বাংলাদেশে এগ্রিবিজনেস শিক্ষার সম্ভাবনা ও চ্যালেঞ্জ’ শীর্ষক ওয়েবিনারের আয়োজন করেছে অতীশ দীপঙ্কর ইউনিভার্সিটি অব সাইন্স এন্ড টেকনোলজির এগ্রিবিজনেস বিভাগ। ২১ জুন অনুষ্ঠিত এ ওয়েবিনার বিশ্ববিদ্যালয় অফিসিয়াল ফেইসবুক পেজ থেকে সরাসরি সম্প্রচার করা হয়।
বিভাগের কো-অর্ডিনেটর জনাব মোঃ মাসুদুল হাসানের সঞ্চালনায় ওয়বেনিারে সভাপতিত্ব করেন বিশ্ববদ্যিলয় বোর্ড অব ট্রাস্টিজের মাননীয় চেয়ারম্যান জনাব মোঃ লিয়াকত আলী সিকদার। প্রধান আলোচক ছিলেন কৃষি উন্নয়ন কর্মী এবং প্রতিষ্ঠাতা পরিচালক ও সংবাদ প্রধান, ইমপ্রেস টেলিফিল্ম লিমিটেড (চ্যানেল আই) জনাব শাইখ সিরাজ। তিনি বলেন এগ্রিকালচার শুধু মাত্র কৃষি নয়, কৃষির সাথে জড়িত সকল বিষয়। কৃষককে জানতে হবে কোথায় পণ্যের ভাল মূল্য পাওয়া যাবে। পণ্যের ন্যায্য মূল্য, ব্যাংক ঋণ সুবিধা, ইন্সুরেন্স সুবিধা ও পলিসিগত সমস্যা এসব জায়গায় আমরা এখন বিপর্যস্ত। আগামীর কৃষি হবে শতভাগ বাণিজ্যিক কৃষি। আর এ জন্য দরকার দক্ষ ও শিক্ষিত জনবল। এগ্রিবিজনেস শিক্ষার মাধ্যমে শিক্ষার্থীদেরকে দক্ষ ও শিক্ষিত করে গড়ে তোলা সম্ভব। আলোচনা অংশগ্রহণ করেন এসিআই এগ্রিবিজনেস লিমিটেড ব্যবস্থাপনা পরিচালক ও সিইও ড. এফ. এইচ. আনসারী, ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় সমাজকল্যাণ ও গবেষণা ইনস্টিটিউটের প্রফেসর ও সম্মানিত ট্রাস্টি ড. এম শাহীন খান এবং অত্র বিশ্ববিদ্যালয় এগ্রিবিজনেস বিভাগের এ্যাডভাইজর ও শের-ই-বাংলা কৃষি বিশ্ববিদ্যালয় এগ্রোনোমি বিভাগের প্রফেসর ড. মীর্জা হাসানুজ্জামান। ওয়েবিনারে মূল প্রবন্ধ উপস্থাপন করেন বাংলাদেশ কৃষি বিশ্ববিদ্যালয় এগ্রিবিজনেস এন্ড মার্কেটিং বিভাগের প্রফেসর ড. মোঃ জাহাঙ্গীর আলম। স্বাগত বক্তব্য প্রদান করেন অত্র বিশ্ববিদ্যালয় এগ্রিবিজনেস বিভাগের চেয়ারম্যান ড. সোনিয়া তাবাসুম আহমেদ।
আলোচনায় প্রফেসর ড. শাহীন খান এগ্রিবিজনেসের জন্য কাঁচামাল সরবরাহকারী, কৃষক, ব্যবসায়ী ও প্রক্রিয়াজাতকারীদের মধ্যে কার্যকর ভ্যালু চেইন লিংকেজের অভাবকে চিহ্নিত করে কৃষকের পন্যের ন্যায্য মুল্য প্রাপ্তির উপর গুরুত্বারোপ করেন। অনুষ্ঠানে আলোচকগণ বলেন, কৃষি খাতে উন্নয়ন করার জন্য এগ্রিবিজনেস শিক্ষার গুরুত্ব অপরিসীম। দেশে কৃষি উৎপাদন বেড়েছে কিন্তু বাণিজ্যিকিকরণ সে তুলনায় বাড়েনি। আমাদের শুধু এডুকেশন নয় স্কিল বেইজ এডুকেশন প্রয়োজন। উৎপাদন, প্রসেসিং ও মার্কেটিং এই তিনটি ভাগে এগ্রিবিজনেস বিভক্ত। কৃষিখাতে উন্নতি করার জন্য অধিক গবেষণার প্রয়োজন।
সভাপতির বক্তব্যে জনাব লিয়াকত সিকদার বলেন, জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান সোনার বাংলা গড়ার ক্ষেত্রে সর্ব প্রথম কৃষিখাতের উপর গুরুত্বারোপ করেন। যুবকরা চাকরির পিছে না ঘুরে উদ্যোক্তা হলে, অনেক বেকারদের কর্মসংস্থান হবে। কৃষি উৎপাদন, বিপণন, বাজারজাতকরণ প্রতিটি ক্ষেত্রেই দক্ষ জনবল প্রয়োজন। এগ্রিবিজনেস শিক্ষার মাধ্যমে দক্ষ জনবল তৈরি করে দেশ ও বহির্বিশ্বের উন্নয়নে অবদান রাখা সম্ভব। সভাপতি মহোদয় অনুষ্ঠানের শেষে ওয়েবিনারে যুক্ত সবাইকে ধন্যবাদ জ্ঞাপন করে এর সমাপ্তি ঘোষণা করেন।