স্বাস্থ্যমন্ত্রী জাহিদ মালেক বলেছেন, ওষুধের দোকান (ফার্মেসি) ২৪ ঘণ্টাই খোলা থাকবে, কোনো দোকান বন্ধ থাকবে না। সিটি করপোরেশন যদি এ বিষয়ে কিছু বলে থাকে, তাহলে তাদের সঙ্গে আলোচনা করে অবশ্যই সুরাহা করা হবে।
স্বাস্থ্যমন্ত্রী বলেন, ইতোমধ্যে কর্মকর্তাদের নির্দেশ দেওয়া হয়েছে, সিটি কর্পোরেশনের সাথে আলোচনা চলছে। রাত ১২টার পর ওষুধের দোকান বন্ধের কোনো নির্দেশ আমরা দেইনি। এ বিষয়ে আলোচনা চলছে। তবে ওষুধের দোকানগুলো ২৪ ঘণ্টাই খোলা থাকবে।
সাংবাদিকদের এক প্রশ্নের জবাবে তিনি বলেন, স্বাস্থ্যসেবা হলো জরুরি সেবা। আমরা কোনো হাসপাতালের টাইমিং কমাইনি। আমরা ২৪ ঘণ্টা সেবা বজায় রেখেছি। শুধু অফিস কেন্দ্রিক বা সিভিল সার্জন অফিস, সেখানে ৮-৩টা করেছি। তাছাড়া সকল হাসপাতাল তার নিজস্ব গতিতে চলবে। সেখানে সময়টা অপরিবর্তিত থাকবে এবং ওষুধের দোকানের বিষয়ে আমরা বন্ধ করার জন্য কোনো নির্দেশনা দেইনি।
তিনি বলেন, ওষুধ একটি জরুরি প্রয়োজনীয় বিষয়। যে সমস্ত প্রতিষ্ঠান জরুরি সেবা দিয়ে থাকে, সাধারণত বন্ধ রাখা হয় না। ফার্মেসিগুলো কিন্তু ২৪ ঘণ্টাই খোলা থাকে। এ বিষয়ে আমরা কোনো নির্দেশনা দেইনি। সিটি কর্পোরেশন যদি এ বিষয়ে কিছু করে থাকে, আমরা তাদের সাথে আলোচনা করে একটা সুরাহা অবশ্যই করব। আমি মনে করি এটা ২৪ ঘণ্টা খোলা থাকা প্রয়োজন।
ওষুধ না পেয়ে যদি কোনো ব্যাক্তি মারা যায় তাহলে সে দায়ভার কে নেবে জানতে চাইলে স্বাস্থ্যমন্ত্রী বলেন, যখনই শুনেছি তখন থেকে এ বিষয়ে পদক্ষেপ গ্রহণ করা হয়েছে। ইনশাআল্লাহ খোলা থাকবে। ওনারা হয়তো বলেছিল রাতের বিষয়। এ বিষয়টা অবশ্যই আলোচনার প্রয়োজন থাকে। ওনারা একটা সিদ্ধান্ত দিয়েছে, যে সিদ্ধান্ত আমাদের সাথে আলোচনা করে দেওয়া হয়নি। আমরা আলোচনা করে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নেবো। ইতোমধ্যে এ বিষয়ে আমরা আমাদের কর্মকর্তাদের বলেছি, আলোচনা করে সুরাহা করার জন্য।
কয়েকদিন হয়ে গেলেও এখন পর্যন্ত কোনো সিদ্ধান্ত নেওয়া হলো না কেন— এমন প্রশ্নের জবাবে জাহিদ মালেক বলেন, ওষুধের দোকানতো বন্ধ হয়নি। এটাতো গতকালকের বিষয়। এক সপ্তাহ পার হয়নি। গত পরশু ক্যাবিনেটে এটা আলোচনা হয়েছে। গতকাল হয়তো এ বিষয়টি বলেছে। এ বিষয়ে আমরা গতকালই জেনেছি এবং প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নেওয়ার জন্য বলেছি।
তিনি বলেন, ওষুধের দোকান বন্ধ থাকবে না, খোলা থাকবে। কারণ এটা একটা প্রয়োজনীয় জিনিস। যেভাবে হাসপাতাল খোলা থাকবে, সেভাবে ওষুধের ব্যবস্থাও থাকবে। সরকারি হাসপাতালে তো ওষুধ সরাসরি যায়। সেখানে তো বন্ধ থাকার কোনো সুযোগ নেই। ফার্মেসিগুলোর কথা হয়তো বলেছে, সেটাকেও খোলা রাখার ব্যবস্থা নেব।