করোনার দক্ষিণ আফ্রিকান ভ্যারিয়েন্ট ওমিক্রনে টালমাটাল ইউরোপের বিভিন্ন দেশ। এরই মধ্যে সতর্ক বার্তা দিলো বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থা (ডব্লিউএইচও)।
বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থা বলেছে, ইউরোপের অর্ধেক মানুষই ৬ থেকে ৮ সপ্তাহের মধ্যে করোনাভাইরাসের নতুন ধরন ওমিক্রন সংক্রমিত হবে।
ব্রিটিশ সংবাদমাধ্যম বিবিসি এমন খবর দিয়েছে।
ডব্লিউএইচও’র ইউরোপ প্রধান হান্স ক্লুগের বরাতে বিবিসি জানায়, পশ্চিম ইউরোপ থেকে পূর্বে বিস্তার ঘটতে থাকা ওমিক্রনের ঢেউয়ে গোটা অঞ্চল ছেয়ে যাচ্ছে। তার ওপর সংক্রমণ বাড়ার পেছনে করোনাভাইরাসের ডেল্টা ধরন তো আছেই।
বিবিসি জানায়, ২০২২ সালের প্রথম সপ্তাহে ইউরোপজুড়ে নতুন ৭০ লাখ মানুষের কোভিড শনাক্ত হওয়ার খবর পাওয়া গেছে। এর ভিত্তিতেই শিগগিরই আরও মানুষের ওমিক্রন সংক্রমিত হওয়ার ওই পূর্বাভাস দেওয়া হয়েছে।
ইতোমধ্যেই দু’সপ্তাহে কোভিড শনাক্তের সংখ্যা দ্বিগুণের বেশি হয়ে গেছে। এ পরিস্থিতিতেই সিয়াটল ভিত্তিক হেলথ মেট্রিক্স এন্ড এভাল্যুয়েশন ইন্সটিটিউটের পূর্বাভাস তুলে ধরে হ্যান্স ক্লুগ বলেছেন, এই অঞ্চলের জনসংখ্যার ৫০ শতাংশের বেশি আগামী ছয় থেকে আট সপ্তাহে ওমিক্রনে আক্রান্ত হবে।
তিনি বলেন, ভাইরাস পশ্চিম ইউরোপের দেশগুলো থেকে বলকান অঞ্চলের দেশগুলোতে ছড়িয়ে পড়তে থাকায় ইউরোপীয় এবং মধ্য এশিয়ার দেশগুলো চরম চাপের মধ্য দিয়ে যাচ্ছে।
২০২২ সালের প্রথম সপ্তাহে ৭০ লাখের বেশি নতুন আক্রান্ত হিসেবে শনাক্ত হয়েছে। যা আগের সপ্তাহের তুলনায় দ্বিগুণ। ২৬টি দেশে প্রতিটি সপ্তাহে ১ শতাংশের বেশি মানুষ করোনায় আক্রান্ত হচ্ছেন।
ক্লুগ জানান, ইউরোপের ৫৩টি দেশের মধ্যে ৫০টিতে ওমিক্রন ভ্যারিয়েন্ট আক্রান্ত পাওয়া গেছে। পশ্চিম ইউরোপে এই ধরন ক্রমশ আগ্রাসী হয়ে উঠছে।
সংক্রমণ দ্রুত ও বিস্তার নজিরবিহীন উল্লেখ করে তিনি বলেন, এই হার অব্যাহত থাকলে আগামী ছয় থেকে আট সপ্তাহের মধ্যে ইউরোপের অর্ধেকের বেশি জনসংখ্যা করোনায় আক্রান্ত হতে পারে।
তার মতে, যেসব অঞ্চলে টিকাদানের হার কম সেখানে এই সংক্রমণের প্রভাব ভয়াবহ হতে পারে। যেসব দেশে টিকাদানের হার কম সেগুলোতে ওমিক্রনের পুরোপুরি প্রভাব আমরা প্রত্যক্ষ করিনি।