নিজস্ব প্রতিবেদক
মামুনুর রশিদ কিরন। সম্ভ্রান্ত মুসলিম পরিবারের সদস্য। করপোরেট ব্যবসায়ী। গ্লোব গ্রুপের ব্যবস্থাপনা পরিচালক। বেগমগঞ্জ এলাকায় প্রতি বাড়িতে তাদের কর্মচারি আছে। দীর্ঘদিন উপজেলা আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক। চৌমুহনী পৌরসভার মেয়র। তারপর দু’বারের জাতীয় সংসদ সদস্য। দেশের একমাত্র সংসদ সদস্য যিনি একা একা চলাফেরা করেন। একজন সৈনিক থাকে শুধু বাড়িতে। কোন বডিগার্ড থাকে না। সঙ্গে বৈধ কোন অস্ত্রও থাকে না।
চাঁদাবাজি, টেন্ডারবাজি, কমিশন বাণিজ্য, চাকরি দেয়ার নামে টাকা কামাই, পাইয়ে দেয়া-পাইয়ে নেয়ার কোন অভিযোগ নেই তার বিরুদ্ধে। অথচ তারই নির্বাচনী এলাকায় তারই ছবি সম্বলিত পোস্টার শোভিত মাদক ও ধর্ষকদের দৃশ্যমান ছবি। এসবের কোনটার সাথেই সংসদ সদস্য জড়িত নন।
নির্বাচনে বিজয়ের পর কিংবা কোন আচার অনুষ্ঠানে দুষ্টু প্রকৃতির লোক, ধর্ষণকারী, চাঁদাবাজ, ধর্ষণকারী এসব চক্র এরা সংসদ সদস্যকে ফুল দেন। ছবি তোলেন, আর সেসব পরে পোস্টার করে প্রচার করেন। এদের বিরুদ্ধে কিরনের পক্ষ থেকে প্রশাসনকে ব্যবস্থা নেয়ার অনুরোধ করলেও প্রশাসন ব্যবস্থা নেয়নি।
সূত্রমতে, এরা কিরনের ছবি ব্যবহার করলেও অন্যান্য নেতা ও ব্যক্তির গ্রুপের সদস্য সংঘবদ্ধ অপরাধী চক্র। এসব অপরাধী চক্রকে যারা মদদ দেন, তাদের ব্যাপারে সংসদ সদস্য প্রশাসনকে জানিয়েছেন বলে জাতীয় অর্থনীতিকে বলেছেন। এখন পুলিশ ও প্রশাসন কাদের ইশারায় চলে সেটি দেখার বিষয় বলে বেগমগঞ্জ এলাকার মানুষ মনে করেন।