ভর করবে।
একটি আশাবাদী পরিস্থিতিতে, তেল ৩ থেকে ১৩ শতাংশ বাড়তে পারে, এতে ব্যারেল প্রতি দাম বেড়ে দাঁড়াতে পারে ৯৩ থেকে ১০২ ডলার। একটি মধ্যম দৃশ্যকল্পে দাম ১২১ ডলার পর্যন্ত বৃদ্ধি পেতে পারে। সবচেয়ে খারাপ পরিস্থিতিতে তেলের দাম বেড়ে দাঁড়াতে পারে ১৪০ থেকে ১৫৭ ডলার।