জেলা প্রতিনিধি গাজীপুর : ১ লা রমজান, ১ লা বৈশাখ, ১ লা কঠোর লকডাউন, আর সেই সাথে সূর্যের কঠিন তাপদাহে দম যায় যায় অবস্থা। আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর সদস্যদের নিরলস পাহারায় যানবাহন ও পথচারী লোকজন। তারাও হাপিয়ে উঠছে মাঝে মাঝে। লকডাউনে দোকান পাট বন্ধ থাকায় একটু জিরিয়ে নিয়ে আবার দ্বায়িত্ব। চোখ পরলো এক লোক ভ্যান নিয়ে অনেকক্ষণ যাবৎ দারিয়ে আছে কিন্তু পুলিশের ভয়ে রাস্তা পার হতে পারছে না। কৌতুহলী মন নিয়ে ” দৈনিক জাতীয় অর্থনীতি পএিকার প্রতিবেদক গেলেন এবং কথা বললেন। সাথে পুলিশ সদস্যগন দ্বায়িত্বে। জানতে চাইলাম কেনো বের হয়েছেন এই লকডাউনে?? উওরে আসলো কষ্টের বর্ননা। স্পস্ট দেখা যাচ্ছে বাম কানের উপরে ক্ষতচিহ্ন, তাতে ঔষধ লাগিয়েই জীবিকার সন্ধানে রাস্তায় নেমেছেন।
লোকটির নাম বাবুল, গাজীপুর সিটিকরপোরেশনের পূর্ব চান্দনা ভাড়া থাকেন সাহেব বাড়ী নামক এক জনের বাসায়। বয়সের তুলনায় পরিশ্রমের কারনে বয়স বেশ ভারি দেখা যাচ্ছে।স্ত্রী ও তিন ছেলেমেয় নিয়ে বসবাস করেন। বড় ছেলেটা একটার বয়স আনুমানিক ৮-৯ বছর হবে। এক স্কুলে লেখাপড়া করলেও অভাবের তারনায় পড়াশোনা বাদ দিয়ে পানি বিক্রি করতো, এখন সেটাও বন্ধ। বাকি দুই সন্তান ছোট তাই স্কুলে যানা বলে জানান। গাড়ির প্যাডেলের এক পা দানি ভেংগে গেছে সেটা ঠিক করবেন তাতেই হতাশা অর্থ পাবেন কই। আরো জানান খুবই কষ্টে জীবন পার করছেন। সরকারি অনুদান যেনো সোনার হরিন। ভাঙ্গারী বিক্রি করে চলে দিন। ভালো হলে কোন দিন ৪০০ আবার কোনদিন ৩০০ টাকা পান। আর এতেই সংসার চালান। এখন তো লকডাউন তাই সে রাস্তাও বন্ধ।
ঠিক একি অবস্থা অনেকেরই। অনকেই বারবার পুলিশের তারা খেয়েও আবার আসছেন যাএী নিয়ে। জিগ্যেস করলে বলে স্যার আমরা কই যামু তাহলে কি খামু? ঘড়ে তো খাবার নাই। বাধ্য হয়েই তো লকডাউনে রাস্তায় নেমেছি। ঘড়ে থাকলে না খেয়ে মরবো আর বাহিরে হলে করোনায় মরবো।
এমন আহাজারি হয়তো অহরহ। সরকারি অনুদান ঠিক মতো তাদের কাছে না পৌছানোর কথাও বলেন তারা। তাই সকলেরই এই কঠিন সময় এগিয়ে আশা উচিত বলে মনে করেন সকলে।