বাণিজ্য মন্ত্রণালয়ের দায়িত্বে নিয়োজিত মন্ত্রী বীর মুক্তিযোদ্ধা টিপু মুনশি বলেছেন, উত্তরাঞ্চলের শ্রেষ্ঠ বিনোদন কেন্দ্র হবে আলী বাবা থিম পার্ক। তিস্তার নদীর ধারে নৈসর্গিক মনোরম পরিবেশ অবস্থিত পার্কটি হবে তিন জেলা রংপুর, গাইবান্ধা ও কুড়িগ্রামবাসীর জন্য আধুনিক রির্সোট সেন্টার। পার্কটিকে কেন্দ্র করে দূর্গম তিস্তার চরাঞ্চলে যোগাযোগ ব্যবস্থার উন্নয়নে জন্য গাইবান্ধা এবং রংপুর হতে পাকা সড়ক নির্মাণের ব্যবস্থা করা হবে। পাশাপাশি কুড়িগ্রাম জেলা বাসীর সাথে যোগাযোগ রক্ষায় নির্মাণ করা হবে দ্বিতীয় তিস্তা সেতু। আলী বাবা থিম পার্কের আয়োজনে ঐতিহ্যবাহী নৌকাবাইচের ফাইনাল খেলার পুরস্কার বিতরণ উপলক্ষে প্রধান অতিথির বক্তব্যে তিনি উপরোক্ত কথা গুলো বলেন। গত রোববার গাইবান্ধার সুন্দরগঞ্জ উপজেলার তারাপুর ইউনিয়নের খোর্দ্দার চরে আলী বাবা থিম পার্ক সংলগ্ন তিস্তার ধারে বাঁধের উপরে পুরষ্কার বিতরণ উপলক্ষে আলোচনা সভা অনুষ্ঠিত হয়।
উপজেলা নির্বাহী অফিসার মোহাম্মদ আল মারুফের সভাপতিত্বে আলোচনা সভায় বিশেষ অতিথির বক্তব্যে রাখেন জাতীয় পার্টির অতিরিক্ত মহাসচিব ও স্থানীয় সাংসদ ব্যারিস্টার শামীম হায়দার পাটোয়ারী। আরও বক্তব্যে রাখেন তারাপুর ইউপি চেয়ারম্যান আমিনুল ইসলাম লেবু, আলী বাবা থিম পার্কের প্রোপাইটার ইয়ার আলী প্রমুখ। সাংসদ শামীম বলেন, বিনোদন কেন্দ্র আলী বাবা থিম পার্ক গড়ে উঠায় অত্র এলাকায় ব্যাপক কর্মসংস্থানের সৃষ্টি হয়েছে। এটিকে কেন্দ্র করে সুন্দরগঞ্জ উপজেলার তথা রংপুরের পীরগাছা এবং কুড়িগ্রামের উলিপুর উপজেলার বাসীর মধ্যে নিবির সেতু বন্ধন গড়ে উঠবে। তিনি আরও বলেন, মন্ত্রী মহোদয়ের আন্তরিক সহযোগিতায় আলী বাবার থিম পার্কের পার্শ্ববর্তী এলাকায় গড়ে তোলা সম্ভব শিল্প ও বাণিজ্য কেন্দ্র।
এতে উপস্থিত ছিলেন পীরগাছা উপজেলা চেয়ারম্যান মাহবুবার রহমান, গাইবান্ধার অতিরিক্ত সালেকুর রহমান, পীরগাছা উপজেলা নির্বাহী অফিসার শামসুর আরেফীন, পীরগাছা আ’লীগ সভাপতি তছলিম উদ্দিন, সাধারণ সম্পাদক আব্দুল্লাহ্ আল মাহমুদ মিলন, বেক্সিমকো পাওয়ার প্লান্টের প্রধান প্রশাসনিক কর্মকর্তা অবসরপ্রাপ্ত লেঃ কর্নেল একেএ রাশেদুর নবী, সুন্দরগঞ্জ থানার ওসি বুলবুল ইসলাম প্রমুখ। প্রকৃতিকে হার মানিয়েছিল নৌকাবাইচ দেখতে আসা লাখ জনতার উপচে পড়া ভিড়ে। পরে নৌকাবাইচে বিজয়ী ও বিজয়ীদের মাঝে পুরস্কার হিসেবে বিদেশী ও দেশী গরু প্রদান করা হয়।