প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা শনিবার (৪ নভেম্বর) এমআরটি লাইন-৬ (মেট্রোরেল)-এর আগারগাঁও থেকে মতিঝিল অংশ এবং ঢাকা মহানগরীর প্রথম পূর্ব-পশ্চিম এমআরটি করিডোর ঢাকা ম্যাস র্যাপিড ট্রানজিট ডেভেলপমেন্ট প্রজেক্ট (লাইন-৫), নর্দার্ন রুটের নির্মাণকাজের উদ্বোধন করবেন।
বৃহস্পতিবার (২ নভেম্বর) দুপুরে মন্ত্রণালয়ের সভাকক্ষে আয়োজিত সংবাদ সম্মেলনে এ কথা জানান সড়ক পরিবহন ও সেতুমন্ত্রী এবং আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক ওবায়দুল কাদের।
শনিবার এমআরটি লাইন-৬ আগারগাঁও থেকে মতিঝিল অংশে মেট্রোরেল চলাচল উদ্বোধন উপলক্ষে সেদিন মেট্রোরেল চলাচল বন্ধ থাকবে।আগামী রোববার সকাল সাড়ে ৭টা থেকে সাড়ে ১১টা পর্যন্ত (চার ঘণ্টা ) আগারগাঁও-মতিঝিল এবং সকাল সাড়ে ৭টা থেকে রাত সাড়ে ৮টা পর্যন্ত উত্তরা-আগারগাঁও সেকশনে মেট্রোরেল চলাচল করবে।
আগারগাঁও থেকে ফার্মগেট ভাড়া ২০ টাকা, ফার্মগেট থেকে সচিবালয় ৩০ টাকা, সচিবালয় থেকে মতিঝিল ২০ টাকা, ফার্মগেট থেকে মতিঝিল ৩০ টাকা, উত্তরা থেকে মতিঝিল ১০০ টাকা। তবে স্থায়ী পাস নিলে ১০ শতাংশ ছাড় মিলবে। ঢাকা ম্যাস ট্রানজিট কোম্পানি লিমিটেডের (ডিএমটিসিএল) ব্যবস্থাপনা পরিচালন এম এ এন সিদ্দিক এসব তথ্য নিশ্চিত করেছেন।
এর আগে ৭ জুলাই মেট্রোরেলের আগারগাঁও-মতিঝিল অংশে ট্রেনের পরীক্ষামূলক যাত্রার উদ্বোধন করেন সড়ক পরিবহন ও সেতুমন্ত্রী ওবায়দুল কাদের।
গত বছরের ২৮ ডিসেম্বর প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা রাজধানী ঢাকায় দেশের প্রথম এলিভেটেড মেট্রোরেল উদ্বোধন করেন। এরপর উত্তরা-আগারগাঁও মেট্রোরেলের কার্যক্রম উদ্বোধন করা হয়। এরই মধ্যে এই অংশের সব স্টেশন চালু হয়েছে। এখন মেট্রোরেল সকাল ৮টা থেকে রাত ৮টা পর্যন্ত চলাচল করছে।
মেট্রোরেল কর্তৃপক্ষ জানিয়েছে, নির্মাণ ও আনুষঙ্গিক কিছু কাজ বাকি থাকায় পুরোদমে চালু হতে আরও কিছু সময় লাগবে। বর্তমানে আগারগাঁও থেকে উত্তরা পর্যন্ত মেট্রোরেল চলাচল করছে। এতে প্রতিদিন গড়ে ৮৫ হাজার যাত্রী যাতায়াত করছেন। মতিঝিল-কমলাপুর পর্যন্ত পুরোদমে চালু হলে প্রতি ঘণ্টায় ৬০ হাজার এবং প্রতিদিন ৬ লাখ ৭৭ হাজার যাত্রী যাতায়াত করতে পারবেন এ ট্রেনে। বিপুলসংখ্যক যাত্রী ট্রেনে যাতায়াত করলে মেট্রোরেলের নিচে অবস্থিত সড়কে ছোট-বড় যানবাহন সংখ্যা কমে আসবে। এতে একদিকে কর্মঘণ্টা বাঁচবে, অপরদিকে গাড়ির জ্বালানি এবং পরিচালন ও রক্ষণাবেক্ষণ খাতের ব্যয়ও কমে আসবে। এক সমীক্ষায় দেখা গেছে, সময় সাশ্রয়ের (টাইম কস্ট) কারণে দৈনিক প্রায় ৮ কোটি ৩৮ লাখ টাকা এবং গাড়ির অপারেশন খরচ বাবদ আরও ১ কোটি ১৮ লাখ টাকা সাশ্রয় হবে; যা জিডিপির প্রবৃদ্ধি বাড়াতে সহায়ক হবে।