ইহুদি জনগোষ্ঠীকে নিয়ে তুরস্কের প্রেসিডেন্ট রিসেপ তাইয়েপ এরদোগানের মন্তব্যের তীব্র প্রতিবাদ জানিয়েছে যুক্তরাষ্ট্র। ইহুদি জনগণকে নিয়ে এরদোগানের মন্তব্য বিদ্বেষমূলক বলে জানিয়েছেন মার্কিন পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের মুখপাত্র নেড প্রাইস। বার্তা সংস্থা রয়টার্স এ খবর জানিয়েছে।
নেড প্রাইস এক বিবৃতিতে বলেছেন, যুক্তরাষ্ট্র প্রেসিডেন্ট এরদোগান এবং অন্যান্য তুর্কি নেতার উসকানিমূলক কোনো মন্তব্য করা থেকে বিরত থাকার আহ্বান জানাচ্ছে। এ ধরনের মন্তব্য সহিংসতা আরও বাড়িয়ে দিতে পারে।
‘ইহুদিবিদ্বেষী ভাষার স্থান কোথাও নেই’, যোগ করেন নেড প্রাইস।
তবে এরদোগানের কোন মন্তব্যকে যুক্তরাষ্ট্র ইহুদিবিদ্বেষী বলে মনে করছে, তা নির্দিষ্ট করে বলেননি নেড প্রাইস। এ বিষয়ে জানতে চাইলে, রয়টার্সকে তাৎক্ষণিক কোনো জবাবও দেয়নি মার্কিন পররাষ্ট্র দপ্তর।
ইসরাইলি বর্রতার বিরুদ্ধে বরাবরই সোচ্চার তুরস্কের প্রেসিডেন্ট। ফিলিস্তিনি মুসলমানদের ওপর পবিত্র রমজান মাসে হামলার তীব্র নিন্দা জানিয়েছেন এরদোগান। জেরুজালেমে ফিলিস্তিনিরা ইসরাইলি নিরাপত্তা বাহিনীর দিকে পাথর ছুড়লে প্রত্যুত্তরে ইসরাইলি পুলিশ তাদের ওপর রাবার বুলেট ছোড়ায় ইসরাইলকে ‘সন্ত্রাসী রাষ্ট্র’ বলে আখ্যা দিয়েছেন এরদোগান।
মধ্যপ্রাচ্য ইস্যুতে ইসরাইলের হামলাকে আত্মরক্ষার অধিকার বলে নিঃশর্ত সমর্থন দেওয়ায় মার্কিন প্রেসিডেন্ট জো বাইডেনকে তীব্র ভাষায় কটাক্ষ করেছেন তুরস্কের সরকার ও রাষ্ট্রপ্রধান।
তিনি গত সোমবার বাইডেনের উদ্দেশে বলেন, ‘আপনি আপনার রক্তাক্ত হাত দিয়ে ইতিহাস লিখছেন।’ এরদোগানের সরাসরি আক্রমণাত্মক এই বক্তব্যে আঁতে ঘা লেগেছে যুক্তরাষ্ট্রের।
ইসরাইলের কাছে অস্ত্র বিক্রির চুক্তি করায় বাইডেন প্রশাসনের কড়া সমালোচনা করেন এরদোগান। বলেন, ‘আমরা দেখলাম— বাইডেন ইসরাইলের কাছে অস্ত্র বিক্রিতে চুক্তিতে সই করেছেন।
তুরস্কের টেলিভিশনে প্রচারিত ভাষণে মার্কিন প্রেসিডেন্ট সম্পর্কে সরাসরি এসব মন্তব্য করেন এরদোগান। বাইডেন গত জানুয়ারি মাসে মার্কিন প্রেসিডেন্টের দায়িত্ব নেওয়ার পর এই প্রথম তাকে সবচেয়ে কড়া ভাষায় আক্রমণ করেন এরদোগান। যুক্তরাষ্ট্র এরই নিন্দা জানিয়েছেন।