ই-কমার্সের সব ধরনের বিজ্ঞাপনে সতর্কবাণী বাধ্যতামূলক ভাবে রাখার সিদ্ধান্ত নিয়েছে বাণিজ্য মন্ত্রণালয়। বাণিজ্য মন্ত্রণালয়ের ডব্লিউটিও সেল (কেন্দ্রীয় ই-কমার্স সেল) সূত্র এ তথ্য জানিয়েছে। নতুন নিয়মটি চালু করতে ইতোমধ্যে তথ্য ও সম্প্রচার মন্ত্রণালয়ে চিঠি দেওয়া হয়েছে।
রোববার (৩ অক্টোবর) বিকেলে এক সরকারি তথ্যবিবরণীতে এ নির্দেশনা দেওয়া হয়।
এতে বলা হয়, ‘অনলাইন কেনাকাটায় প্রতারণা হতে সাবধান থাকুন- বাণিজ্য মন্ত্রণালয়’ শীর্ষক সতর্কীকরণ বিজ্ঞপ্তি ইলেক্ট্রনিক, প্রিন্ট ও সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে প্রচারিত অনলাইন কেনাকাটার বিজ্ঞাপনের শেষে অন্তর্ভুক্ত করার নির্দেশ দিয়েছে বাণিজ্য মন্ত্রণালয়।
এর আগে গত সপ্তাহে বাধ্যতামূলকভাবে অনলাইন বিজ্ঞাপনে সতর্কবার্তা প্রচারের জন্য তথ্য ও সম্প্রচার মন্ত্রণালয়ে চিঠি পাঠায় বাণিজ্য মন্ত্রণালয়ের কেন্দ্রীয় ডিজিটাল কমার্স সেল।
সংশ্লিষ্ট মন্ত্রণালয়ের কেন্দ্রীয় ডিজিটাল কমার্স সেল থেকে পাঠানো চিঠিতে বলা হয়, অনলাইন কেনাকাটায় প্রতারণা হতে সাবধান থাকুন-বাণিজ্য মন্ত্রণালয়’ সতর্কবার্তাটি অবশ্যই ইলেক্ট্রনিক মিডিয়াসহ সব গণমাধ্যমে অনলাইন কেনাকাটার বিজ্ঞাপনের শেষে প্রচার করতে হবে।
এর আগে ই-কমার্স প্রতিষ্ঠানের প্রতারণা ঠেকাতে ডিজিটাল কমার্স পরিচালনা নির্দেশিকা জারি করে বাণিজ্য মন্ত্রণালয়ের কেন্দ্রীয় ডিজিটাল কমার্স সেল।
এতে বলা হয়, সম্প্রতি বিভিন্ন ই-কমার্স প্রতিষ্ঠান কর্তৃক ভোক্তাসাধারণের প্রতারিত হওয়ার তথ্য পাওয়া যাচ্ছে। এ সমস্যা নিরসনে সরকার এরই মধ্যে ডিজিটাল কমার্স পরিচালনা নির্দেশিকা-২০২১ জারি করেছে।
এ নির্দেশিকা অনুসারে- অগ্রিম পরিশোধের ক্ষেত্রে ক্রেতা ও বিক্রেতা একই শহরে অবস্থান করলে ক্রয়াদেশ গ্রহণের পরবর্তী সর্বোচ্চ পাঁচদিন এবং ভিন্ন শহরে বা গ্রামে অবস্থিত হলে সর্বোচ্চ ১০ দিনের মধ্যে পণ্য ডেলিভারির বিধান রাখা হয়েছে।
এছাড়া গ্রাহকের সুরক্ষার স্বার্থে পণ্য ডেলিভারি দেওয়ার পর পেমেন্ট গেটওয়ে থেকে অর্থ ছাড়করণের জন্য বাংলাদেশ ব্যাংক কর্তৃক নির্দেশনা (পিএসডি সার্কুলার নং-০৮; তাং-৩০/০৬/২০২১ খ্রি.) জারি করা হয়েছে। এক্ষেত্রে অনলাইন পেমেন্ট অপেক্ষাকৃত নিরাপদ।
এতে আরও বলা হয়, ডিজিটাল কমার্স পরিচালনাকারী প্রতিষ্ঠান থেকে সতর্কতার সঙ্গে পণ্য ক্রয়ের জন্য ক্রেতাসাধারণকে অনুরোধ করা হলো। একই সঙ্গে ডিজিটাল কমার্স প্রতিষ্ঠানসমূহের ব্যবসা পরিচালনায় ‘ডিজিটাল কমার্স পরিচালনা নির্দেশিকা-২০২১’ এর ব্যত্যয় দেখা গেলে সংশ্লিষ্ট প্রতিষ্ঠানের ওয়েবসাইট বন্ধ করাসহ অন্যান্য আইনানুগ ব্যবস্থা নেওয়া হবে।