রাজধানী উত্তরায় ১০নং সেক্টর ২১নং রোডে পূর্ব শত্রুতার জের ধরে উত্তরা পশ্চিম থানা বঙ্গবন্ধু সৈনিক লীগের সাধারণ সম্পাদক নুরু গত ৩১ শে মার্চ দুপুর ২টা ৩০ মিনিটে সন্ত্রাসী হামলার শিকার হন। তার আত্ন চিৎকারে আশপাশের জনগন তাকে গুরুতর আহত অবস্থায় উদ্ধার করে টঙ্গী আহসান উল্লাহ মাষ্টার মেডিকেলে নিয়ে যান। এবিষয়ে উত্তরা পশ্চিম থানায় একটি অভিযোগ দায়ের করা হয়েছে।
এস আই নেওয়াজ ঘটনার সত্যতা নিশ্চিত করেন।আহত নুরু ও প্রত্যক্ষদর্শীরা জানান পাচটি মটর সাইকেলে করে ১০ জন সন্ত্রাসী দেশিয় অস্ত্র-সস্ত্র নিয়ে নুরুর উপর অতর্কিত হামলা করে। তিনি মাথায় আঘাত পেয়ে মাটিতে লুটিয়ে পড়েন। অল্পের জন্য তিনি প্রানে বেচে যান। তার চিৎকার শুনে আশ-পাশের লোকজন ছুটে এলে সন্ত্রাসীরা পালিয়ে যায়। ঘটনাস্থল থেকে সন্ত্রাসীদের পড়ে থাকা একটিমানিব্যাগ উদ্ধার করা হয়। মানিব্যাগের ভিতর মাহবুব আল হাসান (বাবু) নামে একটি ন্যাশনাল আইডি কার্ড পাওয়া যায় এবং তেপান্তর ডেভলপারস লিমিটেড কোম্পানির ব্যবস্থাপনা পরিচালক ও চেয়ারম্যান এর দুটি ভিজিটিং কার্ড পাওয়া যায়।
উল্যেখ্য যে গত ২৬ শে মার্চ মোঃ ফরিদ ৫৪ নং ওয়ার্ড কৃষক লীগের সভাপতি মো: নাসির উদ্দীন কে বলেছিলেন তিনি তেপান্তর ডেভলপারস লিমিটেড কোম্পানির ১০ নং সেক্টর ২১ রোডে অবস্থিত প্রোজেক্টের ল্যান্ড ওনারের কাছ থেকে তিনটি ফ্ল্যাট ভবনের কাজ চলাকালীন অবস্থায় ১কোটি ২০ লক্ষ টাকা মুল্যে ক্রয় করেন। তিনি নগদ ৮০ লাখ টাকা পরিশোধ করে বাকী টাকা দিয়ে অবশিষ্ট কাজ নিজ দায়িত্বে করিয়ে নিবেন বলে পাওয়ার রেজিস্ট্রি নেন। কিন্তু তেপান্তর ডেভলপারস কোম্পানি লিমিটেড প্রতারনা করে বেশি মুল্য পেয়ে ফ্ল্যাট গুলি অন্যত্র বিক্রি করে দেন।এবিষয়ে ফরিদ কোম্পানির কাছে জানতে চাইলে তেপান্তর ডেভলপারস কোম্পানি আমাকে ৩০ লাখ টাকা দিয়ে বাকি
টাকা পরিশোধ করতে টাল-বাহানা শুরু করে। এদিকে দ্বিতীয় পক্ষের ক্রেতা কাজ শুরু করলে এবিষয়ে ফরিদ পশ্চিম থানায় জানালে পুলিশ এসে কাজ বন্ধ করে দেন। পুলিশ চলে গেলে পুনরায় কাজ শুরু করেন। কাজ শুরু করলে খবর পেয়ে নাসির নুরুকে ঘটনাস্থলে পাঠান। নুরুর উপস্থিত হলে কোম্পানির লোকজন নুরুকে গালাগালি শুরু করে এবং নুরু গায়ে কিল গুষি লাথি মারতে থাকে এখবর নাসির জানতে পারলে দ্রুত ঘটনাস্থলে উপস্থিত হন। এই অবস্থা দেখে কোম্পানির লোকজন কে কোন মতে বুঝিয়ে তাদের কাজ বন্ধ রাখার অনুরোধ জানান। এবং আইনি ফায়সালা না হওয়া পর্যন্ত কাজ বন্ধ রাখার কথা বলে চলে যান। এই ঘটনার জের ধরেই ৩১ শে মার্চ নুরুর উপর সন্ত্রাসী হামলা চালিয়েছে বলে সকলের ধারনা। কিন্তু এদিকে ঘটনার ৪ দিন পেরিয়ে গেলেও প্রশাসনের তেমন কোন পদক্ষেপ নেননি বলে নুরু ও নাসির সাংবাদিকদের জানান। তারা উক্ত ঘটনার সুষ্ঠু তদন্ত করে দ্রুত সন্ত্রাসীদের গ্রেপ্তার করে বিচারের আওয়াতায় আনার জোর দাবী জানান। এবং তেপান্তর ডেভলপারস কোম্পানি লিমিটেড এর প্রতারনার বিরুদ্ধে আইনি ব্যবস্থা নেওয়ার জন্য প্রশাসনের দৃষ্টি আকর্ষণ করেন।