ঈদুল ফিতরে সারা দেশে অন্তত ৬০০ গাড়িতে যাত্রীসেবা দেবে বাংলাদেশ সড়ক পরিবহন করপোরেশন (বিআরটিসি)। তবে সেই রুটপ্ল্যান এবং এ সংক্রান্ত বিস্তারিত তথ্য আগামী সপ্তাহে জানাবে সংস্থাটি।
সোমবার (১৮ মার্চ) বিআরটিসির অতীত, বর্তমান এবং ভবিষ্যত কর্মপন্থা নিয়ে আয়োজিত সংবাদ সম্মেলনে এ তথ্য জানান সংস্থাটির চেয়ারম্যান তাজুল ইসলাম।
এ সময় তিনি বলেন, এক সময়ের খুঁড়িয়ে চলা বিআরটিসি এখন উন্নয়নের রোল মডেল।
মো. তাজুল ইসলাম বলেন, বিআরটিসি এক সময়ে অলাভজনক সরকারি প্রতিষ্ঠান হলেও বর্তমানে একটি লাভজনক প্রতিষ্ঠান। লাভের পাশাপাশি সেবা বাড়ানোর চেষ্টায় আমরা কাজ করছি। অনেকে আমাকে প্রশ্ন করেন, বিআরটিসির যাত্রী কমেছে কি না। কিন্তু না, বর্তমানে দ্বিগুণ হয়েছে যাত্রী, আয়ও হচ্ছে দ্বিগুণ।
তিনি বলেন, গত বছরের তুলনায় যাত্রী ২৫ শতাংশ বেড়েছে। আগে আমরা ছয় কোটি ৩০ লাখ টাকা বেতন দিয়েছি। তাও আবার চার মাস আগের বকেয়া বেতন। কিন্তু বর্তমানে আমরা ১০ কোটি ৬৩ লাখ টাকা বেতন দিচ্ছি। প্রতি মাসের বেতন প্রতি মাসের ১ তারিখে দিয়ে দিচ্ছি। বেতন-বোনাস সবই পরিশোধ করছি। এ ছাড়া বকেয়া বেতন-বোনাসও পরিশোধ করছি।
তিনি বলেন, আমরা গত সপ্তাহে ঈদে উপলক্ষে মিটিং করেছি। সেখানে সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে যে, ঢাকা শহরে আমাদের ৬০০টি বাস আছে। এখান থেকে ঢাকা শহরের জন্য ৫০টি বাস রেখে বাকি ৫৫০টি বাস ঈদ সার্ভিসে যুক্ত করা হবে। এ ছাড়া আমাদের বাকি দূরপাল্লার বাসগুলো নিয়মিত চলবে। এবার ঈদের ছুটি লম্বা হওয়ায় এ সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে।
ঈদ পরিকল্পনা সম্পর্কে জানতে চাইলে তিনি বলেন, আমরা পত্রিকায় গণ বিজ্ঞপ্তি আকারে কয়েকদিনের মধ্যেই জানিয়ে দেব বিষয়টি।
তাজুল ইসলাম বলেন, আমাদের বহরের গাড়িগুলোর মাত্র ৩৪টি লিজে আছে। এর বাইরে লিজে আর গাড়ি চালাবো না আমরা। এটি শূন্যের কোঠায় নামিয়ে আনা হবে।
তিনি বলেন, ২০২০ সালে বিআরটিসির ১ হাজার ৮২৫টি বাসের মধ্যে ৮৮৫টি বাস অনরুটে ছিল; ২০২১ সালে ১ হাজার ৭৬২টি বাসের মধ্যে ১ হাজার ১০৬টি বাস অনরুটে ছিল, ২০২২ সালে ১ হাজার ৩৫০টি বাসের মধ্যে ১ হাজার ২৩৩টি বাস অনরুটে ছিল এবং ২০২৩ সালে ১ হাজার ৩৫০টি বাসের মধ্যে ১ হাজার ২৫৩টি বাস অনরুটে ছিল।
তিন ঘণ্টাব্যাপী চলা তথ্যচিত্র ও ব্রিফিংয়ে সংস্থাটির পক্ষ থেকে বিভিন্ন উন্নয়নচিত্র তুলে ধরা হয়।