ঔষধ প্রশাসনের বিরুদ্ধে র্দীঘদিনের অনিয়ম দূর্নীতি ও অবৈধতা অভিযোগে নিমজ্জিত ছিল। ঔষধ শিল্পের সাথে জড়িতদের অন্তহীন দূর্ভোগ এবং নানা ধরনের প্রতিবন্ধতকা থাকায় এই শিল্পের গতি বাধার মুখোমুখি হয়। ঔষধ প্রশাসনের অনিয়ম নিয়ে মিডিয়াতে প্রচুর লেখালেখী হয়। বিষয়টি সরকারের মন্ত্রণালয়ের নজরে আসে। ঔষধ প্রশাসনের ভাবমূর্তি ফিরিয়ে আনার লক্ষ্যে সরকার নানামুখী পদক্ষেপ গ্রহণ করে। ঔষধ এর সাথে ভেজাল মানহীন মেয়াদউর্ত্তীন এই ধরনের অভিযোগ সবসময়ে বিরাজমান রয়েছে। এই প্রতিকূল পরিস্থিতিতে সরকার ঔষধ প্রশাসন অধিদপ্তরের মহা-পরিচালক হিসেবে সেনাবাহিনী চৌকুশ কর্মকর্তা মেজর জেনারেল মো: মাহবুবুর রহমানকে দায়িত্ব প্রদান করেন । ঔষধ উৎপাদন থেকে বিক্রয় বিপণন ক্ষাতে অনিয়মের যে তালবেতাল কাহীনি বিদ্যমান ছিল সেটি নয়া মহা-পরিচালক এসে ভেঙ্গে দিয়েছেন। ঔষধ বিপণনে ফার্মেসি গুলোর গুরুত্ব অপরসীম। এই ফার্মেসী’র গুলোর মাধ্যমে ভেজাল ও নিম্ন মানের এবং মেয়াদউত্তীর্ণ ঔষধ বাজারজাত হয়।
নতুন মহা-পরিচালক এসে প্রতিটি জেলা-উপজেলা ও থানা মডেল ফার্মেসি স্থাপন করেন। আধুনিক মেডিসিন শপ স্থাপন করা হয়। ড্রাগ লাইসেন্স ও রেজিষ্ট্রিশন পেতে যেখানে দীর্ঘ সুত্রতা ছিল সেটির অবসান ঘটিয়ে দ্রুত সময়ের ও সহজ পদ্ধতিতে ড্রাগ লাইসেন্স ও রেজিষ্ট্রিশন প্রদান করা হয় অথচ মডেল ফার্মেসি ও মেডিসিন শপ কিছুদিন আগেও চালু করা কঠিন ছিল। জনগনের স্বাস্থ্য সেবা খাতে ঔষধের ঝুঁকি নিরসনে ঔষধ প্রশাসন ভেজাল নকল নিম্নমান, ও মেয়াদউত্তীর্ন ঔষধ এর বিরুদ্ধে শাড়াসি অভিযান পরিচালনা করে। দেশের বিভিন্ন অঞ্চল থেকে অভিযান চালিয়ে বিপুল পরিমান ভেজাল নকল মেয়াদউত্তীর্ণ ঔষধ জব্দ করে। এইসব ঔষধ এর আনুমানিক মূল্য প্রায় ৩০ কোটি টাকা। যা ঔষধ প্রশাসন ধ্বংস করে দেয়।
এছাড়া ঔষধ শিল্পে ইউনানী, আয়ুর্বেদিক, হারবাল হোমিও, ও এলোপ্যাথিক কোম্পনিগুলো নানা ধরনের ঔষধ উৎপাদন করে বাজারজাত করে আসছে এরই মধ্যে মানহীন ভেজাল ঔষধ ও ছিল তাছাড়া তারা ডব্লিউএইচও এব সিজিএমপি গাইডলাইন অনুসরন ছাড়া ঔষধ উৎপাদন ও বাজারজাত করায় জনস্বাস্থ্য হুমকির মুখে পড়ে। এইসব কোম্পানি বিরুদ্ধে ও তাদের ঔষধ সংগ্রহ পূর্বক পরীক্ষানীরিক্ষা করে শহস্রাধিক কোম্পনি’র ড্রাগ লাইসেন্স স্থগিত করে দেয়া হয়। একই সঙ্গে বিভিন্ন ধরনের ঔষধ ভেজাল এর কারনে বাতিল করা হয়। অপরদিকে ড্রাগ লাইসেন্স নবায়ন ও রেজিস্ট্রেশন এর ক্ষেত্রে সহজিকরন করা হয়। ঔষধ প্রশাসনের কর্মকর্তা ও কর্মচারীদের মনোবোল বৃদ্ধি ও দক্ষতা উন্নয়নে র্দীঘদিন জমে থাকা বঞ্চিত কর্মকর্তাদের পদোন্নতী ও পদায়ন করে বঞ্চনা মুক্ত করা হয়। ঔষধ প্রশাসন এখন এক সৌহার্দ্যপূর্ণ পরিবেশে কর্মকাণ্ড পরিচালিত হচ্ছে। এর সুফল ঔষধ শিল্পের সংলিষ্ঠ সকল স্থরের ব্যাক্তি ও প্রতিষ্ঠান ভোগ করতে পারছে। র্দীঘদিন পর ঔষধ প্রশাসনের জবাবদিহিতা ফিরে এসেছে। এখন ফাইলের জন্য কেই ঘুরে না হয়রানি’র শিকার হতে হয় না কাউকে। বদলে দিয়েছেন সব মেজর জেনারেল মাহবুবুর রহমান।