রাশিয়ার সঙ্গে চলমান যুদ্ধ মোকাবেলায় অত্যাধুনিক ট্যাংকের পর এবার মিত্রদের থেকে যুদ্ধবিমান পাচ্ছে ইউক্রেন।
দেশটির প্রতিরক্ষামন্ত্রী ওলেক্সি রেজনিকভ এক সংবাদ সম্মেলনে এই তথ্য জানিয়েছেন। পশ্চিমা নেতাদের পক্ষ থেকে এ নিয়ে কোনো কিছু বলা না হলেও ইউক্রেনের প্রতিরক্ষামন্ত্রী দৃঢ়তার সঙ্গে যুদ্ধবিমান পেতে যাওয়ার বিষয়টি জানিয়েছেন। খবর: আল-জাজিরার।
প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, ওলেক্সি রেজনিকভ জানিয়েছেন, আসন্ন সপ্তাহগুলোতে রাশিয়া ইউক্রেনে ব্যাপক আক্রমণ চালাবে বলে জানিয়েছেন রেজনিকভ। ইউক্রেনেরও সৈন্য আছে এবং রাশিয়ার আক্রমণ প্রতিহত করা হবে। পশ্চিমা মিত্রদের কাছ থেকে ট্যাংকসহ অন্যান্য অস্ত্র যথাসময়ে না পেলেও রুশ আক্রমণ ঠেকিয়ে দেওয়ার সক্ষমতা আমাদের রয়েছে।
গত বছরের ২৪ ফেব্রুয়ারি ইউক্রেনে রাশিয়ার হামলা শুরু হয়। ইউক্রেনের নানা স্থাপনা ঘিরে হামলা করতে থাকে রাশিয়ার সেনারা। সামরিক অভিযান শুরুর পর থেকে ইউক্রেনে বানের পানির মতো অস্ত্র পাঠাতে শুরু করে পশ্চিমারা।
রুশ আগ্রাসহ মোকাবিলায় পশ্চিমা মিত্রদের কাছ থেকে ইউক্রেন আধুনিক ট্যাংক চেয়ে আবেদন করলে সায় দেয় যুক্তরাষ্ট্র ও জার্মানি। কয়েকদিন আগে দুই দেশের পক্ষ থেকে ট্যাংকের (লেপার্ড-২) দেওয়ার প্রতিশ্রুতির পর ইউক্রেনে হামলা আরও বাড়িয়ে দেয় রুশবাহিনী। হামলায় ওদেসা অঞ্চলের গুরুত্বপূর্ণ অবকাঠামোগুলোর ক্ষয়ক্ষতি হয়েছে।
মিত্রদের কাছ থেকে ট্যাংক পাওয়ার প্রতিশ্রুতির পর যুদ্ধবিমান দাবি করে আসছিল কিয়েভ। ট্যাংক পাওয়ার খবরের প্রতিক্রিয়া জানাতে গিয়ে দেশটির প্রতিরক্ষামন্ত্রী ওলেক্সি রেজনিকভের উপদেষ্টা ইয়ুরি স্যাক বলেছিলেন, আমরা এখন যুদ্ধবিমান চাই। কিন্তু দেশটিতে যুদ্ধবিমান দেওয়ার বিষয়ে মিত্রদের পক্ষ থেকে ইতিবাচক কোনো সাড়া না পাওয়ার কথা আন্তর্জাতিক গণমাধ্যমে প্রকাশিত হয়েছিল। কিন্তু গত রোববারের সংবাদ সম্মেলনে পশ্চিমাদের থেকে যুদ্ধবিমান পেতে যাওয়ার বিষয়টি জানান ইউক্রেনের প্রতিরক্ষামন্ত্রী।
এক প্রশ্নের জবাবে ওলেক্সি রেজনিকভ বলেন, ‘আমরা কিছু যুদ্ধবিমানও পেতে যাচ্ছি। প্রশ্ন হতে পারেন কোন ধরনের যুদ্ধবিমান আমরা পাব। তবে ধরে নিতে পারেন, যুদ্ধবিমান লাভের যে মিশন ছিল তা সফল হয়েছে।’