ওমর ফারুক রবিনঃ রাজধানী ঢাকার এলিভেটেড এক্সপ্রেসওয়ে নির্মানাধীন এলাকায় অজ্ঞাতনামা ছয় সাত জন নিরাপত্তা কর্মীর রড দিয়ে এলোপাথারী আঘাতে বিলাল হোসেন (৫০) নামে এক ব্যক্তির মৃত্যুবরণ করেছে মর্মে অভিযোগ পাওয়া যায় উক্ত ঘটনায় হাতিরঝিল থানায় একটি হত্যা মামলা দায়ের করা হয়েছে মামলার এজাহার সূত্রে বাদী সালমা আক্তার জানান, আমার মামা মোহাম্মদ বিল্লাল হোসেন (৫০), পিতা-মৃত জসীম উদ্দীন, মাতা মোসা: হালিমা খাতুন, সাং-ঝাউরাম, থানা-জামালপুর সদর, জেলা-জামালপুর, এপি-কাওরান বাজার রেললাইন (ভাসমান), থানা-তেজগাঁও শিল্পাঞ্চল, ঢাকা এলাকায় ভাসমান হিসেবে বসবাস কারত। ইং ৫/৬/২০২৪ তারিখ সকাল অনুমান ১০.৪০ ঘটিকায় সময় আমার মামার পরিচিত নাজমুল (২১), পিতা-লাল মিয়া, ফোন দিয়ে জানায় যে, আমার মামা মো: বিল্লাল হোসেন হাতিরঝিল থানাধীন মগবাজার রেললাইন সংলগ্ন দিলু বেপারী জামে মসজিদের দক্ষিণ পার্শ্বে অচেতন অবস্থায় পরে আছে। উক্ত সংবাদের প্রেক্ষিতে আমি আমার স্বামী মো: ইসমাইল ও আমার মামা মো: বিলাল হোসেনের একমাত্র মেয়ে বিথী আক্তার বৃষ্টি (১৩) কে সাথে নিয়ে দ্রুত ঘটনাস্থলে এসে জানতে পারি যে, আমার মামাকে হাতিরঝিল থানা পুলিশ ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে নিয়ে গেছে। তাৎক্ষনিক আমরা ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে গিয়ে দেখি যে, আমার মামা মো: বিলাল হোসেন এর মৃতদেহ মর্গে আছে। আমার মামার শরীরের বিভিন্ন স্থানে আঘাতের চিহ্ন দেখতে পাই তখন সেখানে কর্তব্যরত ডাক্তারের নিকট জানতে পারি হাতিরঝিল থানা পুলিশ আমার মামাকে মৃত অবস্থায় ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে নিয়ে এসেছে। পরবর্তীতে আমি আমার মামার মৃত্যুর বিষয়ে খোঁজ খবর করার জন্য ঘটনাস্থলে গিয়ে জানতে পারি যে, আমার মামা মো: বিলাল হোসেন ইং-০৫/০৬/২০২৪ তারিখ রাত অনুমান ০৩.০০ ঘটিকার সময় এলিভেটেড এক্সপ্রেস এর নির্মাণ কাজের রড চুরি করতে গেলে এলিভেটেড এক্সপ্রেসওয়েতে কর্মরত ৬-৭ জন অজ্ঞাতনামা নিরাপত্তা কর্মীরা আমার মামা মো: বিল্লাল হোসেনকে ধরে এবং রড দিয়ে এলোপাথারী মারধর করে। অজ্ঞাতনামা আসামীদের মারধরের ফলে আমার মামা মো:বিল্লাল হোসেন ঘটনাস্থলে মৃত্যুবরণ করলে অজ্ঞাতনামা বিবাদীরা আমার মামার মৃত্যুর বিষয়টি ভিন্ন খাতে প্রবাহিত করা সহ আমার মামার মৃতদেহ গুম করার উদ্দেশ্যে মগবাজার রেল লাইন সংলগ্ন দিলু বেপারী জামে মসজিদের দক্ষিণ পার্শ্বে সিমেন্টের ব্যারিকেডের মধ্যে লুকিয়ে রাখে। এলিভেটেড এক্সপ্রেসওয়েতে কর্মরত অজ্ঞাতনামা আসামীদের বেপরোয়া ও এলোপাথারী মারধরের ফলে আমার মামা মোঃ বিল্লাল হোসেন মৃত্যুবরণ করেছে।
এ বিষয়ে হাতিরঝিল থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা ওসি শাহ মোহাম্মদ আওলাদ হোসেন জানান, তদন্ত চলছে যেহেতু হত্যাকাণ্ড সেহেতু কিছু তথ্য পাওয়া গিয়েছে, এ বিষয়ে এখন কিছু বলা যাবে না, ঘটনার রহস্য উদঘাটনের জন্য আমাদের টিমসহ ডিবি তদন্ত করছে, বর্তমানে ডিবি তেজগাঁও বিষয়টি নিয়ে কাজ করছে, জিজ্ঞাসাবাদের জন্য দুই তিন জনকে আটক করেছেন ডিবি, তবে থানা থেকে এখন পর্যন্ত কাউকে আটক করা হয়নি। ডিবি তেজগাঁও বিভাগের উপ পুলিশ কমিশনার এর সঙ্গে যোগাযোগ করা হলে এ বিষয়ে তিনি জানান, মামলা আমরা হাতে পেয়েছি তদন্ত চলছে এ বিষয়ে এখন কিছু বলা যাবে না যেহেতু তদন্ত চলছে।