মোঃ ওসমান গনি (ইলি) কক্সবাজার: কক্সবাজারের উখিয়া ও টেকনাফে অভিযান চালিয়ে বিদেশি আগ্নেয়াস্ত্র ও গোলাবারুদসহ পাঁচজনকে গ্রেপ্তার করেছে পুলিশ। গ্রেপ্তারকৃতরা হলেন উখিয়া জালিয়াপালং ইউপির মাদারবনিয়া এলাকার মোহাম্মদ ছৈয়দের ছেলে মোস্তাক আহমদ (৩৭), মোস্তাক আহমদের স্ত্রী লতিফা আক্তার (৩৪), মৃত নুর নবীর ছেলে কাশেম ওরফে মনিয়া (৩৮), মহেশখালীর মাঝের ডেইল এলাকার আনজু মিয়ার ছেলে রবিউল আলম (২৮), শুক্করিয়া পাড়ার মৃত আবুল কাশেমের ছেলে মো. বেল্লাল হোসেন (৩৮)। বৃহস্পতিবার বিকেল সাড়ে তিনটায় সংবাদ সম্মেলনে সাংবাদিকদের এ তথ্য জানান পুলিশ সুপার মো. মাহফুজুল ইসলাম।
কতিপয় ডাকাত ও অস্ত্র ব্যবসায়ী মিয়ানমার থেকে বিদেশি আগ্নেয়াস্ত্র ও গুলি বাংলাদেশের অভ্যন্তরে নিয়ে এসে অপরাধী চক্রের কাছে হস্তান্তরের জন্য সংঘবদ্ধ হয়েছে বলে গোপন খবরে পুলিশ জানতে পেরে অভিযান চালায় উখিয়া ও টেকনাফ থানার একদল পুলিশ সদস্য।
অভিযানে তথ্যপ্রযুক্তির সহায়তায় উখিয়া থানার মাদারবুনিয়া এলাকায় গহীন পাহাড়ে অপরাধীদের অবস্থান নির্ণয় করে টানা ৩-৪ ঘণ্টার চেষ্টায় দুর্ধর্ষ মোস্তাকসহ অস্ত্র ব্যবসায়ী রবি আলম, কাশেম এবং মোস্তাকের স্ত্রীকে দুইটি ওয়ান শুটার গান (এলজি), ৭৭ রাউন্ড গুলি এবং ২৪টি গুলির খোসাসহ গ্রেপ্তার করা হয় বলে জানান তিনি।
তিনি আরও জানান, এসময় ঘটনাস্থল থেকে তাদের দলের কতিপয় সদস্য কৌশলে পালিয়ে যায়। তাদের পলাতক সদস্যদের নিকট আরও আগ্নেয়াস্ত্র ও গুলি রয়েছে বলে গ্রেপ্তারকৃতদের জিজ্ঞাসাবাদে জানা যায়। পরে পলাতকদের গ্রেপ্তার ও আগ্নেয়াস্ত্র উদ্ধারের জন্য পালংখালী দুর্গম পাহাড়ে অস্ত্র ব্যবসায়ী রবি আলমের আস্তানায় অভিযান চালিয়ে পলাতক বেল্লালকে গ্রেপ্তার করা হয়।
পুলিশ সুপার মাহফুজ জানান, বেল্লালের দেয়া তথ্যের ভিত্তিতে শামলাপুর এলাকায় বালির নিচে রাখা একটি বিদেশি এ-৩ রাইফেল, একটি ম্যাগাজিন ও ১৫ রাউন্ড তাজা গুলি উদ্ধার করা হয়। গ্রেপ্তার মোস্তাক একাধিক ডাকাতি, অস্ত্র ও মাদক মামলার আসামি এবং তার বিরুদ্ধে চারটি গ্রেপ্তারি পরোয়ানা মুলতবি রয়েছে।
তিনি জানান, অস্ত্র ব্যবসায়ী রবি আলম দীর্ঘদিন ধরে পালংখালী এলাকায় দুর্গম পাহাড়ে অবস্থান করে অস্ত্র বেচাকেনা চালিয়ে আসছে। তার নামে মহেশখালী থানায় একাধিক অস্ত্র, মাদক, অপহরণ ও খুনের মামলা রয়েছে।