চলতি মাসের ৭ তারিখ গাজার শাসকগোষ্ঠী হামাসের সঙ্গে যুদ্ধ শুরুর পর এই প্রথম ভিন্ন মাত্রায় হামলার শিকার হয়েছে ইসরায়েলি বাহিনী। ভূমি থেকে আকাশে নিক্ষেপযোগ্য ক্ষেপণাস্ত্র হামলা চালানো হয়েছে ইসরায়েলি সেনাদের ওপর। আজ সোমবার ( ৩০ অক্টোবর) চালানো ওই হামলা হামাস সদস্যরা নয় চালিয়েছে তাদের প্রতি সংহতি জানানো লেবাননভিত্তিক সশস্ত্র গোষ্ঠী হিজবুল্লাহ যোদ্ধারা।
সামরিক বিশেষজ্ঞ এলিজা ম্যাগনিয়ার আল জাজিরাকে জানিয়েছেন, `ক্ষেপণাস্ত্র হামলার মাধ্যমে প্রমাণিত হচ্ছে যে হিজবুল্লাহ দুই/চার কিলোমিটার দূরত্বের রকেট নিক্ষেপের পরিবর্তে এখন নতুন মাত্রায় ইসরায়েলি সেনাবাহিনীর প্রতি চ্যালেঞ্জ ছুড়ে দিয়েছে। এখন এই যুদ্ধ ধাপে ধাপে একটি নতুন মাত্রায় যাওয়া শুরু করেছে।`
এদিকে গাজার দ্বিতীয় বৃহত্তম হাসপাতাল আল-কুদসে ইসরায়েলি হামলার শঙ্কা আরও তীব্র হয়েছে। এর আগে হাসপাতালটি খালি করার নির্দেশ দেয় ইসরায়েল সেনাবাহিনী। হাসপাতালটিতে হামলা চালানোর উদ্দেশ্যে তারা এটি খালি করার নির্দেশ দেয়। তবে আন্তর্জাতিক সংস্থা রেড ক্রিসেন্ট এমন সিদ্ধান্তের সমালোচনা করে জানিয়েছে, এই অনৈতিক নির্দেশ মানা অসম্ভব।
গত চার দিন গাজা উপত্যকার উত্তরাঞ্চলে ট্যাংক নিয়ে সুনির্দিষ্ট লক্ষ্যবস্তুতে দিনরাত স্থল অভিযান চালিয়ে যাচ্ছে ইসরায়েলি বাহিনী।
এদিকে, সিরিয়া ও লেবাননে সামরিক স্থাপনায় হামলা চালিয়ে ইসরায়েলি বাহিনী। দেশটির সামরিক বাহিনী জানিয়েছে, হামাসের বিরুদ্ধে তাদের কার্যক্রম মধ্যপ্রাচ্যে বিস্তৃত হতে পারে। সোমবার (৩০ অক্টোবর) সকালে সিরিয়ায় এবং হিজবুল্লাহকে লক্ষ্য করে লেবানেন জেট ফাইটার থেকে রকেট হামলা চালিয়েছে ইসরায়েল। তবে এসব হামলা ইসরায়েলের ভূখণ্ডের মধ্য থেকেই চালানো হয়েছে।