আল-নাসরের হয়ে শেষ তিন ম্যাচে ৬ গোল করেই নিজ দেশের হয়ে খেলতে নেমেছেন তিনি। তবে স্লোভাকিয়ার সঙ্গে ম্যাচটি হয়ত ভুলে যেতেই চাইবেন সিআরসেভেন। দল জয় পেলেও এদিন কিছুটা বিবর্ণ ছিলেন রোনালদো। গোল তো পাননি, সেই সঙ্গে নিজের আচরণের জন্য নিষিদ্ধও হয়েছেন।
স্লোভাকিয়ার বিপক্ষে ম্যাচেও শুরু থেকে মাঠে ছিলেন পর্তুগিজ মহাতারকা। ম্যাচে অবশ্য সেই সুবিধা নিতেই পারেনি তার দল। রোনালদো নিজেও খুব বড় কিছু করে দেখাতে পারেননি। পুরো ম্যাচে সবচেয়ে কম (৩৭) বলে টাচ ছিল তারই। রোনালদোর এমন দুর্বল ফর্মের দিনে বেশ ভুগতে হয়েছে পর্তুগালকে।
প্রথমার্ধের ৪৩ মিনিটে ব্রুনো ফার্নান্দেজের অসাধারণ এক ফিনিশিংয়ে গোল না হলে হয়ত ম্যাচের ফল হতো অন্যরকম। গোল না পাওয়ার দিনে রোনালদো দলের অস্বস্তি বাড়িয়েছেন প্রতিপক্ষ গোলরক্ষকের মুখে বুট দিয়ে আঘাত করে। ম্যাচের ৬২ মিনিটের ওই ফাউলে হলুদ কার্ড দেখেন রোনালদো। এর আগে আইসল্যান্ডের বিপক্ষেও কার্ড দেখেছিলেন। টানা দুই ম্যাচ কার্ড দেখায় এক ম্যাচের নিষেধাজ্ঞায় পড়লেন রোনালদো। ফলে আগামী মঙ্গলবার লুক্সেমবার্গের বিপক্ষে ম্যাচটিতে খেলা হবে না রোনালদোর।
তাতে অবশ্য খুশিই হওয়ার কথা লুক্সেমবার্গের। ইউরোপের পুঁচকে এই দেশের বিরুদ্ধেই যে রোনালদোর রেকর্ড সবচেয়ে ভালো। ১১ ম্যাচে করেছেন ১১ গোল। কোনো একক দেশের বিপক্ষে গোলের হিসেবে এটিই রোনালদোর জন্য সর্বোচ্চ।
স্লোভাকদের বিপক্ষে ম্যাচে ডান প্রান্ত দিয়ে আসা বলটি সুবিধাজনক জায়গাতেই পেয়েছিলেন আল নাসর তারকা। কিন্তু প্রথম শটে বলে পায়ে সংযোগ ভাল হয়নি। এরপর স্লাইড করতে গিয়ে সরাসরি গোলরক্ষকের মুখে আঘাত করেন তিনি। দাবি উঠেছিল লাল কার্ডের। তবে হলুদ কার্ডেই থেমেছে রোনালদোর শাস্তি। আর তাতে নিশ্চিত হলো পর্তুগালের জার্সিতে নিজের প্রিয় প্রতিপক্ষের বিপক্ষে খেলা হচ্ছে না তার।
এ ম্যাচ জয়ের পর পয়েন্ট টেবিলের শীর্ষে থাকছে পর্তুগাল। বাছাইপর্বের ৫ ম্যাচের প্রতিটিতেই জিতেছে রবার্তো মার্টিনেজের শিষ্যরা। ৫ ম্যাচে ১৫ গোল হজম করার বিপরীতে কোনো গোল হজম করেনি তারা। অন্য দিকে পর্তুগালের কাছে হারলেও ১০ পয়েন্ট নিয়ে দুই নাম্বারে আছে স্লোভাকিয়া। সমান পয়েন্ট নিয়ে গোল ব্যবধানে পিছিয়ে থেকে তিনে আছে লুক্সেমবার্গ।