হইচই, নেটফ্লিক্স, অ্যামাজন, বঙ্গবিডিসহ ওভার দ্যা টপ (ওটিটি) মাধ্যম থেকে অশ্লীলতা রোধ ও রাজস্ব আদায়ের বিষয়ে বিভিন্ন অনলাইন প্লাটফর্ম নিয়ন্ত্রণে খসড়া নীতিমালা প্রণয়নে কমিটি গঠন করেছে বাংলাদেশ টেলিযোগাযোগ নিয়ন্ত্রণ কমিশন (বিটিআরসি)।
আজ মঙ্গলবার (৭ সেপ্টেম্বর) বিচারপতি জে বি এম হাসান ও বিচারপতি রাজিক আল জলিলের সমন্বয়ে গঠিত হাইকোর্ট বেঞ্চকে বিষয়টি অবহিত করে বিটিআরসি। পরে আদালত মামলার পরবর্তী আদেশের জন্য আগামী ১ নভেম্বর দিন ধার্য করেছেন।
একই দিন সামাজিক মাধ্যম এবং মোবাইলের অ্যাপ সম্পর্কিত যে সকল চলমান মামলা আছে সেগুলোর বিচার-বিশ্লেষণ করা হবে বলেও আদালত জানিয়েছেন।
আদালতে বিটিআরসির পক্ষে কমিটি গঠনের প্রতিবেদন দাখিল করেন ব্যারিস্টার রেজা-ই রাকিব। অন্যদিকে রিটের পক্ষে শুনানিতে ছিলেন আইনজীবী মো. তানভীর আহমেদ।
গঠিত ৮ সদস্যের কমিটিতে বিটিআরসির কমিশনার (এলএল) আবু সৈয়দ দিলজার হোসেনকে আহবায়ক এবং উপ-পরিচালক (আইন) পদবীর একজনকে সদস্য সচিব করা হয়েছে। এ ছাড়া সদস্য করা হয়েছে ছয়জনকে। তারা হলেন‑ বিটিআরসির মহাপরিচালক (এসএস), পরিচালক (আইন), পরিচালক (এসএস), তথ্য মন্ত্রণালয়ের একজন উপযুক্ত প্রতিনিধি (উপ-সচিবের নিচে নয়), অর্থ, হিসাব ও রাজস্ব বিভাগের একজন প্রতিনিধি (উপ-পরিচালকের নিচে নয়) এবং বিটিআরসির একজন আইন পরামর্শক।
প্রসঙ্গত, ২০২০ সালের ১৪ জুন বাংলাদেশি ওয়েব সিরিজের বিতর্কিত অংশ বাদ দিতে সংশ্লিষ্টদের একটি আইনি নোটিশ দিয়েছিলেন আইনজীবী তানভীর আহমেদ। তবে সে নোটিশের কোনো জবাব না পেয়ে তিনি একই বছরের ১২ জুলাই হাইকোর্টে রিট দায়ের করেন।
সে রিটের শুনানি নিয়ে ২০২০ সালের ৮ সেপ্টেম্বর বিতর্কিত ওয়েব সিরিজ থেকে অনৈতিক, নিন্দনীয় ও আইন বহির্ভূত ভিডিও’র অংশগুলো সরিয়ে ফেলতে কর্তৃপক্ষের নিষ্ক্রিয়তা এবং খামখেয়ালি কেন বেআইনি ঘোষণা করা হবে না, তা জানতে চেয়ে রুল জারি করেন হাইকোর্ট। একইসঙ্গে ওয়েব সিরিজ মনিটরিংয়ের জন্য কেন একটি নীতিমালা তৈরি করা হবে না‑ রুলে জানতে চান আদালত। সংশ্লিষ্ট বিবাদীদের এ রুলের জবাব দিতে বলা হয়।
পাশাপাশি আগের আদেশ অনুসারে চার সপ্তাহের মধ্যে ইন্টারনেট ও বিভিন্ন সামাজিক মাধ্যমে (ওটিটি প্লাটফর্ম) ছড়িয়ে পড়া ওয়েব সিরিজের অনৈতিক, নিন্দনীয় ও আইন বহির্ভূত ভিডিওর অংশগুলো সরিয়ে ফেলতে এবং এসবের সঙ্গে পরিচালক-প্রযোজকসহ জড়িতদের বিষয়ে অনুসন্ধান করে অগ্রগতি প্রতিবেদন দাখিল করতে নির্দেশ দেন হাইকোর্ট। এ ছাড়া নেটফ্লিক্সের মতো অন্যান্য ওটিটি প্লাটফর্মগুলো থেকে কিভাবে সরকার রেভিনিউ সংগ্রহ করে তাও বিটিআরসির কাছে জানতে চান আদালত।
এর পর গত ১৮ জানুয়ারি পরবর্তী নির্দেশনায় ওটিটি প্লাটফর্ম নিয়ন্ত্রণে খসড়া নীতিমালা প্রণয়নের নির্দেশ দেন হাইকোর্ট। তিন মাসের মধ্যে নীতিমালার খসড়া প্রণয়ন করে হাইকোর্টে দাখিল করতে বলা হয়। বিটিআরসির চেয়ারম্যান ও তথ্য মন্ত্রণালয়ের সচিবকে ওই খসড়া প্রণয়ন করতে বলা হয়।