1. [email protected] : admin :
  2. [email protected] : জাতীয় অর্থনীতি : জাতীয় অর্থনীতি
বৃহস্পতিবার, ২১ নভেম্বর ২০২৪, ১১:৪৯ অপরাহ্ন

ইসির সার্ভার স্টেশনে স্থায়ী সংযোগ নেই, ব্যাহত হচ্ছে কার্যক্রম

নিজস্ব প্রতিবেদক
  • আপডেট : বুধবার, ৫ মে, ২০২১

ইসি কর্মকর্তারা জানিয়েছেন, এক সময় ইসির বড় প্রকল্প ছিল ‘কনস্ট্রাকশন অব সার্ভার স্টেশন ফর ইলেক্টরাল ডাটাবেজ’ বা সিএসএসইডি প্রকল্প। ২০০৮ সালে জাতিসংঘের সহায়তায় তৎকালীন এটিএম শামসুল হুদার নেতৃত্বাধী কমিশন এটি হাতে নেয়। সে সময় ব্রিটিশ হাইকমিশনার আনোয়ার চৌধুরীর পরামর্শ ও সার্বিক সহযোগিতায় এ প্রকল্পটির বেশ দ্রুত অগ্রগতি হয়। মূলত আনোয়ার চৌধুরীর ‘ব্রেন চাইল্ড’ ছিল এই প্রকল্পটি। স্থানীয় পর্যায়ে ভোটার তালিকা প্রণয়ন থেকে শুরু জাতীয় পরিচয়পত্র প্রদানের মাধ্যমে নাগরিক সেবা জনগণের দোরগোড়ায় নেওয়াই ছিল এই প্রকল্পের মূল লক্ষ্য। সাড়ে ৫শ উপজেলা সার্ভার স্টেশন, ৬৩টি জেলা, ১১টি অঞ্চলিক সার্ভার স্টেশনের মাধ্যমে কাজ চালাচ্ছে ইসি, যেগুলোই একইসঙ্গে নির্বাচন কর্মকর্তার কার্যালয় হিসেবে ব্যবহার হয়ে আসছে।

দায়িত্বশীল কর্মকর্তারা আরও জানান, নির্বাচন কমিশনের মাঠ পর্যায়ে আগে কোনো কার্যালয় ছিল না। স্থানীয় প্রশাসনের কোনো কামরায় নির্বাচন কর্মকর্তারা অফিস চালাতেন। এই প্রকল্পটির মাধ্যমেই বিভাগে আঞ্চলিক সার্ভার স্টেশন, জেলায় জেলা সার্ভার স্টেশন ও থানা/উপজেলায় উপজেলা সার্ভার স্টেশন গড়ে তোলা হয়। যার ফলে মাঠ পর্যায়ে ইসি পায় নিজস্ব কার্যালয়।

বর্তমানে এসব কার্যালয়ে জাতীয় পরিচয়পত্রসহ অন্যান্য সেবা বিকেন্দ্রীকরণ করে দিয়েছে ইসি। নির্বাচন কিংবা এনআইডি সংক্রান্ত যেকোনো কাজের জন্যই প্রয়োজন নিজস্ব যোগাযোগ ব্যবস্থা। আর যেটা করা হয় ইন্ট্রানেটের মাধ্যমে। কিন্তু নির্বাচন কমিশনের জেলা, বিভাগীয় কার্যালয়গুলো সেই সংযোগ স্থায়ী করা হলেও, উপজেলায় নেই। সেখানে স্থায়ী সংযোগ না থাকায় কাজ চালাতে হয় মডেম ব্যবহার করে ভিপিএনের মাধ্যমে। ফলে মাঠ পর্যায়ে সেবা নিরবচ্ছিন্ন রাখা প্রায়ই বিঘ্নিত হচ্ছে।
সভার কার্যবিবরণীতে বলা হয়েছে- সিস্টেম ম্যানেজার মো. রফিকুল হক বৈঠকে জানান, বর্তমানে মাঠ পর্যায়ের আঞ্চলিক নির্বাচন কর্মকর্তার কার্যালয় এবং সকল সিনিয়র জেলা/জেলা নির্বাচন কর্মকর্তার কার্যালয়ে বিটিসিএল এর অপটিক্যাল ফাইবার এর মাধ্যমে সুষ্ঠুভাবে কার্যক্রম সম্পাদন করা হচ্ছে। কিন্তু উপজেলা পর্যায়ে বিটিসিএল এর উক্ত সংযোগ না থাকায় কার্যক্রম বাধাগ্রস্ত হচ্ছে। উপজেলা পর্যায়ে মডেমের মাধ্যমে কার্যক্রম গ্রহণ করা হচ্ছে। মডেমের মাধ্যমে কাঙ্খিত সেবা দেওয়া বেশ কঠিন।

এর পরিপ্রেক্ষিতে সভায় সিদ্ধান্ত হয় দ্রুত বিটিসিএলর সঙ্গে যোগাযোগ করে স্থায়ী সংযোগ স্থাপনের। আর দায়িত্ব দেওয়া হয় সিস্টেম ম্যানেজার রফিকুল হককে। তিনি এ বিষয়ে বলেন, উপজেলা পর্যায়ে বিটিসিএল এর সংযোগের বিষয়ে বিটিসিএল এর ব্যবস্থাপনা পরিচালকের সঙ্গে আলোচনা হয়েছে। নির্বাচন কমিশন সচিবালয় থেকে উপজেলা পর্যায়ে সংযোগ স্থাপনের জন্য চিঠি দেওয়া হলে তারা দ্রুত কার্যকরী ব্যবস্থা গ্রহণ করবেন বলে জানিয়েছে। এক্ষেত্রে বিটিসিএলের কাছ থেকে ২ এমবিপিএস এর ভিপিএন সেবা গ্রহণের বিষয়টি প্রক্রিয়াধীন।

Please Share This Post in Your Social Media

এই বিভাগের আরো সংবাদ
© ২০২০ দৈনিক জাতীয় অর্থনীতি