নির্বাচন কমিশন (ইসি) গঠনে সংবিধানের নির্দেশনা মেনে আইন চান অধিকাংশ রাজনৈতিক দলের শীর্ষ নেতারা। তারা বলেছেন-সংলাপে গিয়ে কোনো লাভ নেই। অবাধ, সুষ্ঠু ও নিরপেক্ষ নির্বাচন নিশ্চিত করার জন্য স্বাধীন, শক্তিশালী এবং কার্যকর নির্বাচন কমিশনের বিকল্প নেই। এজন্য প্রয়োজন আইনি অবকাঠামোর ভেতরে থেকে নিরপেক্ষ ও সবার কাছে গ্রহণযোগ্য ব্যক্তিদের সমন্বয়ে ইসি গঠন। দলগুলোর মতে, রাষ্ট্রপতি ইসি গঠনে এর আগেও সংলাপে বসেছেন। দিনশেষে এই সংলাপ কার্যত আনুষ্ঠানিকতা ছাড়া আর কোনো ফল বয়ে আনেনি। এবারও হয়তো এর ব্যতিক্রম হবে না বলে আশঙ্কা প্রকাশ করছেন তারা।
আগামী ১৪ ফেব্রুয়ারি কেএম নূরুল হুদার নেতৃত্বাধীন বর্তমান ইসির মেয়াদ শেষ হচ্ছে। ১৫ ফেব্রুয়ারি নতুন কমিশনকে দায়িত্ব নিতে হবে। সংবিধানে একটি আইনের মাধ্যমে ইসি গঠনের নির্দেশনা আছে। কিন্তু গত ৫০ বছরে কোনো সরকার এই আইন প্রণয়নে উদ্যোগ নেয়নি। আর আইন না থাকায় নির্বাচন কমিশনার হওয়ার সুনির্দিষ্ট কোনো মানদণ্ডও নেই। দেশের রাষ্ট্রপতি প্রধান নির্বাচন কমিশনার (সিইসি) এবং কমিশনারদের (ইসি) নিয়োগ দেন। এবারও পরবর্তী নির্বাচন কমিশন গঠনে রাজনৈতিক দলগুলোর পরামর্শ নিতে সংলাপ আহ্বান করেছেন রাষ্ট্রপতি মো. আবদুল হামিদ। কাল সোমবার বিকাল ৪টায় বঙ্গভবনে এই সংলাপ শুরু হবে। প্রথমদিন সংসদে প্রধান বিরোধী দল জাতীয় পার্টিকে সংলাপের আমন্ত্রণ জানানো হয়েছে। একদিন বিরতি দিয়ে বুধবার রাষ্ট্রপতির সঙ্গে সংলাপে বসবে হাসানুল হক ইনুর নেতৃত্বাধীন জাতীয় সমাজতান্ত্রিক দল-জাসদ। পর্যায়ক্রমে নিবন্ধিত সব রাজনৈতিক দলকে আমন্ত্রণ জানানো হবে এই সংলাপে।
খোঁজ নিয়ে জানা গেছে, জাতীয় পার্টির চেয়ারম্যান ও জাতীয় সংসদের বিরোধীদলীয় উপনেতা জিএম কাদেরের নেতৃত্বে আট সদস্যের একটি প্রতিনিধি দল রাষ্ট্রপতির সঙ্গে সংলাপে অংশ নেবেন। প্রতিনিধি দলে আরও আছেন-দলটির মহাসচিব মুজিবুল হক চুন্নু এমপি, সিনিয়র কো-চেয়ারম্যান ব্যারিস্টার আনিসুল ইসলাম মাহমুদ এমপি, কো-চেয়ারম্যান এবিএম রুহুল আমিন হাওলাদার, অ্যাডভোকেট কাজী ফিরোজ রশীদ এমপি, সৈয়দ আবু হোসেন বাবলা এমপি, অ্যাডভোকেট সালমা ইসলাম এমপি এবং প্রেসিডিয়াম সদস্য ও বিরোধীদলীয় চিফ হুইপ মশিউর রহমান রাঙ্গা এমপি। জানতে চাইলে এ প্রসঙ্গে জিএম কাদের যুগান্তরকে বলেন, নির্বাচন কমিশন গঠনে আমরা সংবিধান অনুযায়ী আইন প্রণয়নের দাবি জানিয়ে আসছি। সরকারের একাধিক মন্ত্রীও আইন প্রণয়নের কথা বলেছেন। তারপরও মহামান্য রাষ্ট্রপতি অতীতের মতো এবারও ইসি গঠনে রাজনৈতিক দলগুলোর সঙ্গে সংলাপে বসার সিদ্ধান্ত নিয়েছেন। এতে আমাদেরও আপত্তি নেই। রাষ্ট্রপতির সঙ্গে বৈঠকে আমাদের বক্তব্য তুলে ধরব।
ইসি গঠনের জন্য এর আগে ২০১৬ সালের ১৮ ডিসেম্বর বিএনপির সঙ্গে আলোচনার মধ্য দিয়ে সংলাপ শুরু করেছিলেন রাষ্ট্রপতি মো. আবদুল হামিদ। এক মাস ধরে ৩১টি দলের সঙ্গে আলোচনা করেন তিনি। এবারও তিনি একই পথে হাঁটছেন। এবারও ৩১টি দলকেই আমন্ত্রণ জানানো হবে। সেক্ষেত্রে একাধিক দল নিয়ে একই দিনে সংলাপ করতে পারেন রাষ্ট্রপতি।
ইসি গঠন সংক্রান্ত আইন না থাকায় সরকার নিজেদের পছন্দ অনুযায়ী সার্চ কমিটি ও কমিশন গঠনের সুযোগ পায় বলে মনে করছে অধিকাংশ রাজনৈতিক দল। তাদের মতে, সংবিধানের ৪৮(৩) অনুচ্ছেদ অনুযায়ী, প্রধানমন্ত্রী ও প্রধান বিচারপতি পদে নিয়োগ ছাড়া অন্য সব দায়িত্ব পালনের ক্ষেত্রে রাষ্ট্রপতিকে প্রধানমন্ত্রীর পরামর্শ অনুযায়ী কাজ করতে হয়। এ কারণে নিবন্ধিত বেশির ভাগ রাজনৈতিক দলই চায় ইসি গঠনের আগে সংবিধানের নির্দেশনা মেনে আইন প্রণয়ন।
ক্ষমতাসীন আওয়ামী লীগের পক্ষ থেকে রাষ্ট্রপতির সংলাপে বসার উদ্যোগকে সাধুবাদ জানানো হলেও মাঠের বিরোধী দল বিএনপি মনে করে, বিষয়টি ‘কার্যত লোক দেখানো’ ছাড়া আর কিছুই নয়। এ প্রসঙ্গে আওয়ামী লীগের যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক মাহবুবউল আলম হানিফ এমপি যুগান্তরকে বলেন, রাজনৈতিক দলগুলোর সঙ্গে সংলাপ এবং সার্চ কমিটির মাধ্যমে ইসি গঠন সর্বোচ্চ স্বচ্ছতা এবং গণতান্ত্রিক প্রক্রিয়ারই অংশ। আমি মনে করি, সবার উচিত রাষ্ট্রপতির সংলাপে অংশ নেওয়া এবং ইসি গঠনে ভূমিকা রাখা। সংলাপে অংশ নেওয়ার জন্য তিনি সব দলের প্রতি আহ্বান জানান।
ইসি গঠনে বিভিন্ন রাজনৈতিক দলের আইন প্রণয়নের দাবির পরিপ্রেক্ষিতে তিনি বলেন, এটা ঠিক নানান কারণে এই আইনটি হয়নি। মনে রাখতে হবে, যুদ্ধাপরাধীদের বিচারসহ অতীতের এত বেশি পেইন্ডিং কাজ আমাদের এই সময়ে শেষ করতে হয়েছে, হয়তো এ কারণে আইন প্রণয়নে দেরি হয়েছে। তবে আমরা যথেষ্ট আন্তরিক আইন প্রণয়নের বিষয়ে। আমরা দেশবাসীকে আশ্বস্ত করতে পারি, দ্রুত এই আইনটি হবে।
অন্যদিকে বিএনপির মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর যুগান্তরকে বলেন, আমরা এখনো সংলাপের আমন্ত্রণের চিঠি পাইনি। চিঠি পাওয়ার পর এ ব্যাপারে দলীয় ফোরামে আলোচনা করে চূড়ান্ত সিদ্ধান্ত নেওয়া হবে। দলটির স্থায়ী কমিটির সিনিয়র সদস্য ড. খন্দকার মোশাররফ হোসেন এ প্রসঙ্গে বলেন, অতীতে রাষ্ট্রপতি রাজনৈতিক দলগুলোর সঙ্গে সংলাপ করেছেন। এরপর সার্চ কমিটিও করেছেন। কিন্তু ইতিবাচক কোনো ফল পাওয়া যায়নি। সংলাপ ও সার্চ কমিটির মাধ্যমে যে কমিশন গঠন করা হয়েছিল তারা পুরোপুরি সরকারের আজ্ঞাবহ ছিলেন। তাই ইসি গঠনের লক্ষ্যে রাষ্ট্রপতির সংলাপের প্রতি মানুষের কোনো আগ্রহ নেই। মানুষ মনে করে সংলাপসহ যা কিছুই হোক শেষ পর্যন্ত সরকারের ইচ্ছার বাইরে গিয়ে কিছুই করা সম্ভব হবে না।
জানতে চাইলে এ প্রসঙ্গে আওয়ামী লীগ নেতৃত্বাধীন ১৪ দলীয় জোটের অন্যতম প্রধান শরিক দল বাংলাদেশের ওয়ার্কার্স পার্টির সভাপতি রাশেদ খান মেনন এমপি যুগান্তরকে বলেন, সার্চ কমিটির নামে নির্বাচন কমিশন গঠনের মাধ্যমে প্রতিবারই একই চক্রে ঘুরপাক খাচ্ছি আমরা। এর ফলে ইসি গঠন নিয়ে বিতর্ক তৈরি হয়। নানান প্রশ্নেরও জন্ম হয়। তিনি আরও বলেন, সংবিধানের ১১৮-এর ১ অনুচ্ছেদে আইনের বিধান সাপেক্ষে ইসি গঠনের কথা বলা আছে। একই সঙ্গে কমিশনার হওয়ার শর্তাবলিও আইন দ্বারা ঠিক করার কথা বলা আছে। অথচ এটি না করে রাষ্ট্রপতি সার্চ কমিটির মাধ্যমে ইসি গঠন করছেন। এর আগে তিনি রাজনৈতিক দলগুলোর সঙ্গে সংলাপে বসছেন, মতামত নিচ্ছেন। অথচ রাষ্ট্রপতির কাজ এটা নয়। রাশেদ খান মেনন প্রশ্ন রেখে বলেন, সংবিধান অনুযায়ী রাষ্ট্রপতি প্রধানমন্ত্রীর পরামর্শ মেনে নিতে বাধ্য। এখানে আমাদের পরামর্শ নিয়ে তার কী লাভ? তিনি তো আমাদের মতামত বা পরামর্শ মানতে বাধ্য নন।
এ প্রসঙ্গে বাংলাদেশের কমিউনিস্ট পার্টির (সিপিবি) সভাপতি মুজাহিদুল ইসলাম সেলিম বলেন, এর আগেও আমরা ইসি গঠন নিয়ে রাষ্ট্রপতির সঙ্গে সংলাপে বসেছি। কিন্তু লাভ হয়নি। কারণ তার হাতে কিছু নেই, তার করণীয়ও কিছু নেই। সংলাপে বসার নামে বঙ্গভবনে গিয়ে কেবল চা-বিস্কুট খাওয়ার কোনো অর্থ আছে বলে মনে হয় না। তিনি আরও বলেন, আমরা আগেও বলেছি, এখনো বলছি-সংবিধান মেনে আইন প্রণয়ন করতে হবে। একটি স্বাধীন ও শক্তিশালী নির্বাচন কমিশন গঠন করতে হবে। যারা কালোটাকা ও পেশিশক্তির প্রভাবমুক্ত অবাধ, সুষ্ঠু, নিরপেক্ষ এবং গ্রহণযোগ্য নির্বাচন উপহার দিতে সক্ষম হবে।
জাতীয় সমাজতান্ত্রিক দল-জাসদ সভাপতি হাসানুল হক ইনু এ প্রসঙ্গে বলেন, আমরা সংলাপে অংশ নেব। রাষ্ট্রপতি যাতে কমিশন নিয়োগের স্থায়ী কাঠামো তৈরির উদ্যোগ নেন, পাশাপাশি একটি শক্তিশালী, গ্রহণযোগ্য এবং দক্ষ কমিশন গঠনেরও দাবি জানানো হবে। তিনি আরও বলেন, ইসি গঠনে সংবিধানে আইন প্রণয়নের কথা সুস্পষ্টভাবে বলা আছে। আমরা মনে করি আইন করে ইসি নিয়োগে একটি স্থায়ী ব্যবস্থা দেশের জন্য বাঞ্ছনীয়। আইনি শূন্যতাটা থাকা কারও জন্যই মঙ্গল বয়ে আনবে না।
বিএনপি নেতৃত্বাধীন ২০ দলীয় জোটের অন্যতম শরিক দল লিবারেল ডেমোক্রেটিক পার্টি-এলডিপির প্রেসিডেন্ট ড. কর্নেল (অব.) অলি আহমদ বলেন, এখনো চিঠি পাইনি। আর এ চিঠির কোনো মূল্যও নেই। কারণ এই সরকারকে বিশ্বাস করা যায় না। এখনো পর্যন্ত দলের সিদ্ধান্ত সংলাপে না যাওয়ার। বিগত দিনে আমরা সংলাপে গিয়েছিলাম। কিন্তু সরকার কোনো কার্যকর ব্যবস্থা গ্রহণ করেনি। এই সরকার কখনো জনগণের আশা-আকাঙ্ক্ষার প্রতিফলন ঘটানোর জন্য কোনো কাজ করে না। তাদের সুবিধার জন্য কাজ করে।
বাংলাদেশ কল্যাণ পার্টির চেয়ারম্যান মেজর জেনারেল (অব.) সৈয়দ মুহাম্মদ ইবরাহিম বলেন, আমাদের দাবি থাকবে নির্বাচন কমিশন গঠনে একটা আইন করা প্রয়োজন। আইন করা সম্ভব না হলে সিন্ডিকেট প্রথা বর্জন করতে হবে। সিন্ডিকেট করে নাম জমা দিয়ে গতবার যেমন নির্বাচন কমিশন গঠন করা হয়েছিল, এবার যেন এ কাজ করা না হয়। অর্থাৎ আওয়ামী লীগের পছন্দ অনুযায়ী আরেকটি দলকে দিয়ে নাম দেওয়ার প্রথা। নিরপেক্ষ নির্বাচন কমিশন না হলে বাংলাদেশে তৃতীয়বারের মতো আরেকটি কেলেঙ্কারি হবে। অনুরোধ করব, একটা কার্যকর কমিশন গঠনের জন্য যা যা পদক্ষেপ নেওয়া দরকার তাই যেন নেওয়া হয়।
বাংলাদেশ জাতীয় পার্টি-বিজেপির চেয়ারম্যান ব্যারিস্টার আন্দালিব রহমান পার্থ বলেন, চিঠি পাইনি। পেলে সংলাপে যাব কিনা বা গেলে কী কথা বলব তা দলীয় ফোরামে আলোচনা করে ঠিক করব। গতবার তো আমরা সংলাপে গিয়েছিলাম। ওই সংলাপের পর যে নির্বাচন কমিশন গঠন করা হলো, সেই কমিশন যে ভূমিকা পালন করেছে-এটা তো গোটা জাতি দেখেছে। আমি জানি না এ ধরনের সংলাপ কতখানি ফলপ্রসূ হবে। জনগণের আকাঙ্ক্ষা পূরণ হবে কিনা তা নিয়েও আমরা সন্দিহান। রাষ্ট্রপতির সাংবিধানিক ক্ষমতা যদিও অনেক কম, তারপরও রাষ্ট্রপতির একটা পজিশন থেকে কথা বলারও অনেক ক্ষমতা থাকে। সেখানেও যে ভূমিকা দেখেছি তাতে তো জাতি হতাশ।
বাংলাদেশ ন্যাশনাল আওয়ামী পার্টি-ন্যাপের মহাসচিব এম গোলাম মোস্তফা ভূঁইয়া বলেন, রাষ্ট্রের অভিভাবক ডাকলে আমরা অবশ্যই সংলাপে যাব। গতবার সংলাপে প্রস্তাব দিয়েছিলাম, একটি সুনির্দিষ্ট আইনের প্রয়োজন। কিন্তু দুঃখজনক হলেও সত্য, গত সংলাপের পর পাঁচ বছর পার হলেও সরকার আইন করতে পরেনি। মহামান্য রাষ্ট্রপতির উচিত একটি অধ্যাদেশ জারির মধ্য দিয়ে হলেও সামনে ইংরেজি নববর্ষ উপলক্ষ্যে সংসদে একটি অধিবেশন আহ্বান করা। সেখানে একটি সুনির্দিষ্ট আইন প্রণয়ন করা। তিনি আরও বলেন, স্বাধীনতার ৫০ বছরে আইন করতে না পারার কারণেই বারবার নির্বাচন কমিশন নিয়ে বিতর্ক হচ্ছে। যা সব শাসকগোষ্ঠীর জন্য একটি ব্যর্থতা। এবারও আমাদের মূল এজেন্ডা থাকবে নির্বাচন কমিশন গঠনে আইন প্রণয়নের বিষয়টি।
ইসলামী আন্দোলন বাংলাদেশের কেন্দ্রীয় যুগ্ম মহাসচিব গাজী আতাউর রহমান বলেন, ২৩ ও ২৫ ডিসেম্বর দলের কেন্দ্রীয় কমিটির বৈঠক রয়েছে। রাষ্ট্রপতির ডাকা সংলাপের বিষয়ে ওই বৈঠকে আলোচনা হবে। কারণ এর আগে রাষ্ট্রপতির আহ্বানে আমরা সংলাপে গিয়েছিলাম। কিন্তু সরকার তো তাদের মতো করেই কমিশন গঠন করে। আওয়ামী লীগ নির্বাচন কমিশন করবে, তাদের প্রেসক্রিপশন অনুযায়ীই সবকিছু হবে। এতে করে নির্বাচনের কোনো গুণগত পরিবর্তন আসে না, আসবেও না।
ন্যাশনাল পিপলস পার্টি-এনপিপির চেয়ারম্যান শেখ ছালাউদ্দিন ছালু বলেন, সংলাপের চিঠি পেলে যাব। আমাদের দাবি থাকবে শক্তিশালী নির্বাচন কমিশন গঠন। সৎ, নিরপেক্ষ ও যাদের মেরুদণ্ড আছে তাদের দিয়ে যেন কমিশন গঠন করা হয়। এছাড়া নির্বাচন কমিশন গঠনে একটি নির্দিষ্ট আইন করারও দাবি জানাব।