সরকারের উন্নয়ন পরিকল্পনাগুলো যথাযথ বাস্তবায়ন করতে সংশ্লিষ্টদের নির্দেশ দিয়েছেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা।
আজ বুধবার (১৮ আগস্ট) সচিব সভায় এ নির্দেশ দেন তিনি।
রাজধানীর শেরেবাংলা নগরের পরিকল্পনা বিভাগের এনইসি সম্মেলন কেন্দ্রে আয়োজিত সচিব সভায় গণভবন থেকে ভিডিও কনফারেন্সে অংশ নেন প্রধানমন্ত্রী।
তিনি বলেন, ‘লাখো শহীদের রক্তের বিনিময়ে অর্জিত স্বাধীনতা যেন কোনভাবে ব্যর্থ না হয়। আমরা এই বাংলাদেশকে এগিয়ে নিয়ে যাব উন্নত, সমৃদ্ধ দেশ হিসেবে। ইতোমধ্যে আমরা উন্নয়নশীল দেশের মর্যাদা পেয়েছি। আমাদের ভবিষ্যতে আরো অনেক দূর যেতে হবে। সেই পরিকল্পনাও আমরা নিয়েছি।’
প্রধানমন্ত্রী বলেন, ‘আমাদের প্রেক্ষিত পরিকল্পনা বা ডেল্টা প্ল্যান মাথায় রেখে উন্নয়ন পরিকল্পনা এবং সেগুলোর বাস্তবায়ন যেন যথাযথভাবে হয়। লাখো শহীদের রক্তের বিনিময়ে অর্জিত স্বাধীনতা যেন কোনোভাবে ব্যর্থ না হয়।’
তিনি বলেন, ‘বাংলাদেশ যেভাবে এগিয়ে যাচ্ছে, ভবিষ্যতেও যেন এভাবে এগিয়ে যেতে পারে, সেইভাবেই আমাদের কার্যক্রম চালাতে হবে এবং তারই ভিত্তিটা আমরা তৈরি করেছি। সেটা ধরে সামনে এগিয়ে নিয়ে যেতে হবে। সেই কথা মাথায় রেখে আমাদের সব সিদ্ধান্ত নিতে হবে।’
সরকারপ্রধান বলেন, ‘আমাদের একটিই লক্ষ্য, তৃণমূল পর্যায়ের মানুষগুলো যেন উন্নত জীবন পায়। দারিদ্র্যের হাত থেকে মুক্তি পায়। অন্ন-বস্ত্র, বাসস্থান, চিকিৎসার সুযোগ পায়। বাংলাদেশ যেভাবে এগিয়ে যাচ্ছে ভবিষ্যতেও যেন এভাবেই এগিয়ে যেতে পারে। সেভাবে আমাদের কার্যক্রম চালাতে হবে। তার ভিত্তি আমরাই তৈরি করেছি, সেটা ধরে সামনে এগিয়ে নিয়ে যেতে হবে।’
শেখ হাসিনা বলেন, ‘জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান আমাদের স্বাধীনতা দিয়ে গেছেন এবং দেশটাকে তিনি উন্নত সমৃদ্ধ করতে চেয়েছিলেন। আমরা সে লক্ষ্য পূরণে কাজ করছি।’
বিভিন্ন দপ্তরের সচিবদের স্বাগত জানিয়ে প্রধানমন্ত্রী বলেন, ‘আমাদের তো একটাই লক্ষ্য। জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান আমাদের স্বাধীনতা দিয়ে গেছেন এবং বাংলাদেশকে তিনি উন্নত, সমৃদ্ধ করতে চেয়েছিলেন। আমরা স্বাধীনতার সুবর্ণজয়ন্তী উদযাপন করছি। জাতির পিতার জন্মশতবার্ষিকী, ১০১তম জন্মবার্ষিকী উদযাপন করছি। সেই সময়ে এই সভাটা। কাজেই আমি সবাইকে স্বাগত জানাই।’
জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান এবং ১৯৭৫ সালের ১৫ আগস্ট ঘাতকের নির্মম বুলেটে নিহত সবার পাশাপাশি জাতীয় চার নেতা, মুক্তিযুদ্ধের ৩০ লাখ শহীদ এবং ২ লাখ নির্যাতিত মা-বোনের প্রতিও শ্রদ্ধা জানান সরকারপ্রধান।
প্রধানমন্ত্রীর উপস্থিতিতে সর্বশেষ সচিব সভা হয়েছিল ২০১৭ সালের জুলাই মাসে। গত জুলাই মাসে আবার সচিব সভা করার উদ্যোগ নেওয়া হলেও মহামারী পরিস্থিতির কারণে তা সম্ভব হয়নি। লকডাউন উঠে যাওয়ার পর এখন সেই সভার আয়োজন হলো।
শেরেবাংলা নগরে পরিকল্পনা বিভাগের এনইসি সম্মেলন কেন্ত্রে সভা পরিচালনা করেন মন্ত্রিপরিষদ সচিব খন্দকার আনোয়ারুল ইসলাম । বিভিন্ন মন্ত্রণালয় ও বিভাগের সচিবরা সভায় উপস্থিত ছিলেন।