রাজধানীর আদাবরে মাইন্ড এইড হাসপাতালে সিনিয়র সহকারী পুলিশ সুপার (এএসপি) আনিসুল করিম হত্যাকাণ্ডের মামলায় জাতীয় মানসিক স্বাস্থ্য ইনস্টিটিউটের রেজিস্ট্রার আবদুল্লাহ আল মামুনসহ ১৫ জনের বিরুদ্ধে অভিযোগ গঠন করেছেন আদালত।
মঙ্গলবার এ মামলায় অভিযোগ গঠনের আদেশের জন্য দিন ধার্য ছিল।এদিন ঢাকার তৃতীয় অতিরিক্ত মহানগর দায়রা জজ শেখ ছামিদুল ইসলাম আসামিদের অব্যাহতির আবেদন নাকচ করে এ অভিযোগ গঠন করেন। এর ফলে এ মামলার আনুষ্ঠানিক বিচার শুরু হলো।
এর আগে গত ২৪ জুলাই একই আদালতে রাষ্ট্র ও আসামি পক্ষে মামলার অভিযোগ গঠনের বিষয়ে শুনানি হয়। উভয়পক্ষের শুনানি শেষে বিচারক আদেশের জন্য এ দিন ধার্য করেন। বিচার শুরু হওয়া অপর আসামিরা হলেন-বিচার শুরু হওয়া আসামিরা হলেন- মাইন্ড এইড হাসপাতালের পরিচালক আরিফ মাহামুদ, ফার্মাসিস্ট তানভীর হাসান, কর্মকর্তা সাখাওয়াত হোসেন, সাজ্জাদ আমিন ও ফাতেমা খাতুন, হাসপাতালের সমন্বয়ক রেদোয়ান সাব্বির, হাসপাতালের কর্মচারী মাসুদ খান, জোবায়ের হোসেন, তানিফ মোল্লা, সজীব চৌধুরী, অসীম কুমার পাল, লিটন আহম্মেদ, সাইফুল ইসলাম ও আবদুল্লাহ আল-আমিন।
জানা যায়, ২০২০ সালের ৯ নভেম্বর আনিসুল করিম আদাবরের মাইন্ড এইড হাসপাতালে হত্যাকাণ্ডের শিকার হন। এ ঘটনার পরদিন ১০ নভেম্বর আদাবর থানায় আনিসুল করিম শিপনের বাবা বীর মুক্তিযোদ্ধা মো. ফাইজুদ্দিন আহম্মেদ বাদী হয়ে ১৫ জনকে আসামি করে হত্যা মামলা করেন। তদন্ত শেষে গত বছরের ৮ মার্চ মামলার তদন্ত কর্মকর্তা ও আদাবর থানার পরিদর্শক মো. ফারুক মোল্লা ১৫ আসামির বিরুদ্ধে আদালতে অভিযোগপত্র দাখিল করেন। তবে এ মামলার আসামি ডা. নুসরাতের নাম অভিযোগপত্রে আসেনি। এএসপি আনিসের পরিবারের ধারণা, ডা. নুসরাত ঘটনার সঙ্গে জড়িত। এ জন্য মামলাটি পুনরায় তদন্তের আবেদন করেন আনিসের বাবা ফাইজুদ্দীন আহম্মেদ। পরে আদালত তা মঞ্জুর করে পিবিআইকে প্রতিবেদন দাখিলের নির্দেশ দেন। পরবর্তীতে একই বছরের ৩০ নভেম্বর মামলার তদন্ত কর্মকর্তা পিবিআইয়ের পরিদর্শক এ কে এম নাসির উল্যাহ জাতীয় মানসিক স্বাস্থ্য ইনস্টিটিউটের রেজিস্ট্রার আবদুল্লাহ আল মামুনসহ ১৫ জনের বিরুদ্ধে আদালতে সম্পূরক অভিযোগপত্র দাখিল করেন।