এখনো প্রবল বিক্ষোভের মুখে রয়েছে প্রেসিডেন্ট গোতাবায়া রাজাপাকসের সরকার। শ্রীলঙ্কাজুড়ে চলছে প্রেসিডেন্টের পদত্যাগের দাবিতে আন্দোলন।
রাজধানী কলম্বোসহ দেশের বিভিন্ন স্থানে পুলিশের সঙ্গে বিক্ষোভকারীদের সংঘর্ষ হয়েছে।
প্রেসিডেন্ট গোতাবায়া রাজাপাকসের বিরুদ্ধে অনাস্থা প্রস্তাব নিয়ে আলোচনার কথা রয়েছে। দেশটির আইনসভার স্পিকারের দপ্তর থেকে এ তথ্য জানানো হয়েছে।
এদিকে শ্রীলঙ্কায় নতুন প্রধানমন্ত্রী রনিল বিক্রমাসিংহে দায়িত্ব নিলেও জাতীয় ঐক্যের সরকার গঠন করা নিয়ে টানাপোড়েন চলছে। বিরোধী দলের অনেক সিনিয়র নেতা নতুন সরকারের মন্ত্রিসভায় যোগ দিতে অস্বীকৃতি জানিয়েছেন বলে জানিয়েছে সংবাদমাধ্যমগুলো।
ব্যাপক গণবিক্ষোভের মুখে গত ৯ মে প্রধানমন্ত্রীর পদ থেকে সরে দাঁড়ান শ্রীলঙ্কার প্রভাবশালী রাজাপাকসে পরিবারের সর্বজেষ্ঠ্য সদস্য মাহিন্দা রাজাপাকসে। কিন্তু তিনি পদত্যাগ পত্র জমা দেওয়ার আগে তার সরকারি বাসভবনের সামনে বিক্ষোভকারীদের ওপর হামলা চালায় সরকার সমর্থকদের একটি দল।
এ ঘটনার পর পুরো শ্রীলঙ্কা বিক্ষোভে ফেটে পড়ে। দেশজুড়ে পুলিশ ও সরকার সমর্থকদের সঙ্গে সংঘর্ষ চলে বিক্ষোভকারীদের।
এই সংঘাতে নিহত হন সাত জন, আহত হন আরও তিন শতাধিক।
এই বিক্ষুব্ধ পরিস্থিতিতেই মঙ্গলবার শ্রীলঙ্কার রাজনৈতিক দল ইউনাইটেড ন্যাশনাল পার্টির (ইউএনপি) নেতা ও দেশটির সাবেক প্রধানমন্ত্রী রনিল বিক্রমাসিংহেকে অন্তর্র্বতী সরকারের নতুন প্রধানমন্ত্রী হিসেবে নিয়োগ দেন প্রেসিডেন্ট গোতাবায়া রাজাপাকসে।