জাকির হাসানের উইকেটটি নেয়ার পরই ছুটে এসে জয়দেব উনাদকাটকে অভিনন্দন জানাতে শুরু করেন বিরাট কোহলি, লোকেশ রাহুল থেকে শুরু করে ভারতীয় দলের অন্য ক্রিকেটাররা। দেখে মনে হতে পারে, বড় কোনো মাইলফলক অর্জন করে ফেলেছেন উনাদকাট; কিন্তু কী সেই মাইলফলক?
মাত্রই দ্বিতীয় টেস্ট খেলতে নেমেছেন ক্যারিয়ারে। তাহলে একটি উইকেট নেয়ার পর তাকে কেন এত অভিনন্দন? খোঁজ নিয়ে জানা গেলো মজার এক তথ্য। এটাই তার ক্যারিয়ারের প্রথম উইকেট। যদিও অভিষেক টেস্ট নয়। এ নিয়ে তিনি খেলছেন দ্বিতীয় টেস্ট। তবে প্রথম টেস্ট এবং দ্বিতীয় টেস্টের মধ্যে ব্যবধান রয়েছেন দীর্ঘ এক যুগের।
শেরে বাংলা স্টেডিয়াম জয়দেবের জীবনে বিশাল এক অর্জনের মাইলফলকই হয়ে থাকবে। এই স্টেডিয়ামকে ভুলবেন না জয়দেব উনাদকাট। কি করে ভুলবেন? ঠিক এক যুগ পর যে আবার টেস্টে ফেরা হলো এই মাঠেই!
২০১০ সালের ১৬ ডিসেম্বর সেঞ্চুরিয়নে স্বাগতিক দক্ষিণ আফ্রিকার বিপক্ষে টেস্ট অভিষেক হয়েছিল ভারতের রাজকোটের পার্শবর্তী এলাকা পরবান্দার এর এই বাঁ-হাতি পেসারের। তখন তার বয়স ছিল ১৯ বছর।
লম্বা সময়ের এই বিরতিতে ৭ ওয়ানডে এবং ১০টি টি-টোয়েন্টি ম্যাচ খেললেও আর কোনো টেস্ট ম্যাচে সুযোগ পাননি জয়দেব উনাদকাট। সর্বশেষ ওয়ানডেও খেলেছেন ২০১৩ সালের ১৩ নভেম্বর ভারতের কোচিতে ওয়েস্ট ইন্ডিজের বিপক্ষে। আর টি-টোয়েন্টি ম্যাচে সর্বশেষ মাঠে নেমেছিলেন বাংলাদেশের বিপক্ষে ২০১৮ সালের ১৮ মার্চ কলম্বোর প্রেমাদাসা স্টেডিয়ামে নিদাহাস ট্রফিতে।
ঠিক ১২ বছর পর আজ শেরে বাংলায় আবার টেস্ট খেলতে নামলেন জয়দেব উনাদকাট। চট্টগ্রামের জহুর আহমেদ চৌধুরী স্টেডিয়ামে মোট ৮ উইকেট (৫+৩) শিকারি বাঁ-হাতি চায়নাম্যান কুলদিপ যাদবের পরিবর্তে ঢাকা টেস্টে দলে এসেছেন জয়দেব।
মোহাম্মদ মিরাজ ও উমেশ যাদবের পর তৃতীয় সিমার হিসেবে খেলতে নেমে আজ নিজের চতুর্থ ওভারে উইকেটও পেলেন তিনি। তার বলে উইকেটের পিছনে ক্যাচ দিয়ে ফিরেছেন চট্টগ্রাম টেস্টের সেঞ্চুরিয়ান জাকির হাসান (১৫)। সবচেয়ে বড় খবর হলো এটাই টেস্টে তার প্রথম উইকেট। এর আগে ২০১২ সালে দক্ষিণ অফ্রিকার বিপক্ষে একমাত্র টেস্টে উইকেট পাননি এ বাঁ-হাতি দ্রুত গতির বোলার। ২৬ ওভারে ৪ মেডেন সহ ১০১ রানে ছিলেন উইকেটশুন্য।