নোয়াখালীর সোনাইমুড়ী উপজেলার পৌরসভা ০৪ নং ওয়ার্ডের ভানুয়াই গ্রামের উদিয়মান সাবেক ছাত্র নেতা ও বর্তমানে যুবলীগের যুগ্ম আহ্বায়ক এস এম তোহিদ হাজারী পৌর আওয়ামীলীগের সাধারণ সম্পাদক প্রার্থী হয়ে পৌরসভার দলীয় নেতাকর্মীদের মন জয় করে নিয়েছেন বলে এলাকাবাসী সূত্রে জানা গেছে।সরজমিনে নোয়াখালী সোনাইমুড়ী উপজেলার পৌরসভার বিভিন্ন ওয়ার্ডে বাংলাদেশ আওয়ামীলীগের দলীয় পৌর কমিটির নির্বাচনের খোঁজ খবর নিতে গিয়ে প্রার্থী হিসেবে অনেকের নাম শুনা গেলেও নেতাকর্মীদের মাঝে সাবেক ছাত্র ও যুবলীগ নেতার নাম সবার আগে উঠে আসছে। দীর্ঘ রাজনৈতিক জীবনে এস এম তোহিদ হাজারী তৃণমূল থেকে উঠে এসে বিদ্যালযের পাঠ চুকিয়ে সোনাইমুড়ী কলেজে ভর্তি হন। ভর্তি হয়ে বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের আদর্শে বিশ্বাসী হয়ে বাংলাদেশ ছাত্রলীগে যোগ দেন।কিছু দিনের মধ্যে কলেজ ছাত্রলীগের কর্মীদের মাঝে নিজের রাজনৈতিক প্রজ্ঞা ও ভালোবাসা তুলে ধরলে সাধারণ ছাত্রলীগ কর্মীরা তাকে সাধারণ সম্পাদক নির্বাচিত করেন।কলেজ গন্ডিতে থাকা অবস্থায় বিভিন্ন আন্দোলন সংগ্রামে অগ্রণী ভূমিকা পালন করে ছাত্রলীগ কর্মী ছাড়াও নেতৃস্থানীয় নেতাদের চোখে এই সংগ্রামী ছাত্র নেতা তাই নেতৃত্বের কাতারে আবারও ছাত্রলীগ কর্মী ও নেতারা উপজেলা নেতৃত্ব দেওয়ার জন্য তাকে ছাত্রলীগের সভাপতি হিসেবে নির্বাচিত করেন।
পরবর্তীতে রাজনৈতিকভাবে দৃঢ়তা এবং দুরদর্শিতা ও কর্মী বান্ধব হওয়া বিভিন্ন নেতার নির্দেশে যুবলীগে যোগ দেন। যুবলীগে যোগ দেওয়ার পর থেকে বিভিন্ন সময় বিরোধী দলের জালাও পোড়াও আন্দোলনের বিরোধিতা করে সর্বদায় সক্রিয় ছিলেন এই যুবলীগ নেতা। সোনাইমুড়ী উপজেলা যুবলীগের নেতৃত্বে আসার সময় নেতাকর্মীদের সক্রিয় সমর্থনে আবারও যুবলীগের যুগ্ম আহ্বায়ক হিসেবে তার রাজনৈতিক জীবন ধরে রাখেন। আওয়ামীলীগের রাজনীতি করতে গিয়ে বিভিন্ন সময় বিভিন্ন দলের রোশানলে পড়ে জীবনের অনেকগুলো দিন কারাগারের অন্ধকার প্রকোষ্ঠে কাটাতে হয়েছে। ২০০১ সাল থেকে বিভিন্ন সময় জামায়াত, বিএনপির ক্ষমতা থাকার সময় অনেকগুলো মামলা, হামলার স্বীকার হয়েছেন।
পৌর আওয়ামীলীগের নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক কিছুনেতাকর্মীর সাথে কথা হলে তারা বলেন, পৌরসভার সাধারণ সম্পাদক হতে অনেকে চান। কিন্তু কখনো সঠিক সময় নেতৃত্ব দেওয়ার মত উপর্যুক্ত একজনও এগিয়ে আসেননি। সর্বদায় এস এম তোহিদ হাজারী ভয়কে জয় করে এগিয়ে এসেছেন। সুতরাং তিনিই পৌর আওয়ামীলীগের সাধারণ সম্পাদকের যোগ্য বলে আমরা মনে করি।এস এম তোহিদ হাজারী সাথে তার মুঠোফোনে কথা হলে তিনি বলেন, আমি তৃণমূল থেকে অধ্যবদি আওয়ামীলীগের রাজনীতির সাথে জড়িত আছি। কখনো লোভে পথভ্রষ্ঠ হইনি, ভবিষ্যতেও হবো না। আমি আশা করছি যদি সোনাইমুড়ী পৌরবাসী এবং আওয়ামীলীগের নেতাকর্মীরা আমার অতীত কর্মকান্ড ও নেতৃত্বের উপর অবিচল আশ্বাস এবং বিশ্বাস রাখেন তাহলে অবশ্যই সাধারণ সম্পাদক হিসেবে আমাকে বেঁচে নিবেন। বেঁচে নিলে রাজনৈতিক কর্মকান্ড দিয়ে এলাকার উন্নয়ন করে মাননীয় প্রধানমন্ত্রীর হাতকে শক্তিশালী করবো।