শব্দদূষণ সম্পর্কে জনসচেতনতা বাড়ানোর আহ্বান জানিয়ে ঢাকায় ‘১ মিনিট শব্দহীন’ কর্মসূচি পালন করা হয়েছে। পরিবেশ, বন ও জলবায়ু পরিবর্তন মন্ত্রণালয়ের আহ্বানে একযোগে ৬০টিরও বেশি ব্যাংক, শিক্ষা প্রতিষ্ঠানসহ বিভিন্ন প্রতিষ্ঠান এই কর্মসূচিতে অংশ নেয়।
রোববার (১৫ অক্টোবর) শব্দদূষণ বিষয়ে জনসচেতনতা বাড়াতে সব স্কুল-কলেজে ‘এক মিনিট শব্দহীন’ এ কর্মসূচি পালন করা হয়েছে।
এর আগে, বুধবার (৪ অক্টোবর) শব্দদূষণ রোধে সচেতনতা বৃদ্ধির লক্ষ্যে পরিবেশ, বন ও জলবায়ু পরিবর্তন মন্ত্রণালয়ে অনুষ্ঠিত আন্তঃমন্ত্রণালয় সভায় এ সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়।
পরিবেশ, বন ও জলবায়ু পরিবর্তন মন্ত্রণালয় আয়োজিত ‘এক মিনিট শব্দহীন’ কর্মসূচি পালনে স্কুল-কলেজগুলোকে নির্দেশ দিয়েছে মাধ্যমিক ও উচ্চশিক্ষা অধিদপ্তর (মাউশি)।
দেশের মানুষকে শব্দদূষণমুক্ত পরিবেশ উপহার দিতে সরকার নানা ধরনের বিশেষ কর্মসূচি বাস্তবায়ন করে যাচ্ছে বলে জানিয়েছেন পরিবেশ, বন ও জলবায়ু পরিবর্তন মন্ত্রী মো. শাহাব উদ্দিন। এদিকে গত বৃহস্পতিবার সচিবালয়ে সংবাদ সম্মেলনে নানা কর্মসূচির কথা জানান তিনি।
ফারহিনা আহমেদ বলেন, এক মিনিট বড় বিষয় নয়, বিষয়টি হলো একটি বার্তা দেওয়া। শব্দদূষণ ঘটানো যে একটি অপরাধ, সেই বার্তা দেওয়া। সংবাদ সম্মেলনে জানানো হয় শব্দসচেতনতামূলক কার্যক্রমের অংশ হিসেবে ‘শব্দদূষণ বন্ধ করি, নীরব মিনিট পালন করি’ কর্মসূচি পালন করা হবে।
কর্মসূচি সফল করতে আজ ঢাকা শহরের ১১টি গুরুত্বপূর্ণ স্থানে মানববন্ধন করা হয়েছে। জায়গাগুলো হলো ওসমানী স্মৃতি মিলনায়তনের সামনে, শাহবাগ মোড়, উত্তরা, বিজয় সরণি মোড়, মিরপুর-১০ নম্বর গোলচত্বর, গাবতলী, মগবাজার, মহাখালী, গুলশান-১, কমলাপুর, বৌদ্ধমন্দির ও যাত্রাবাড়ী চৌরাস্তা। সেখানে সকাল সাড়ে ৯টা থেকে ১০টা পর্যন্ত পরিবেশ ও বন মন্ত্রণালয়ের অধীন দপ্তর ও সংস্থার কর্মকর্তা-কর্মচারী, স্কুল-কলেজের স্কাউট সদস্য, স্থানীয় জনপ্রতিনিধি, সরকারি দপ্তর ও সংস্থার কর্মকর্তা-কর্মচারী, ট্রাফিক পুলিশ ও পরিবহন মালিক সমিতির সদস্যরা ব্যানার, ফেস্টুনসহ উপস্থিত থেকে মানববন্ধন করেছেন।
মানববন্ধন থেকে গাড়িচালকদের মধ্যে শব্দসচেতনতামূলক লিফলেট ও স্টিকার বিতরণ করা হয়েছে। ওই এক মিনিট হর্ন বাজানো থেকে বিরত থাকার জন্য আহ্বান জানানো হয়েছে।
এ কর্মসূচি বাস্তবানে ঢাকা উত্তর ও দক্ষিণ সিটি করপোরেশন, সব ধরনের পরিবহন ও নির্মাণ সমিতি, বিআরটিএ, মন্ত্রিপরিষদ বিভাগ, জননিরাপত্তা বিভাগ, স্থানীয় সরকার বিভাগ, সড়ক পরিবহন ও মহাসড়ক বিভাগ, মাধ্যমিক ও উচ্চ শিক্ষা বিভাগ, পুলিশ বিভাগ এবং স্কাউটসহ সংশ্লিষ্ট সবার সহায়তা নেওয়া হয়েছে।