বাংলাদেশে মহামারি করোনাভাইরাস প্রতিরোধে ঢাকা মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালে গত এক বছরে ৫ লাখ মানুষকে টিকা দেওয়া হয়েছে। প্রতিদিন গড়ে ৫ হাজার মানুষকে এখানে টিকা দেওয়া হয়।
আজ শনিবার (২৯ জানুয়ারি) দুপুরে সাংবাদিকদের সঙ্গে এক মতবিনিয়ম সভায় ঢামেক হাসপাতালের পরিচালক বিগ্রেডিয়ার জেনারেল মো. নাজমুল হক এ তথ্য জানিয়েছেন।
মতবিনিময় সভায় উপস্থিত ছিলেন ঢাকা মেডিক্যাল কলেজের অধ্যক্ষ অধ্যাপক টিটো মিঞা, কলেজের শিক্ষক সমিতির সাধারণ সম্পাদক অধ্যাপক ডা. দেবেশ চন্দ্র তালুকদার, হাসপাতালের সহকারী পরিচালক ডা. আশরাফুল আলমসহ কর্মকর্তারা।
পরিচালক বলেন, ঢাকা মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতাল দেশের একটি স্বনামধন্য সর্ববৃহৎ চিকিৎসা সেবা প্রতিষ্ঠান। এখানে বছরের ৩৬৫ দিনই ২৪ ঘণ্টা জরুরি ও আন্তঃবিভাগে সেবাদান করা হচ্ছে। দেশের আপামর সুচিকিৎসার জন্য প্রতিষ্ঠানটি এখন একটি আস্থা ও বিশ্বাসের প্রতীক।
পরিচালক বলেন, দেশের জনসাধারণের কাছে স্বাস্থ্যসেবা পৌঁছে দেওয়ার জন্য বর্তমান সরকার বদ্ধ পরিকর। এ লক্ষ্যে বিভিন্ন কার্যমুখী পদক্ষেপ গ্রহণ করা হয়েছে। বর্তমান সরকারের স্বাস্থ্যখাতে বিভিন্ন ঐতিহাসিক সাফল্যের ধারাবাহিকতা রক্ষায় দেশের এই বৃহত্তম ঢাকা মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতাল একটি বিশ্বাস ও আস্থার প্রতীক।
পরিচালক বলেন, স্বাস্থ্য ও পরিবার কল্যাণ মন্ত্রনালয়ের নির্দেশনা অনুযায়ী কোভিড-১৯ মহামারিতে ডেডিকেডেট কোভিড হাসপাতাল হিসেবে ঢামেক হাসপাতাল অতি দক্ষতার সঙ্গে করোনায় আক্রান্ত রোগীদের চিকিৎসা সেবাদান করে আসছে।
এ ছাড়া করোনা প্রতিরোধে সরকারের নির্দেশনা অনুযায়ী কোভিড ভ্যাকসিন কার্যক্রম পরিচালনা করে আসছে। ২৮ জানুয়ারি টিকা কার্যক্রম এক বছর পূর্ণ করেছে। এই এক বছরে এখানে পাঁচ লাখের বেশি মানুষকে টিকাদান করেছি। এটি যে কোনো প্রতিষ্ঠানের জন্য মাইলফলক। বর্তমানে দিনে পাঁচ হাজার টিকা দেওয়া হচ্ছে।