কৃষকদল নেতা সজীব হোসেন মৃত্যুর ঘটনায় চারটি মামলা হয়েছে। লক্ষ্মীপুরে বিএনপি–আওয়ামী লীগ ও পুলিশের ত্রিমুখী সংঘর্ষে এ মৃত্যুর ঘটনা ঘটে ।এসব মামলায় জেলা বিএনপির আহ্বায়ক ও কেন্দ্রীয় কমিটির প্রচার সম্পাদক শহীদ উদ্দিন চৌধুরী এ্যানিসহ দলের ৩ হাজার ৮৫৫ নেতাকর্মীকে আসামি করা হয়েছে।
বৃহস্পতিবার (২০ জুলাই) লক্ষ্মীপুর জেলা পুলিশ সুপার (এসপি) মো. মাহফুজ্জামান আশরাফ এ তথ্য নিশ্চিত করেছেন। বুধবার রাতে সদর মডেল থানায় আলাদা এসব মামলা দায়ের করা হয়।
নিহত ব্যক্তি চরশাহী ইউনিয়নের নুরুল্লাপুর গ্রামের আবু তাহেরের ছেলে মো. সজীব।
জানা গেছে, ওই ঘটনার পর মঙ্গলবার রাতে জেলা বিএনপি সংবাদ সম্মেলনে নিহত ব্যক্তিকে কৃষকদলের চরশাহী ইউনিয়ন কমিটির সদস্য বলে দাবি করেন। তবে আওয়ামী লীগের পক্ষ থেকে হত্যাকাণ্ডের বিষয়টি বিএনপির অভ্যন্তরীণ কোন্দলের জের হিসেবে ঘটেছে বলে দাবি করেছেন।
পুলিশ জানায়, সজিব হোসেন হত্যার ঘটনায় তার মেঝ ভাই মো. সুজন হোসেন বাদী হয়ে অজ্ঞাত পরিচয়দের বিরুদ্ধে মামলা দায়ের করেছেন। এ ছাড়াও কমলনগর উপজেলা আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক অ্যাডভোকেট এ কে এম নুরুল আমিন রাজুর বাসভবনে হামলা ও ব্যক্তিগত গাড়ি ভাঙচুরের ঘটনায় মামলা করেছেন তিনি। এতে অজ্ঞাতপরিচয় ৩০০ জনকে আসামি করা হয়েছে।
এদিকে সদর থানার উপপরিদর্শক (এসআই) আনিছুর রহমান বাদী হয়ে বিস্ফোরকদ্রব্য ও বিশেষ ক্ষমতা আইনে মামলা দায়ের করেছেন। এতে বিএনপি নেতা শহীদ উদ্দিন চৌধুরী এ্যানিকে প্রধান আসামি করে ৩০ জনের নাম উল্লেখ করা হয়। তবে মামলায় অজ্ঞাতপরিচয় আরও দুই হাজার জনকে আসামি করা হয়েছে।
অন্যদিকে সদর থানার উপপরিদর্শক (এসআই) মোজাম্মেল হোসেন বাদী হয়ে আরও একটি মামলা দায়ের করেছেন। এতে পুলিশের কাজে বাধা ও পুলিশ সদস্যদের আহত করার অভিযোগ এনে বিএনপি নেতা শহীদ উদ্দিন চৌধুরী ত্র্যানিসহ ২৫ জনের নাম উল্লেখ করা হয়েছে। এ ছাড়া ওই মামলায় অজ্ঞাতপরিচয় আরও ১ হাজার ৫০০ জনকে আসামি করা হয়েছে।