আবু তাহের বাপ্পা : কাস্টমস-এর গাড়ি চালক ফজলুল হক। বলছিলেন তাকে ঘিরে দু একটি সংবাদ পত্রে যা লিখছে তা দুঃখজনক। কারণ প্রকাশিত সংবাদে যে সব তথ্য দেয়া হয়েছে তার বেশীর ভাগই মন গড়া। মিথ্যে এবং কল্পনা প্রসূত।
দৈনিক জাতীয় অর্থ নীতির সাথে এক একান্ত আলাপচারিতায় তিনি আরো বলেন, আমাদের ড্রাইভার সমিতির নির্বাচনে কিছু ব্যাক্তি আমার ইমেজ নষ্টের চেষ্টা করছে। তারা নানাভাবে আমার বিরুদ্ধে ষড়যন্ত্র করতে গিয়ে গণমাধ্যমে কাছে এমন সব তথ্য তুলে ধরছে যার প্রতিবাদের ভাষাও খুঁজে পাওয়া দায়।
তিনি আরো বলেন, বাংলাদেশ কাস্টমস সরকারি গাড়ী চালক সমিতির সাধারণ সম্পাদক দায়িত্ব পালন করছি। ড্রাইভারদের সুখ দুঃখ দেখার চেষ্টা করেছি। দায়িত্ব পালন কালে কোন কারণে কেউ ক্ষুব্ধ হতেই পারে। তিনি প্রতিক্রিয়াও জানাতে পারেন। যা হতে হয় সাংগঠনিক কাঠামোর মধ্যে। কিন্ত তা না করে অনেকটা পেছন থেকে ছুরি মারার মতো করে গণমাধ্যমের কোন কোন কর্মির হাতে মিথ্যে তথ্য দি”চ্ছে কেউ কেউ।
তিনি বলেন, একটি কথা বলা জরুরী সংবাদ মাধ্যমে আমার সম্পদের যে বিররণ দেয়া হয়েছে তা যদি আমার বা আমার পরিবারের থাকে আমি সব কিছু যে সাংবাদিক লিখেছেন প্রমাণ করতে পারলে তাকে লিখে দিব।
তিনি আরো বলেন, আমার সম্পদ বলতে তেমন কিছু নেই। সাভারে কয়েকজন বন্ধু মিলে একটি নীচু জমি ধার দেনা করে কেনা হয়েছিল। আমার ভাগে পড়বে যার মাত্র তিন শতাংশ। সাভারের ডগর মোড়া পৈত্রিক সূত্রে পাওয়া বাবার পক্ষ থেকে ২ শতাংশ এভং মায়ের পক্ষ থেকে আড়াই শতাংশ জমিতে একটি টিনসেড ঘর রয়েছে আমার। তিনটি ব্যাংক একাউন্টস এর মধ্যে টাকা না থাকায় দুটি ইতোমধ্যে বন্ধ হয়ে গেছে। এ ছাড়া আমার বা আমার স্ত্রী সন্তানের নামে কোথাও কোন সম্পদ নেই। অতি সাধারণ জীবন যাপনের থাকার চেষ্টা করি।
তিনি আরো বলেন, আমাকে হেয় করতে গিয়ে আমার ক্রাইম কানেকশনের বার্তা দেয়া হয়েছে। যা একটাই মিথ্যে যে তা বলার ভাষাও আমার নেই। আলোচিত ড্রাইভার আব্দুল মালেকের দোসর হিসেব তাকে উল্ল্যেখ করাই তিনি বলেন, এটা দুঃখজক। তার সাথে আমার দুরতম কোন সম্পর্ক নেই।
ফজলুল হক আরো বলেন, সংবাদ পত্রের মতো দায়িত্বশীল মাধ্যমের কাছে আমার অনুরোধ হবে এ সব নিউজে একজন মানুষ সামাজিক এবং মানসিকভাবে চাপে পড়ে। এটা কাম্য নয়। প্রত্যেক মানুষেরই একটি পরিবার থাকে। তার নিজস্ব বলয়ে কিছু সম্মান থাকে এটা নষ্ট হলে খারাপ লাগে। তিনি ভবিষ্যতে ভাল কাজ করে যাওয়ার জন্য সকলের সহযোগিতা ও দোয়া কামনা করেন।