সামনে চ্যাম্পিয়নস লিগের শেষ ষোলোর ম্যাচ। প্রতিপক্ষ আবার রিয়াল মাদ্রিদ। কঠিন এ লড়াইয়ের আগে শুক্রবার লিগ ওয়ানে একটা জয় খুব দরকার ছিল পিএসজির। তবে শুরুর দিকে এদিন পয়েন্ট হারানোর শঙ্কা ভর করেছিল মাওরিসিও পচেত্তিনোর দলের। শেষ পর্যন্ত অবশ্য সব শঙ্কা এক গোল করেই উড়িয়ে দেন কিলিয়ান এমবাপে।
প্যারিসে শুক্রবার রাতে লিগ ওয়ানের ম্যাচে রেনের বিপক্ষে শেষ সময়ের গোলে (১-০ গোলে) জিতেছে পিএসজি। এরফলে দলটি লিগ টেবিলে ১৬ পয়েন্টে এগিয়ে গেল মাওরিসিও পচেত্তিনোর দল। লিগে এই নিয়ে টানা ১৫ ম্যাচে অপরাজিত রইল দলটি। আসরে তারা একবারই হেরেছে, গত অক্টোবরে এই রেনের মাঠে ২-০ গোলে।
নির্ধারিত সময় পর্যন্তও গোলশূন্য ছিল দুই দল। এবার লিগে রেঁনের সঙ্গে প্রথম দেখায় ২-০ গোলে হেরেছিল পিএসজি। আজও জয়হীন থাকতে হতো যদি যোগ করা সময়ের তিন মিনিটের মাথায় গোল না করতেন এমবাপে।
দারুণ এক পাসে ফরাসি ফরোয়ার্ডকে দিয়ে গোলটি করান লিওনেল মেসি। ১-০ গোলের জয়ে লিগ আঁ-তে টানা ১৫ ম্যাচ অপরাজিত রইল পিএসজি।
প্রথমার্ধেই গোলের দেখা প্রায় পেয়েই যাচ্ছিলেন সিমন্স। বাঁ প্রান্ত দিয়ে বক্সে ঢুকে এমবাপ্পের নেওয়া বাঁকানো শট রেঁনের পোস্টে লাগে। ফিরতি বলে সিমন্সের শট রুখে দেন রেঁনে ডিফেন্ডার। প্রথমার্ধে ৪০ মিনিটে ওই মুহূর্তটুকু ছাড়া পিএসজি তেমন ভালো খেলতে পারেনি। বরং দৌড়ের সুযোগ বের করে পাল্টা চাপ বিস্তার করেছেন রেঁনের খেলোয়াড়েরা।
বিরতির পর ৬৪ মিনিটে গোল পেতে পারত পিএসজি। এবারও সেই মেসি-এমবাপ্পে যুগলবন্দী। আর্জেন্টাইন তারকার ডিফেন্সচেরা পাস ধরে এমবাপ্পে বল জালে পাঠালেও অফ সাইডের কারণে গোল হয়নি। তবে যোগ করা সময়ে আর ভুল হয়নি। প্রতি আক্রমণ থেকে এমবাপেকে গোল বানিয়ে দেন মেসি। বাঁ প্রান্ত থেকে তার বাঁকানো শট রেঁনে গোলকিপারের গ্লাভসে লেগে জালে জড়িয়ে যায়। সঙ্গে সঙ্গে আনন্দে মাতে পিএসজি শিবির। শেষ পর্যন্ত এ উচ্ছ্বাস নিয়ে মাঠ ছাড়ে দলটি।
এ জয়ে ২৪ ম্যাচে পিএসজির পয়েন্ট হলো ৫৯। এক ম্যাচ কম খেলে ৪৩ পয়েন্ট নিয়ে দুইয়ে আছে মার্সেই। তিন নম্বরে নিসের ৪২ পয়েন্ট। পিএসজির সমান ম্যাচে ৩৭ পয়েন্ট নিয়ে পাঁচ নম্বরে আছে রেন।