সম্প্রতি পিঁয়াজ রফতানির ওপর ৪০ শতাংশ শুল্ক আরোপ করেছে ভারত। দেশটির কর্তৃপক্ষের দাবি, অভ্যন্তরীণ বাজারে স্থিতিশীলতার জন্য এই উদ্যোগ নেওয়া হয়েছে।
এবার চিনি রপ্তানিতে নিষেধাজ্ঞা দিতে যাচ্ছে প্রতিবেশী দেশটি ভারত। আগামী অক্টোবর থেকে শুরু হওয়া নতুন মৌসুম থেকে চিনি মিলগুলোকে রফতানি বন্ধের নির্দেশ দেওয়া হবে বলে গণমাধ্যমের খবরে জানা গেছে। অভ্যন্তরীণ বাজারে স্থিতিশীলতার জন্য এই উদ্যোগ নেওয়া হয়েছে বলে দাবি দেশটির সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষের।
প্রতিবেদন অনুযায়ী, ভারতীয় সরকারের তিনটি সূত্র জানিয়েছে- সাত বছরের মধ্যে এই প্রথম চিনির রফতানি বন্ধ করে দিতে যাচ্ছে ভারত। কেননা, অপর্যাপ্ত বৃষ্টির কারণে এবার আখের ফলন কম হয়েছে।
বিশ্ববাজারে ভারতের অনুপস্থিতি নিউইয়র্ক এবং লন্ডনে বেঞ্চমার্কের দাম বাড়াতে পারে, যা ইতিমধ্যে কয়েক বছরের মধ্যে সর্বোচ্চ দামে লেনদেন করছে। ভারতের এই ঘোষণা বিশ্বব্যাপী খাদ্য বাজারে আরও মুদ্রাস্ফীতির আশঙ্কা তৈরি করছে।
আবহাওয়া বিভাগের দেওয়া তথ্যে দেখা গেছে, পশ্চিমাঞ্চলীয় রাজ্য মহারাষ্ট্র এবং কর্ণাটকের শীর্ষ আখ চাষের জেলাগুলোতে মৌসুমি বৃষ্টিপাত ৫০ শতাংশ কম হয়েছে। এই জেলাগুলোতে ভারতের মোট চিনির অর্ধেক উৎপাদিত হয়।
একটি সরকারি সূত্র জানিয়েছে, “প্রাথমিকভাবে আমাদের মনোযোগের বিষয় হচ্ছে- স্থানীয় চিনির চাহিদা পূরণ করা এবং উদ্বৃত্ত আখ থেকে ইথানল তৈরি করা। আসন্ন মৌসুমে রফতানি কোটার জন্য জন্য আমাদের কাছে পর্যাপ্ত চিনি থাকবে না।”
ভারতে গত মৌসুমে রেকর্ড এক কোটি ১১ লাখ টন চিনি রফতানি করেছিল । সেখানে চলতি মৌসুমের ৩০ সেপ্টেম্বর পর্যন্ত মিলগুলোকে মাত্র ৬১ লাখ টন চিনি রফতানির অনুমতি দেওয়া হয়।