মঙ্গলবার ইউনেস্কোতে বাংলাদেশের স্থায়ী মিশন ও ইউনেস্কোর যৌথ অনুষ্ঠানে ইউনেস্কোর ইনফরমেশন সেক্টরের স্ট্রাটেজিস এন্ড পলিসিজ বিষয়ক পরিচালক গাই বারগার এ কথা। তিনি বলেন, ঐতিহাসিক ৭ই মার্চের ভাষণে অর্থনৈতিক ও সামাজিক মুক্তির বিষয় যে ভাবে উঠে এসেছে তা ইউনেস্কো-এর আদর্শ ও লক্ষ্যের সাথে সামঞ্জস্যপূর্ণ।
তিনি সৃজনশীল অর্থনীতিতে ইউনেস্কো-বঙ্গবন্ধু পুরস্কার প্রবর্তনে সহযোগিতার জন্য বাংলাদেশ সরকারকে ধন্যবাদ জানিয়ে বলেন, এ পুরস্কার অভিবাসী, নারী-পুরুষ সমতা ও যুব উন্নয়নে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রাখবে।
৭ই মার্চের ভাষণ শুধুমাত্র বাংলাদেশের একজন রাজনৈতিক নেতার মুখ নিঃসৃত কিছু শব্দ নয়, বরং অর্থনৈতিক, সামাজিক সাংস্কৃতিক এবং প্রাতিষ্ঠানিক বঞ্চনার শিকার একটি জাতির এক সংগ্রামী নেতার সংগ্রামী জীবনের বহিঃপ্রকাশ। ইউনেস্কো-এর বিশ্ব প্রামাণ্য ঐতিহ্য হিসেবে স্বীকৃত হওয়ার জন্য যে বৈশিষ্ট্যসমূহ থাকা দরকার তার সবগুলোই এ ভাষণে বিদ্যমান বলে তিনি অভিমত প্রকাশ করেন।
তাই অনুবাদের মাধ্যমে এ ভাষণের প্রচার ও প্রসারে বাংলাদেশ সরকারের গৃহীত পদক্ষেপের জন্য তিনি ধন্যবাদ জানান এবং জাতিসংঘের ৬টি দাপ্তরিক ভাষাসহ সর্বমোট ১৪টি ভাষায় অনুদিত হলেও আরও অধিক ভাষায় অনুবাদের মাধ্যমে এ ভাষণ বিশ্বময় ছড়িয়ে দেওয়ার ব্যাপারে তিনি মত প্রকাশ করেন।
পররাষ্ট্রমন্ত্রী ড. এ.কে. আব্দুল মোমেন ভিডিও বার্তায় বলেন, বঙ্গবন্ধু এবং বাংলাদেশ অভিন্ন, বঙ্গবন্ধুর জন্ম না হলে বাংলাদেশ হত না। ঐতিহাসিক ৭ই মার্চের ভাষণ শুধু বাংলাদেশের স্বাধীনতার ডাক-ই দেননি, বরং ভবিষ্যৎ বাংলাদেশের রূপরেখা প্রদান করেছেন। বঙ্গবন্ধুর ঐতিহাসিক ৭ই মার্চের ভাষণের সুবর্ণজয়ন্তী উদযাপন উপলক্ষ্যে আয়োজিত অনুষ্ঠানে ইউনেস্কোর সামাজিক ও মানবিক সেক্টরের সহকারী মহাপরিচালক গাবিরিয়াল রোমাস, ফ্রান্সে বাংলাদেশের রাষ্ট্রদূত ও ইউনেস্কোতে বাংলাদেশের স্থায়ী প্রতিনিধি কাজী ইমতিয়াজ হোসেসহ অন্যান্যরা বক্তব্য রাখেন।