এগারো বছরের শিশু ধর্ষণে সক্ষম কি না, তা নিয়ে তিন ধরনের রিপোর্ট দিয়েছেন ১০ চিকিৎসক। আর তা নিয়েই ক্ষেপেছেন দেশের সর্বোচ্চ আদালত।
এ ঘটনায় তলব করা হয়েছে ব্রাহ্মবাড়িয়ার সিভিল সার্জনসহ ১০ চিকিৎসককে। হাজির হতে বলা হয়েছে এসপিসহ ৩ পুলিশকে। এছাড়া পুরো ঘটনা তদন্ত করতে বলা হয়েছে আইজিপি ও স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয়কে।
গত বছর ৬ সেপ্টেম্বর ব্রাহ্মণবাড়িয়ার নাসিরনগরে ৭ বছরের এক শিশুকে ধর্ষণের অভিযোগ ওঠে। মামলা হয় ১৫ বছরের আরেক শিশু সিরাজের নামে। রবিবার সিরাজ হাইকোর্টে আসে জামিন নিতে। জামিন আবেদনে সিরাজের বয়স লেখা হয় সাড়ে ১১। খটকা লাগে উচ্চ আদালতের।
মামলার নথি দেখে অবাক হন হাইকোর্ট। প্রথম রিপোর্টে ধর্ষণ হয়নি বলা হলেও দ্বিতীয়টিতে উল্টো রিপোর্ট দেন পাঁচজন চিকিৎসক।
তাদের দুই রকম রিপোর্ট নিয়ে প্রশ্ন তোলেন আদালত। বয়স নিয়ে লুকোচুরিতেও পুলিশের প্রতি ক্ষুব্ধ হন আদালত। তলব করা হয়েছে,
ব্রাহ্মণবাড়িয়ার সিভিল সার্জনসহ ১০ চিকিৎসক, এসপি ও নাসিরনগর থানার ওসিকে।
নারী মানবাধিকার কর্মী ফাওজিয়া করিমের মতে, এমন ঘটনাই প্রমাণ করে ধর্ষণ মামলা নিতে কতটা উদাসীন পুলিশ। এ নিয়ে নীতিমালা চান তিনি।ধর্ষণের এই মামলার পুরো কার্যক্রম স্থগিত রেখেছেন হাইকোর্ট। বিষয়গুলো নিষ্পত্তির পর আদেশ দেয়া হবে মামলার বিষয়ে।
সূত্র : চ্যানেল ২৪